রাকিবের ব্যাটে পারটেক্সের রোমাঞ্চকর জয়, বৃষ্টির পেটে বিকেএসপির ম্যাচ

উইকেট পড়ার মিছিলে, এক প্রান্ত আগলে রেখে দারুণ খেলতে থাকেন মোহাম্মদ রাকিব। জয়ের কাছে গিয়ে পড়ে যায় নবম উইকেটও। কিন্তু হাল ছাড়েননি রাকিব। আব্দুল গাফফার রনিকে নিয়ে অগ্রণীর বিপক্ষে পারটেক্সকে জয় এনে দিয়েই মাঠ ছাড়েন রাকিব।
মিরপুর শের-ই-বাংলায় টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ২১৮ রানে থামে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। তাড়া করতে নেমে ১ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় পারটেক্স।
পাঁচে নেমে সর্বোচ্চ ৮০ রান করেন রাকিব। ১০৩ বলে ৫টি করে চার ও ছক্কার মারে ইনিংসটি সাজান এই ব্যাটার। তার সঙ্গে গাফফার ১ রানে অপরাজিত থাকেন।
শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পারটেক্স। ৩ রানে প্রথম উইকেটের পতনের পর দলীয় রান তিন অংক ছোঁয়ার আগেই চার উইকেট পড়ে যায়। হাল ধরে খেলতে থাকেন রাকিব। মাঝে আহরার আমিন (২২) ও জাওয়াদ রোহানরা (১৮) থিতু হলেও ইনিংস শেষ করে আসতে পারেননি।
শেষ দিকে ২০৩ থেকে ২০৯ রানের মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে আরও বিপাকে পড়ে পারটেক্স। ২০৯ রানে নাঈম ইসলাম জুনিয়র আউট হলে হারের নিয়ে শঙ্কা জাগে। তবে শেষ পর্যন্ত তা আর হতে দেননি রাকিব। এ ছাড়া আদিল ৩২ ও তানভীর হোসেন ২৫ রান করেন। অগ্রণীর হয়ে দুটি করে উইকেট নেন আরিফ আহমেদ-নাঈম হাসান।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মারশাল আইয়ূবের ফিফটিতে ভর করে ২১৯ রানের লক্ষ্য দিতে পারে অগ্রণী। ৮৭ বলে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন আয়ুব। ৫টি চারে সাজানো ছিল ইনিংসটি। ৩১ রান আসে ওপেনার সাদমান ইসলামের ব্যাট থেকে। ২৪ বলে ২৭ রান করেন শুভাগত হোম। শেষে ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন মেহেদী হাসান রানা।
এ ছাড়া আর কোনো ব্যাটার সুবিধা করতে পারেননি। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ৩৩ বলে ১৯ রান করেন। আর কেউ বিশের বেশি রান করতে পারেননি। পারটেক্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন নাঈম ইসলাম জুনিয়র। ২ উইকেট করে নেন মোহর শেখ, আলাউদ্দিন বাবু ও জাওয়াদ রোহান।
এদিকে বৃষ্টিতে ভেসে গেছে বিকেএসপির দুই ম্যাচ। গুলশান ক্রিকেট ক্লাব-লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ও রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব-ব্রাদার্স ইউনিয়নের ম্যাচ পরিত্যাক্ত হয়।
ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