বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ
আক্রমণের পসরা সাজিয়েও প্রথমার্ধে গোল পাননি হামজারা

এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে সন্ধ্যায় মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও বাংলাদেশ। শিলংয়ের জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে ইতোমধ্যে প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয়েছে। আক্রমণের পসরা সাজিয়েও প্রথমার্ধে কোনো গোলের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। গোলশূন্যভাবে শেষ হয়েছে প্রথম ৪৫ মিনিটের খেলা।
ম্যাচের প্রথম মিনিটেই গোল পেতে পারত বাংলাদেশ। ৩১ সেকেন্ডের মাথায় ভারতের গোলরক্ষক ভিশাল কাইথ ভুল পাসে বল বাড়িয়ে দেন জনির দিকে। তিনি শট নিয়েও ফাঁকা পোস্টে বল জালে জড়াতে পারেননি।
এরপর নবম মিনেটে হেডে গোল করার দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন ইমন। এ সময় মোরসালিনের ক্রস বক্সের মধ্যে পেয়েও গোল করতে পারেননি।
এরপর ১৫ মিনিটের মাথায় বাংলাদেশের হৃদয় ভারতের গোলরক্ষকের ভুলে বল পেয়ে যান। কিন্তু ফাঁকা পোস্টেও তিনি বল জড়াতে পারেননি। মেরে বসেন ভারতের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় শুভাশীষের পায়ে।
১৭ মিনিটের মাথায় আরও একটি সুযোগ তৈরি করে বাংলাদেশ। এ সময় মোরসালিনের উড়িয়ে মারা বলে কোনোরকমে মাথা লাগাতে পারলেই্ গোল হতে পারতো। কিন্তু সেটি করতে পারেননি জনি।
২৩ মিনিটের মাথায় বাংলাদেশের অধিনায়ক তপু বর্মন পায়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন। তার জায়গায় মাঠে নামেন রহমত মিয়া।
বাংলাদেশের আক্রমণের মুখে দিশেহারা হওয়া ভারত ২৭ মিনিটের মাথায় গিয়ে প্রথমবার অন টার্গেটে শট নিতে পারে। এ সময় লিস্টন কোলাসোর নেওয়া দুর্বল ভলি ধরে ফেলেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিতুল মারমা। ৩১ মিনিটে আরও একটি সুযোগ তৈরি করেছিল ভারত। এ সময় সতীর্থের বাড়ানো ক্রসে ভারতের উদান্ত সিং হেড নিয়েছিলেন। সেটি ফিরিয়ে দেন মিতুল। ফিরে আসা বলে আবার শট নেন ভারতের ফারুক। মিতুল এবার সেটাও ঠেকিয়ে দেন।
৪১ মিনিটের মাথায় আবারও গোলরক্ষককে একা পেয়ে গোল করতে ব্যর্থ হন জনি। এ সময় ভারতের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়কে পেছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছিলেন জনি। তার সামনে ছিলেন কেবল গোলরক্ষক ভিশাল। কিন্তু জনি ঠিকমতো শটটি নিতে পারেননি। তাতে প্রথমার্ধে আক্রমণের পসরা সাজিয়েও কোনো গোলের দেখা পায় না বাংলাদেশ এবং ৪৫ মিনিটের খেলা গোলশূন্যভাবে শেষ হয়।
বিরতির আগে একটি গোলও করতে না পারায় বাংলাদেশ অবশ্য হতাশ। ভারতের গোলরক্ষক বিশাল কৈথ ভুলের পর ভুল করে বাংলাদেশকে ২০ মিনিটের মধ্যে অন্তত দুইবার পরিষ্কার গোলের সুযোগ করে দেন। কিন্তু বাংলাদেশের জনি ও ইমন নিশ্চিত দুটি গোলের সুযোগ মিস করেন।
অন্যদিকে বাংলাদেশের আক্রমণের মুখে পর্যুদস্তু হওয়া ভারতের ধীরে ধীরে আক্রমণের গতি বাড়ায়। তবে তারা বাংলাদেশের গোলরক্ষকের জন্য বড় কোনো চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারেনি। অভিজ্ঞ সুনীল ছেত্রীকে প্রথমার্ধে বেশিরভাগ সময়ই বোতলবন্দি করে রাখতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশের রক্ষণভাগ। বাংলাদেশের মধ্যমাঠ দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখেন হামজা দেওয়ান চৌধুরী।
দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ গোলের নাগাল পায় কিনা দেখার বিষয়।
ঢাকা/আমিনুল