মেঘের আলোয় মেঘালয়
শিহাব শাহরিয়ার || রাইজিংবিডি.কম
মেঘালয়ে মেঘের অনেক রং অপেক্ষা করে আছে আপনার জন্য
রাত ন’টায় ঢাকার শ্যামলী থেকে গাড়ি ছাড়ল, ভোরে গিয়ে তামাবিলে গিয়ে আমরা নামলাম। যারা আগে এখানে আসেনি—এই খাসিয়া অধ্যুষিত মেঘালয় ও তামাবিলের এই যুগল পয়েন্টে এসে তারা কিছুটা পুলকিত হলো। জাফলং এর পাশে তামাবিলকে বাংলাদেশ যত্ন নিচ্ছে না। কয়লা, অবহেলিত পাহাড়ি পাদদেশ আর এলোমেলো গড়ে ওঠা অসুন্দর বাড়ি-ঘর, বিল্ডিং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট করছে। আরেকটি কথা বলে রাখি, কাস্টমস অফিস খোলে সকাল ন’টায়, ইমিগ্রেশনের কাজ শুরু হতে হতে দশটা, কারণ কর্মকর্তারা আসে সিলেট ও তার আশেপাশে থেকে। অথচ বাস থেকে নামার পর না আছে বসার স্থান, না আছে ভালো হোটেল-রেস্টুরেন্ট?
আগের বারেও একই কষ্ট-অভিজ্ঞতা রয়েছে, এবারও তাই-ই। যা হোক, পাশের যাকে বলে ইতালিয়ান হোটেল, সেখানে বসে ডিমভাজি ও পরোটা দিয়ে নাস্তা সেরে নিলাম। এরই মধ্যে অফিস খুলেছে, আমরা ইমিগ্রেশন শেষ করে বর্ডার পার হয়ে ঐ পাশের ডাউকিতে ইন্ডিয়ান ইমিগ্রেশন শেষ করে শ্যামলী বাসে উঠে শিলঙের দিকে যাত্রা করলাম।
আমরা যেহেতু প্যাকেজে এসেছি, তাই শ্যামলী কর্তৃপক্ষ একটানা শিলং-এ না নিয়ে, যাবার পথে বিভিন্ন দর্শনীয় জায়গায় থামিয়ে আমাদের দেখিয়ে দেখিয়ে নিয়ে যাবে। আমরা ডাউকির উঁচু পাহাড়ের পিচঢালা সরু রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে একপাশে বাংলাদেশ দেখছি। মনে মনে আবারও আমার কবিতার একটি চরণ আওড়াচ্ছি—‘সীমান্ত এনে দিয়েছে পার্থক্য...’।
শিলং শহরের কেন্দ্রবিন্দু পুলিশ বাজার
কিছু দূর যাওয়ার পর প্রথমেই থামালেন একটা বড় পাহাড়ি ঝরনার পাশে। অনেক দর্শনার্থী এখানে ছবি তুলছে, ঝরনার জলে হাত-পা ছুঁয়ে দিচ্ছে। ঝরনাটি নেমে এসেছে উঁচু পাহাড় থেকে। বড় ঝরনা। সাদা ধবধবে স্বচ্ছ জল অনর্গল নামছে কলকল শব্দে। আমরাও ঝরনাকে কেন্দ্র করে কিছু ছবি তুললাম। তখন দুপুরের কড়া রোদ ফুটে উঠেছে। এরপর আরো কিছু দূর গিয়ে বাস আবারও থামল। এই জায়গাটি পাহাড়ি গ্রাম অধ্যুষিত একটি পর্যটন কেন্দ্র করা হয়েছে, যাতে আছে, থাকা, খাওয়া ও কেনা-কাটার গ্রামীণ পরিবেশ। তবে জায়গাটি খুবই পরিচ্ছন্ন ও পারিপাটি। আমরা ঘুরে ঘুরে দেখলাম এবং দুপুরের খাবারের জন্য হোটেলে ঢুকলাম। বেশ কয়েকটি হোটেল এখানে রয়েছে, যা পরিচালনা করে স্থানীয় আদিবাসীরা। মূলত এই খাবার ব্যবস্থা করেই তাদের ব্যবসা হয়। এখানকার খাবার একদমই বাঙালি ধরনের। হোটেল পরিচালনা করে যারা, তার অধিকাংশই পাহাড়ি মেয়ে। ভাত-বেগুন, ভাজি-ডিম ও কাঁচা মরিচ-পেঁয়াজ সবই আছে। খাবার বেশ সুস্বাদু।
