ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৭ মার্চ ২০২৫ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩১

দারুণ খেলেও ভারতের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি বাংলাদেশের

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:২৪, ২৫ মার্চ ২০২৫   আপডেট: ২২:০৯, ২৫ মার্চ ২০২৫
দারুণ খেলেও ভারতের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি বাংলাদেশের

এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে দারুণ খেলেও জয় পায়নি বাংলাদেশ। দুর্দান্ত লড়াই করেও গোলশূন্য ড্রয়ে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছেড়েছে হামজা-মিতুলরা। অথচ এই ম্যাচটিতে বাংলাদেশ জয় পেলে সেটিই হতো যথোপযুক্ত ফলাফল। তাতে হামজা দেওয়ান চৌধুরীর অভিষেকটাও রাঙানো যেত জয় দিয়ে। তবে হামজা ঠিকই তার পারফরম্যান্স দিয়ে মন জয় করেছেন সবার।

শিলংয়ের জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসে বাংলাদেশ। কিন্তু নিশ্চিত গোলের সুযোগগুলো মিস করলে গোলশূন্যভাবে শেষ হয় প্রথম ৪৫ মিনিটের খেলা। বিরতির পর আক্রমণের ধার বাড়ায় ভারত। তাতে তৈরি হতে থাকে সুযোগও। কিন্তু তারাও পারেনি সেই সুযোগ কাজে লাগাতে। বাংলাদেশও এই অর্ধে আরও বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে গোল পেতে ব্যর্থ হয়। তাতে গোলশূন্য ড্র ভিন্ন অন্য কোনো ফল হয়নি এই ম্যাচে।

এদিন ম্যাচের প্রথম মিনিটেই গোল পেতে পারত বাংলাদেশ। ৩১ সেকেন্ডের মাথায় ভারতের গোলরক্ষক ভিশাল কাইথ ভুল পাসে বল বাড়িয়ে দেন জনির দিকে। তিনি শট নিয়েও ফাঁকা পোস্টে বল জালে জড়াতে পারেননি।

আরো পড়ুন:

এরপর নবম মিনেটে হেডে গোল করার দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন শাহরিয়ার ইমন। এ সময় মোরসালিনের ক্রস বক্সের মধ্যে পেয়ে হেড নিয়েও গোল করতে পারেননি।

এরপর ১৫ মিনিটের মাথায় বাংলাদেশের হৃদয় ভারতের গোলরক্ষকের ভুলে বল পেয়ে যান। কিন্তু ফাঁকা পোস্টেও তিনি বল জড়াতে পারেননি। মেরে বসেন ভারতের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় শুভাশীষের পায়ে।

১৭ মিনিটের মাথায় আরও একটি সুযোগ তৈরি করে বাংলাদেশ। এ সময় মোরসালিনের উড়িয়ে মারা বলে কোনোরকমে মাথা লাগাতে পারলেই গোল হতে পারতো। কিন্তু সেটি করতে পারেননি জনি।

২৩ মিনিটের মাথায় বাংলাদেশের অধিনায়ক তপু বর্মন পায়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন। তার জায়গায় মাঠে নামেন রহমত মিয়া।

বাংলাদেশের আক্রমণের মুখে দিশেহারা হওয়া ভারত ২৭ মিনিটের মাথায় গিয়ে  প্রথমবার অন টার্গেটে শট নিতে পারে। এ সময় লিস্টন কোলাসোর নেওয়া দুর্বল ভলি ধরে ফেলেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিতুল মারমা। ৩১ মিনিটে আরও একটি সুযোগ তৈরি করেছিল ভারত। এ সময় সতীর্থের বাড়ানো ক্রসে ভারতের উদান্ত সিং হেড নিয়েছিলেন। সেটি ফিরিয়ে দেন মিতুল। ফিরে আসা বলে আবার শট নেন ভারতের ফারুক। মিতুল এবার সেটাও ঠেকিয়ে দেন।

৪১ মিনিটের মাথায় আবারও গোলরক্ষককে একা পেয়ে গোল করতে ব্যর্থ হন জনি। এ সময় ভারতের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়কে পেছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তার সামনে ছিলেন কেবল গোলরক্ষক ভিশাল। কিন্তু জনি ঠিকমতো শটটি নিতে পারেননি। তাতে প্রথমার্ধে আক্রমণের পসরা সাজিয়েও কোনো গোলের দেখা পায় না বাংলাদেশ এবং ৪৫ মিনিটের খেলা গোলশূন্যভাবে শেষ হয়।

বিরতির পর শুরু থেকেই আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে ভারত। ৫৫ মিনিটে লিস্টন কোলাসোর দুর্দান্ত ক্রসে সুনীল ছেত্রী মাথা ছুঁইয়ে দিতে পারলে গোল হতে পারত, তবে ভাগ্য বাংলাদেশের পক্ষে ছিল। গোলরক্ষক মিতুল তখন অসহায় ছিলেন। এরপর ভারত কয়েক মিনিটের মধ্যে একাধিক কর্নার আদায় করে। এই অর্ধে হামজা চৌধুরীকে রক্ষণ সামলাতেই বেশি ব্যস্ত থাকতে হয়েছে।  

৬০ মিনিটে নতুন কৌশল নিতে শাহরিয়ার ইমন ও জনির পরিবর্তে চন্দন রায় ও ফয়সাল আহমেদ ফাহিমকে মাঠে নামায় বাংলাদেশ। ৭৫ মিনিটে রাকিবের বাড়ানো বল থেকে ফাহিম দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু গোল করতে পারেননি। দুই মিনিট পর কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা আরও পরিবর্তন আনেন—হৃদয় ও মোরসালিনের জায়গায় মাঠে নামেন দুই সোহেল রানা।  

বাংলাদেশ একাধিক খেলোয়াড় বদলালেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি, ফলে ম্যাচের ফলাফল অপরিবর্তিতই থাকে।

ফিরতে লেগে নভেম্বরে বাংলাদেশে খেলতে আসবে ভারত। সেই ম্যাচের জন্য কি জয়টা তুলে রেখেছেন হামজা-জামালরা?

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়