ঢাকা     রোববার   ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ||  চৈত্র ৩০ ১৪৩১

ছয় ম্যাচ হাতে রেখেই পিএসজির শিরোপা জয়

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪৯, ৬ এপ্রিল ২০২৫   আপডেট: ১৬:১৮, ৭ এপ্রিল ২০২৫
ছয় ম্যাচ হাতে রেখেই পিএসজির শিরোপা জয়

প্যারিস স্যান্ট জার্মেই (পিএসজি) ফরাসি লিগ ওয়ানের শিরোপাটাকে নিজেদের সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছে। সবশেষ লিলের কাছে ২০২০/২১ মৌসুমে লিগ শিরোপা খুইয়েছিল প্যারিসের জায়ান্টরা। এরপর দলের অবস্থা যাই থাকুক, লিগ ওয়ানের শ্রেষ্ঠত্ব হারায়নি পিএসজি। শনিবার (৫ এপ্রিল) টানা চতুর্থবারের মতো ফ্রান্সের  চ্যাম্পিয়ন  হলো তারা। তাও আবার ৬ ম্যাচ হাতে রেখে।

সমীকরণটা সহজ ছিল। শনিবার অঁজের বিপক্ষে পিএসজি কেবল ড্র করলেই শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যেত। লুইস এনরিকের দলের অপেক্ষা সহ্য হচ্ছিল না। কোন ধরনের ঝুঁকি না নিয়ে তারা অঁজেকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে দেয়। ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন দেজিরে দোয়ের।

আরো পড়ুন:

লিগ ওয়ানের ২৮ রাউন্ডের খেলা শেষে পিএসজি ৭৪ পয়েন্টে পৌঁছে গিয়েছে। এখনও তাদের হাতে ৬টি ম্যাচ আছে। পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা মোনাকো থেকে ২৪ পয়েন্ট এগিয়ে এনরিকের দল। মোনাকো বাকি সব ম্যাচ জিতলেও সর্বোচ্চ ৭১ পয়েন্টে পৌঁছাতে পারবে।

এটি পিএসজির ইতিহাসের ১৩তম লিগ ওয়ান শিরোপা। যা ফ্রান্সের সর্বোচ্চ। তাছাড়া আরব মালিকানার কাছে যাওয়ার পর (২০১২-১৩ মৌসুম থেকে) এটি প্যারিসের জায়ান্টদের ১১তম শিরোপা।

পিএসজির অধিনায়ক মারকুইনহোস ২০১৩ সালে ক্লাবে যোগ দিয়েছিলেন। এই ব্রাজিলিয়ান ইতিহাসে একমাত্র খেলোয়াড়, যিনি ১০টি লিগ ওয়ান শিরোপায় চুমু খেতে পেরেছেন। মারকুইনহোস বলেন, “ব্যাপারটা আমার কাছে উত্তজনার, আমি সত্যিই খুশি। এতদিন ধরে একটি শীর্ষ দলের সঙ্গে থাকা একটি চ্যালেঞ্জ। এই শিরোপাগুলি ইতিহাসে লেখা থাকবে। আমাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা আছে সবকিছু জেতার। যখন ফরাসি চ্যাম্পিয়নশিপ না জিতি, তখন কষ্ট হয়। এটা আমার সাথে দুইবার ঘটেছে।”

"এটা আমাদের ডিএনএ-তে আছে, মাঠে সবকিছু দেওয়ার, একটি আগ্রাসী দর্শন ধারন করার, এবং প্রতিটি ম্যাচে আমাদের জার্সি ভিজিয়ে ফেলার, তা যেই প্রতিপক্ষ হোক না কেন। ছোটবেলা থেকে আমি এমন দলে খেলেছি যাদের এই ডিএনএ ছিল।"

ম্যাচের প্রথমার্ধে গোল হয়নি, তবে পিএসজি পুরোপুরি বল নিয়ন্ত্রণ করেছিল। তারা ১১টি শট নিয়েছিল, যার মধ্যে গঞ্জালো রামোস প্রায় অর্ধেক শট নিয়েছিলেন। তবে এই পর্তুগিজ গোলের দেখান পাননি। বিরতির পর খেলা শুরু হলে ১০ মিনিটের মাঝে পিএসজিকে লিড এনে দেন দোয়ের। এই ১৯ বছর বয়সী উইঙ্গার দারুণ এক ভলিতে গোল করেন, যা এই সিজনে তার পঞ্চম লিগ গোল। অ্যসিস্টটি করেন জানুয়ারির দলবদলে যোগ দেওয়া খভিচা কভারাতস্কেলিয়া।

এনরিকে ২০২৩-২৪ মৌসুমের শুরুতে পিএসজির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মাত্র দুইটি লিগ ম্যাচ হেরেছেন। এই স্প্যানিশ কোচ প্রমাণ করেছেন যে, লিওনেল মেসি, নেইমার এবং কিলিয়ান এমবাপে চলে যাওয়ার পরও দলগত শক্তি মোটেই খর্ব হয়নি দলটি। শেষ বাঁশি বাজানোর পর এনরিকে ছুটে যান পিএসজির স্পোর্টিং ডিরেক্টর লুইস ক্যাম্পোস কাছে। একে অপরকে আলিঙ্গন করেন তাঁরা। ক্যাম্পোস ২০২২-২৩ মৌসুমে যোগ দেন পিএসজিতে। এই পর্তুগিজ স্পোর্টিং ডিরেক্টর এরপর পিএসজি পুনর্গঠনে নিশেষ অবদান রাখেন। 

ঢাকা/নাভিদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়