ঢাকা     মঙ্গলবার   ০১ এপ্রিল ২০২৫ ||  চৈত্র ১৮ ১৪৩১

কক্সবাজারের পর্যটনে নতুন আকর্ষণ: ‘কেয়ারী ক্রুজ এন্ড ডাইন’

তারেকুর রহমান, কক্সবাজার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:২৮, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫   আপডেট: ১৮:৪১, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
কক্সবাজারের পর্যটনে নতুন আকর্ষণ: ‘কেয়ারী ক্রুজ এন্ড ডাইন’

প্রতিদিন সকাল ১০টায় কক্সবাজারের সোনাদিয়া-মহেশখালী ও হিমছড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে জাহাজটি এবং সমুদ্রবিহারের পর ফিরে আসবে কূলে।

সমুদ্র মোহনায় ভেসে বেড়ানোর মতো দারুণ অভিজ্ঞতা দিতে কক্সবাজারের পর্যটনে যোগ হলো নতুন মাত্রা! নীলজল রাশির বুকে বিলাসিতা, মনোমুগ্ধকর প্রকৃতি আর নৌ-বিহারের এক অনন্য সংযোজন ‘কেয়ারী ক্রুজ এন্ড ডাইন’। 

এখানে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত, সমুদ্র আর পাহাড়ের সৌন্দর্য একসঙ্গে উপভোগ করার সুযোগ রয়েছে।

প্রতিদিন সকাল ১০টায় কক্সবাজারের সোনাদিয়া-মহেশখালী ও হিমছড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে জাহাজটি এবং সমুদ্রবিহারের পর ফিরে আসবে কূলে।

ভ্রমণে পর্যটকরা উপভোগ করতে পারবেন বাঁকখালি নদীর মোহনীয় সৌন্দর্য, ম্যানগ্রোভ বন, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের মোহনা, দেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালী, ঐতিহাসিক আদিনাথ মন্দির, বৌদ্ধ মন্দির, সোনাদিয়ার নয়নাভিরাম উপকূল, বৃহৎ খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্প, শুটকি মহাল নাজিরারটেক এবং কক্সবাজার বিমানবন্দরের সম্প্রসারিত রানওয়ে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয় এই নৌ-বিহারের।

পর্যটকরা সেন্টমার্টিনের মনোরম অনুভূতিটা এখানেই উপভোগ করতে পারেন।


জাহাজ কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘কেয়ারী ক্রুজ এন্ড ডাইন’ আগে সেন্টমার্টিন নৌরুটে চলত। তবে, সেন্টমার্টিনে পর্যটক ভ্রমণ নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে এই জাহাজ কক্সবাজারের সোনাদিয়া-মহেশখালী সাগর মোহনায় চালু হয়েছে। পর্যটকরা সেন্টমার্টিনের মনোরম অনুভূতিটা এখানেই উপভোগ করতে পারেন। কক্সবাজারের এই নতুন নৌ-বিহার পর্যটকদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা তