রুদ্ধশ্বাস লড়াই জিতে সেমিফাইনালে পর্তুগাল

উয়েফা নেশন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ১-০ গোলে পিছিয়ে ছিল পর্তুগাল। কিন্তু রোববার (২৩ মার্চ) দিবাগত রাতে দ্বিতীয় লেগে অতিরিক্ত সময়ে ডেনমার্ককে ৫-২ গোলে হারিয়ে (দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩) সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে রোনালদো-ত্রিনকাওরা।
ম্যাচের ৭৬তম মিনিট পর্যন্ত পর্তুগালের বিদায়ের শঙ্কা ছিল। কারণ, ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের গোলে ডেনমার্ক ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল। তবে পর্তুগালের ফ্রান্সিসকো ত্রিনকাও বদলি হিসেবে নেমে গোল করে পর্তুগালকে সমতায় ফিরিয়ে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যান। অতিরিক্ত সময়ের শুরুতেই তিনি আরও এক গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। আর শেষ দিকে গঞ্জালো রামোস গোল করে পর্তুগালকে সেমিফাইনালের টিকিট এনে দেন।
অবশ্য ম্যাচের শুরুতেই মাত্র তিন মিনিটের মাথায় পর্তুগাল এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়। এ সময় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো পেনাল্টি পান। তবে তার নেওয়া শট দারুণভাবে রক্ষা করেন ডেনিশ গোলরক্ষক কাসপার স্মাইকেল।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে ডেনমার্কের জোয়াকিম আন্দারসেন হেড করতে গিয়ে বল নিজেদের জালেই জড়িয়ে দেন। তাতে দুই লেগ মিলিয়ে ১-১ সমতায় ফিরে। বিরতির পর ৫৬ মিনিটে রাসমুস ক্রিস্টেনসেনের হেড পর্তুগালের গোলরক্ষককে পরাস্ত করলে ডেনমার্ক আবার এগিয়ে যায় (২-১)। তবে ৭২ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেজের শট পোস্টে লেগে ফিরে এলে রোনালদো ফিরতি শটে বল জালে পাঠিয়ে ম্যাচে সমতা ফেরান (২-২)।
এর মাত্র চার মিনিট পরেই প্যাট্রিক ডরগু ও ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের সমন্বিত আক্রমণ থেকে গোল আদায় করে ডেনমার্ক আবারও ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।
এরপরই নায়ক হয়ে ওঠেন ত্রিনকাও। নির্ধারিত সময়ের শেষ দিকে এবং অতিরিক্ত সময়ের শুরুতে দুটি চমৎকার গোল করে পর্তুগালকে এগিয়ে নেন (৪-৩)। এরপর ১০৫তম মিনিটে দিওগো জোটার একটি গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। তবে শেষ মুহূর্তে রামোস খালি পোস্টে বল জড়িয়ে ৫-৩ ব্যবধানে দলের জয় নিশ্চিত করেন, নিশ্চিত করেন সেমিফাইনালে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ জার্মানি।
এই ম্যাচের মাধ্যমে পর্তুগাল ২০২ মিনিট গোল করতে না পারার খরা কাটায়। যা ২০২২ সালের জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাদের ১৮৮ মিনিট গোলশূন্য থাকার রেকর্ডের চেয়েও দীর্ঘ ছিল। তবে তাদের প্রথম গোলটি প্রতিপক্ষ আন্দারসেনের আত্মঘাতী গোলের মাধ্যমে আসে।
ঢাকা/আমিনুল