ঢাকা     শনিবার   ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ডিপ্লোমা কোটা বাতিলের দাবি

সিকৃবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৩৭, ১৭ এপ্রিল ২০২৫  
সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ডিপ্লোমা কোটা বাতিলের দাবি

চাকরিতে ডিপ্লোমা কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের (সিইক) শিক্ষার্থীরা। 

ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে শতভাগ আসন নিশ্চিতের দাবিকে অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) কলেজ ক্যাম্পাসে এ বিক্ষোভ করেন তারা।

এ সময় তারা ‘ডিপ্লোমাদের দৌরাত্ম, থামিয়ে দিতে হবে’, ‘কোঠা প্রথা নিপাক যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

বিক্ষোভে সমাবেশে তারা প্রকৌশল নবম গ্রেডে সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হওয়া, কারিগরি দশম গ্রেডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদ সবার জন্য উন্মুক্ত করা এবং বিএসসি ডিগ্রিধারী ব্যতীত অন্য কেউ প্রকৌশলী পদবি ব্যবহার করতে পারবে না মর্মে আইন পাশ করে গেজেট প্রকাশ করার দাবি জানান।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের প্রভাবশালী গোষ্ঠীর কারণে প্রকৌশল পেশায় বিএসসি ডিগ্রিধারীরা পদোন্নতি ও নিয়োগে ন্যায্যতা থেকে অনেকদিন ধরেই বঞ্চিত হয়ে আসছেন। দীর্ঘ ৪ বছর কঠিন পাঠ্যক্রম, ল্যাব, থিসিস ও প্রজেক্টের মধ্য দিয়ে পাস করা বিএসসি ইঞ্জিনিয়াররা চাকরির বাজারে চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।

সরকারি চাকরির দশম গ্রেডে একচেটিয়া শতভাগ ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের নিয়োগ এবং নবম গ্রেডে পদোন্নতিতে ৩৩.৩ শতাংশ কোটা আছে ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের। এছাড়া নবম গ্রেডে পদোন্নতির ক্ষেত্রে কোটার ব্যবস্থা ৫০ শতাংশ করার অন্যায্য দাবিও জানিয়ে আসছিল তারা।

তারা বলেন, সরকারি নিয়োগে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের প্রাধান্য ও বিএসসি ডিগ্রিধারী প্রকৌশলীদের উচ্চতর পদে প্রবেশে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে, যা পেশাগত মর্যাদা ও ন্যায্যতা লঙ্ঘন করে। কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলনের মধ্য দিয়েই জুলাই গণ-অভ্যুত্থান হয়েছিল। অভ্যুত্থানের পরেও চাকরি ক্ষেত্রে এ রকম অন্যায্য কোটা থাকা জুলাই শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি। তাই অনতিবিলম্বে এ কোটা প্রথা বাতিল চান তারা।

তারা আরো বলেন, জুলাই বিপ্লব ছিল সব স্তরের বৈষম্য দূরীকরণের আন্দোলন। বিএসসি প্রকৌশলীদের বিরুদ্ধে চলমান দীর্ঘদিনের বৈষম্যের অবসান আজ সময়ের দাবি। ডিপ্লোমাধারীরা দশম গ্রেড কুক্ষিগত করে রেখেছে এবং পরবর্তীতে ৩৩ শতাংশ বা বেশি কোটা নিয়ে সরাসরি নবম গ্রেডে পদোন্নতি পাচ্ছে, যা বিসিএস সমমানের।

সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে আমরা প্রতি বছর ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে নিজেদের আসন নিশ্চিত করি। কিন্ত ডিপ্লোমা হোল্ডাররা প্রস্তাবিত চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে তাদের শতভাগ আসন নিশ্চিতের অযৌক্তিক দাবি জানাচ্ছে।

ঢাকা/আইনুল/মেহেদী

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়