মোটমুটি পেটভরে খেয়ে আমরা আবার যাত্রা করলাম। তিন হাজার, কখনো তারও বেশি উচ্চতা দিয়ে গাড়ি ছুটে চলেছে, কেউ কেউ হয়ত মনে মনে ভয় পাচ্ছে, কেউ কেউ রোমাঞ্চিত হচ্ছে। আমার কাছে আগেরবারের মতো ভয় ও রোমাঞ্চ কাজ করছে না। বলে রাখি, ডাউকি থেকে শিলং যেতে তিন ঘণ্টার মতো সময় লাগে। আমরা যেতে যেতে দু’জায়গায় যাত্রা বিরতি করেছি, তাই যেতে আরো বেশি সময় লাগছে। শহরে ঢোকবার আগে, সন্ধ্যা লগ্নে আরেকটি স্থানে গাড়ি থামানো হলো—আমরা নেমে মুক্ত হাওয়া ও কিছু ছবি তুলে পুনরায় যাত্রা শুরু করলাম। শিলং শহরে পৌঁছু রাত হয়ে গেল। যারা আগে গিয়েছেন অথবা যারা জানেন, যে শিলং শহরের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে পুলিশ বাজার। আমাদের সেখানে নামিয়ে দেয়া হলো। সেখান থেকে কয়েকশ গজ পায়ে হেঁটে আমরা আমাদের পূর্ব থেকে ঠিক করা হোটেলে উঠলাম। ব্যাগ-লাগেজ রেখে হোটেলে গলিতেই একটি খাবারের হোটেলে ঢুকে যার যার পছন্দের খাবার খেলাম, মূলত ভাত। যদিও পাহাড়ি আদিবাসী অঞ্চল শিলং, তবুও এখানে যেহেতু বাংলাদেশ, আসাম ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে অনেক ভেতো বাঙালিরা আসেন, তাই পর্যটকদের এই শ্রেণির জন্য ভাত-মাছ বলা যায় প্রধান খাদ্য হিসেবেই আছে। আমরা খেলাম এবং পুলিশ বাজারের মোড়ে গিয়ে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে হোটেলে এসে ঘুমিয়ে পড়লাম। বলে রাখি, হোটেলটি বেশ ভালো।
সন্ধ্যা নামছে কাছের পাহাড়ে, মেঘালয়
পরদিন সকাল আটটায় শ্যামলি কর্তৃপক্ষের লোকেরা পুলিশ বাজার মোড় থেকে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে চলল শিলং শহরের বাইরে প্রাকৃতিক লীলা দেখাতে, জায়গাটির নাম চেরাপুঞ্জি। চেরাপুঞ্জি নামটি আমার কাছে তো বটেই, বাংলাদেশের বহু মানুষ জানেন যে, এখানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়। এবং সেই বৃষ্টি পাহাড়ের থেকে পতনের যে ঝরনাসমূহের নান্দনিক দৃশ্য, সেটিই উৎসুক পর্যটক ও দর্শকদের দারুণ আকর্ষণ করে। আমি ২০০৬ সালে প্রথম এসেছিলাম। সেবার পহেলা এপ্রিল এসেছি এবং প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে ঘুরে ঘুরে দেখেছি। এবার বৃষ্টি নয়, শীতের সময় এসেছি। আপনারা যারা গিয়েছেন তারা জানেন, শিলং শহর থেকে চেরাপুঞ্জি যেতে প্রায় তিন ঘণ্টা সময় লাগে। আগের বার এসেছি ট্যাক্সি ভাড়া করে, এবার যেহেতু প্যাকেজ ট্যুর, সেজন্য তাদের বাসে, তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন স্পটে থেমে থেমে, দেখে দেখে চেরাপুঞ্জির চূড়ায় আমাদের নিয়ে গেল তারা।
প্রায় এক যুগ পর পুরো চেরাপুঞ্জি এলাকার অনেক পরিবর্তন দেখছি। রাজ্য সরকারও পর্যটকদের অনেক উন্নত করার চেষ্টা করেছেন। পাহাড়ের সৌন্দর্যের মধ্যেই লুকিয়ে আছে প্রকৃতির এক বিশাল অংশ। এই যে বিশাল বিশাল সবুজ পাহাড়, গাছ, ঘাস, মাটি, পাথর, ঝরনার কলকল বয়ে যাওয়া, মেঘের ভেসে বেড়ানো আর পাদদেশে পাহাড়ি আদিবাসী মানুষগুলো ছোট ছোট ঘর-বাড়ি আর তাদের কঠিন প্রাকৃতিক জীবন, যা আমরা কিছু সময়ের জন্য দূর থেকে দেখে আনন্দ আহরণ করি, তাতে পাহাড়িদের কতটাই বা