ঢাকা     মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫ ||  বৈশাখ ৯ ১৪৩২

আফিফ-বোসিস্টোর ফিফটির পর অঙ্কনের ঝড়

ক্রীড়া প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে: || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৩৪, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫   আপডেট: ২০:৪২, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫
আফিফ-বোসিস্টোর ফিফটির পর অঙ্কনের ঝড়

প্রতিশোধের ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দিয়েছে খুলনা টাইগার্স। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করতে নেমে খুলনা টাইগার্স ৪ উইকেটে ২০৯ রান করেছে।

সিলেটে দুই দলের প্রথম মোকাবেলায় দুর্বার রাজশাহী ২৮ রানে হারিয়েছিল খুলনাকে। এই ম্যাচে খুলনার ব্যাটসম্যানরা নিজেদের দায়িত্বটা ঠিকঠাক পালন করেছেন। এবার বোলারদের পালা।

খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন আফিফ হোসেন। ৫৫ রান আসে উইলিয়াম বোসিস্টোর ব্যাট থেকে। দুজনের ফিফটিতে খুলনার রান দুইশর কাছাকাছি যায়। সেটাকে দুইশ পেরিয়ে নিয়ে যান মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। শেষ দিকে ১২ বলে ৩০ রান করেন ৪ ছক্কায়।

আরো পড়ুন:

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই ছন্দে ছিল খুলনা। আগ্রাসী শুরু এনে দেন নাঈম শেখ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দুই স্পিনার সানজামুল ও জিসানের ওপর চড়াও হয়ে ৩.৫ ওভারে ৪২ রান তুলে নেন তারা। বিপদজ্জনক হয়ে উঠা এই জুটি ভাঙেন জিসান।

২টি করে চার ও ছক্কায় ১৪ বলে ২৭ রান করা নাঈম বোল্ড হন জিসানের বলে। অন্যদিকে ১৩ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ২৬ রান করেন মিরাজ। পঞ্চম ওভারে তাকে থামান পেসার তাসকিন আহমেদ। প্রথমবারের মতো খেলতে আসা অ্যালেক্স রস চারে নেমে সুবিধা করতে পারেননি। ৩ বলে ১ রান করে ফেরেন রান আউট হয়ে।

৬ ওভার শেষে ৩ উইকেটে খুলনার রান ৬০ রান। পাওয়ার প্লে’র কাজটা ঠিকঠাক হলেও উইকেট একটু বেশিই হারিয়েছিল। সেখান থেকে জুটি বাঁধেন আফিফ ও বোসিস্টো। তাদের ৭৫ বলে ১১৩ রনের জুটিতেই পাল্টে যায় দলের স্কোরবোর্ডের চিত্র। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের সঙ্গে বলের মেরিট অনুযায়ী খেলে অনায়েসে রান তোলেন তারা।

শেষ তিন ম্যাচে আফিফের রান ছিল যথাক্রমে ৩৩, ২৯ ও ২০। এবার ভালো শুরুর পর পেয়েছেন প্রথম ফিফটির স্বাদ। ৪২ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় করেন ৫৬ রান। স্পিনার ডেয়ালকে মারা একটি ছক্কা ছিল ১১৩ মিটারের।

ওপেনিং থেকে মিডল অর্ডারে নেমে বোসিস্টিও সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন। পেয়েছেন নিজের দ্বিতীয় ফিফটি। ৩৭ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৫৫ রান।

পরের গল্পটা শুধুই মাহিদুলের। ১৯তম ওভারে মৃত্যুঞ্জয়কে দুই ছক্কা উড়ানোর পর শেষ ওভারে তাসকিনের বলেও দুই ছক্কা পান হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান। তার শেষ ৩০ রানই গড়ে দেয় ব্যবধান।

শেষ ওভার বাদে তাসকিন ছিলেন দুর্দান্ত। সব মিলিয়ে ৩৬ রানে পেয়েছেন ২ উইকেট। ১ উইকেট নেন জিসান আলম। 

চট্টগ্রাম/ইয়াসিন/নাভিদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়