ইমরুলের ৮৬, সেঞ্চুরি করেও ম্লান রাফসানের হাসি

শাইনপুকুরের পরাজয় তখন নিশ্চিত হয়ে গেছে। পরাজয় যেখানে চূড়ান্ত সেখানে সেঞ্চুরি পাওয়ার আনন্দ থাকবে না সেটা স্বাভাবিক হওয়ার কথা। তরুণ রায়ান রাফসানের ক্ষেত্রেও এমনটাই হলো।
অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে দারুণ ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। কিন্তু সেঞ্চুরি করেও দলকে জেতাতে পারেননি। তাইতো রুয়েল আহমেদের প্যাডের ওপরের বল লেগ সাইডে হাল্কা ফ্লিক করে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে সেঞ্চুরি পেলেও কোনো উদযাপন করেননি রাফসান। ব্যাটটা কেবল তাক করেছিলেন ড্রেসিংরুমের দিকে। ওতোটুকুই।
অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের ৮৬ রানের ইনিংসে ভর করে বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে অগ্রণী ব্যাংক ৭ উইকেটে ২৯৪ রান করে। জবাব দিতে নেমে শাইনপুকুর ৫ উইকেটে ২৪৮ রানের বেশি করতে পারেনি। ৪৬ রানের বড় জয় পায় অগ্রণী ব্যাংক। যা লিগে তাদের ছয় ম্যাচে পঞ্চম জয়। অন্যদিকে শাইনপুকুরের সমান ম্যাচে পঞ্চম হার।
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১০৩ রানে ৫ উইকেট হারায় শাইনপুকুর। সেখান থেকে জুটি বাঁধেন রাফসান ও মিনহাজুল আবেদীন। দুজন ১৪৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়লেও জয়ের কাছাকাছিও যেতে পারেননি। ১৩০ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ১০৬ রান করেন রাফসান। মিনহাজুল ৬১ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৫১ রান করেন।
অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন নাঈম হাসান ও আরিফ আহমেদ।
এর আগে ব্যাটিংয়ে তাদের হয়ে হাল ধরেন ইমরুল। সেঞ্চুরির দারুণ সুযোগ থাকলেও ৮৬ রানে থেমে যান বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ৮৫ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় খেলেন ইনিংসটি। এছাড়া সাদমান ইসলাম ৫৩, অমিত হাসান ৪১ এবং ইমরানউজ্জামান ৩২ রান করেন। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাতে তিনশর কাছাকাছি পুঁজি পায় অগ্রণী ব্যাংক।
ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির আগে রাফসান বোলিংয়ে নেন ২ উইকেট। এছাড়া আলী মোহাম্মদও পেয়েছেন ২ উইকেট।
ইমরুল কায়েস পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল