তাইজুল জাদুর পর অলরাউন্ডার মিরাজে মোহামেডানের বড় জয়

ঘূর্ণি জাদুতে মাত্র ৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে, আক্রমণাত্বক ক্রিকেট খেলতে থাকা প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ধসিয়ে দিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। তার ঘূর্ণিজাদুর পর মেহেদী হাসান মিরাজের অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।

ঈদের ছুটির পর মিরপুর শের-ই-বাংলায় ঢাকা লিগের খেলায় মুখোমুখি হয় মোহামেডান-প্রাইম ব্যাংক। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৩২.২ ওভারে মাত্র ১৭৪ রানে অলআউট হয় প্রাইম ব্যাংক। তাড়া করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১২০ বল হাতে রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঐতিহ্যবাহী সাদাকালো ক্লাবটি।

৯ ম্যাচে মোহামেডানের এটি সপ্তম জয়। অন্যদিকে সমান ম্যাচে প্রাইম ব্যাংকের চতুর্থ হার। মোহামেডানের অবস্থান দ্বিতীয়তে আর প্রাইম ব্যাংক আছে চারে।

মিরাজ ৬৭ ও আরিফুল ইসলাম ১১ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। মিরাজের ৫৫ বলে ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭টি চার ও ২টি ছক্কার মারে। তার হাতে উঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। এ ছাড়া বল হাতে নেন ১ উইকেট।

অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয় ক্রিজে থিতু ছিলেন। ফিফটির পর (৫৭) ফেরেন সাজঘরে। ৬৪ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে এগোতে থাকেন হৃদয়। দুজনের জুটি থেকে আসে ৯১ রান। পেসার হাসান মাহমুদের তোপে বোল্ড হয়ে ফেরেন হৃদয়। এরপর আরিফুলকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচ শেষ করেন মিরাজ। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন হাসান।

এর আগে শুরু থেকে উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে প্রাইম ব্যাংক। তবুও আক্রমণাত্বক খেলা খেলে গেছে ক্লাবটি। শামীম পাটোয়ারীর ৬১ বলে ৮৯ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে দেড়শর বেশি রান করে প্রাইম ব্যাংক। ১০টি চার ও ৪টি ছয়ে ইনিংসটি সাজানো ছিল শামীমের। ফিফটির দেখা পান মাত্র ৩২ বলে। ২১ রান করেন আরাফাত সানি। আর কোনো ব্যাটার বিশের বেশি রান করতে পারেননি।

মাত্র ৫ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন তাইজুল। এ ছাড়া এবাদতের ঝুলিতে জমা হয় ৩ উইকেট।