বুঝতে পারি? এই অঞ্চলে বসবাস করে খাসিয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। এই চেরাপুঞ্জির চূড়ায় উঠে বাঁ দিকে তাকালেই বাংলাদেশ দেখা যায়। আগেরবার ভ্রমণ করে যে লেখাটি লিখেছি, সেখানে এর উল্লেখ করেছি। উল্লেখ করেছি, ব্রিটিশরা তাদের সুবিধার্থে কীভাবে এই পাহাড়ি অঞ্চলে পাকা রাস্তা তৈরি করে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করেছে। কীভাবে রিজোর্ট তৈরি করে বিলাসিতা করেছে। যে শহরটি ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, সেই শহরকে তারা গড়ে তুলেছে।
ঝরনারা এখানে কানে কানে কথা বলে, চেরাপুঞ্জি
আগের বার দেখেছি চেরাপুঞ্জির একটাই স্পট, এবার দেখলাম অনেকগুলো স্পট। এবার আরো একটি বিষয় খেয়াল করলাম, অনেক বাড়ি-ঘর ও জনবসতি গড়ে উঠছে। আমরা বেশ কয়েকটি স্পট ঘুরে দুপুরের খাবার খেলাম, ভাত-ভাজি, ভর্তা, আচার, মাছ, ডিম ইত্যাদি আইটেম দিয়ে। এরপর আমাদের নিয়ে গেল আরো একটি স্পটে। যে স্পটে দাঁড়িয়ে দেখা যায়, সবচেয়ে বড় ঝরনাটি। যদিও আমাদের এই ভ্রমণের সময় শীতের সময়, তারপরও সেই ঝরনা দিয়ে অনর্গল জল ঝরছে। মূলত চেরাপুঞ্জি ভ্রমণের মজাটাই হলো এই ঝরনা এবং এর পাশে আরো ছয়টি ঝরনার অনবরত জল পতনের দৃশ্য, যা ছোট-বড় সবাইকে মুগ্ধ করে। আসলে কয়েক হাজার ফুট উপর থেকে সারা বছর জল পড়ে, এটি একটি মনোমুগ্ধকর দৃশ্য তো বটেই। আমরাও অনেক ক্ষণ সময় ধরে দেখলাম, ছবি তুললাম, ফেসবুক লাইভ করলাম। তারপর পড়ন্ত বিকেলে সেখান থেকে আমাদেরকে নেয়া হলো খাসিয়া আদিবাসীদের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও জীবন-প্রণালির ছবির নিদর্শন নিয়ে দুই কক্ষে গড়ে ওঠা একটি মিউজিয়ামে। পাহাড়ি মানুষ ও প্রাকৃতিক জীব-বৈচিত্র্যের নানান ইতিহাস-সমৃদ্ধ নিদর্শনগুলো দেখে বেশ ভালো লাগল। মিউজিয়ামের পাশেই ছিল মিশনারী পরিচালিত একটি স্কুল ও হোস্টেল, সেটিও দেখলাম। এরপর সন্ধ্যায় ফিরে গেলাম শিলং শহরে, পুলিশ বাজার মোড়ে রাতের খাবার খেয়ে হোটেলে ঘুমাতে গেলাম।
পরদিন প্যাকেজের বাইরে ছিল আমাদের ইচ্ছেমত ঘুরবার দিন। আমরা চাইলাম, আসামের গোয়াহাটি ঘুরে আসবো। কিন্তু ঝড়-বৃষ্টির কারণে গাছ ভেঙে রাস্তায় পড়ে যাওয়ায় চলাচল বন্ধ বলে গোয়াহাটি যাওয়া হলো না। পুলিশ বাজার থেকে দুটো গাড়ি ভাড়া করে আমরা চলে গেলাম লাইটলুম। শহর থেকে দূরে পাহাড়ি আঁকা-বাঁকা, উঁচু-নিচু পথ পেরিয়ে ক্রমশ যখন যাচ্ছি, কেবল ভালো লাগছে, এক অন্য রকম অনুভূতির অনুরণনে। আগের বার শুধু চেরাপুঞ্জির রাস্তা ধরেছিলাম, এবার শহরের অনেক অংশ দেখে যখন লাইটলুমের দিকে যাচ্ছি, তখন বুঝতে পারছি মেঘালয়ের সৌন্দর্যের অন্য মাত্রা। মনে হচ্ছে, সবার এই পথ ধরেই যাওয়া উচিত। বিশেষ করে যারা ভ্রমণপিয়াসী। দেখলাম কোথাও পাহাড়ের তলায় কাঁচা-পাকা ঘর, কোথাও সমতলসম বিস্স্তৃতৃত শস্যখেত। আমরা পেলাম রোদাক্রান্ত একটি সকাল, কিন্তু যতই লাইটলুমের দিকে যাচ্ছি, ক্রমশ আলো ম্লান হয়ে যাচ্ছে। পূর্ব থেকে জানি না, লাইটলুম কেমন? খাসিয়া অঞ্চল-অধ্যুষিত এবং বাংলাদেশের কাছাকাছি উঁচু পাহাড়ের পাশে একটি খোলা জায়গায় নেমে দেখা পেলাম লাইটলুমের, যেখানে কিছুক্ষণ পর পর শাদা-কালো মেঘ এসে ছুঁয়ে দিচ্ছে উপত্যকার শরীর। উপত্যকা ঘেষে দাঁড়ালে মেঘের কারুকাজ করা নান্দনিক সৌন্দর্য দেখা যায়। যে সৌন্দর্যের বর্ণনা করা সত্যি কঠিন।
গুহার অন্ধকারে সবাই কী যেন খোঁজে, চেরাপুঞ্জি
অনেক ঠাণ্ডা লাইটলুমে। মূলত এই লাইটলুম গিরিখাত পিকনিকের জন্য উপযুক্ত ও বিখ্যাত জায়গা। চল্লিশ মিনিট সময় খরচ করে আমরা যখন সেখানে পৌঁছুলাম, তখন সময় দুপুরের কাছাকাছি। আমাদের গাড়ি যেখানে থামল, সেখানে একটু পানির ব্যবস্থা রয়েছে, যা প্রচণ্ড ঠাণ্ডা, সেখানে আদিবাসী স্থানীয় মানুষেরা দু’ একটি দোকান করেছে, যাতে সিদ্ধ ডিম ও নুডুলস রান্না করা হচ্ছে—পর্যটকরা ঠাণ্ডার মধ্যে গরম ডিম ও নুডুলস খেয়ে বেশ মজা পাচ্ছে। আমরা গিরি চূড়ায় দাঁড়িয়ে মেঘের নানা মাত্রিক খেলা দেখা শেষ করে সেই গরম সিদ্ধ ডিম ও গরম নুডুলস অমৃত স্বাদে খেয়ে শিলঙের দিকে রওনা করলাম, অবশ্য ফাঁকে ফাঁকে কিছু ছবিও তুলেছি—যা স্মৃতির খাতায় রাখার জন্য।
পুলিশ বাজার এসে পড়ন্ত বিকেলে দুপুরের খাবার খেয়ে আমরা শহরের কয়েকটি জায়গায় ঘুরলাম। শহরে আছে একটি মিউজিয়াম, সময়ের অভাবে সেখানে যাওয়া হলো না। এই শহরের অধিকাংশ মানুষ খ্রিষ্টধর্মের অনুসারী। আছে সনাতন ধর্মের, আছে মুসলিম, আছে বৌদ্ধ। রবীন্দ্রনাথ যখন শিলং যান, সে সময় প্রচুর বাঙালি ছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে তারা হারিয়ে গেছে। রবীন্দ্র-স্মৃতিবিজড়িত সেই বাড়িটি দেখতে গেলাম। আগের বার যেতে পারিনি।
রবীন্দ্র স্মৃতিবিজড়িত সেই বাড়ির সামনে আমরা
মনের মধ্যে যে কালের যাত্রার-ধ্বনি ছিল, তারই প্রতিধ্বনি নিয়ে সন্ধ্যার পূর্ব মুহূর্তে নির্জন বৃক্ষশোভিত সেই বাড়িতে ঢুকলাম, সিলেট হয়ে ১৯১৯ সালে রবীন্দ্রনাথ এসেছিলেন এই বাড়িতে। এখানে তিনি ২০ থেকে ২২ দিন অবস্থান করেছেন। তিনি এরপর শিলং গেছেন ১৯২৩ সালে এবং সর্বশেষ ১৯২৭ সালে। এই দুই বারও গেছেন সিলেট হয়েই। ১৯২৩ সালে এসে উঠেছিলেন জিতভূমে নামক একটি বাড়িতে এবং এখানেই লিখতে শুরু করেন ‘রক্তকরবী’ এবং এই শিলং এর পরিবেশেই তৈরি তাঁর অমিত, লাবণ্য, কেটি নামক মানব-মানবীদের নিয়ে বিখ্যাত উপন্যাস ‘শেষের কবিতা’—যা আমাদেরকে প্রেম-বিরহের চিরন্তন স্বর্গে নিয়ে যায়। এই বাড়িটি বিক্রি হয়ে যায় পরবর্তীতে এবং বিক্রি হয়ে গেছে সেটিও, ১৯২৭ সালে যে বাড়িতে উঠেছিলেন। বাড়ির সামনে রবীন্দ্রনাথের একটি বড় ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। বিশের দশকের একতলার সেই আধুনিক বাড়ি, যা এখনও দেখতে ভালো লাগে। ঘুরে দেখলাম আর কয়েকটি ছবি তুললাম। কিন্তু খুঁজে পেলাম না, না লাবণ্যকে, না অমিতকে।
ঢাকা/তারা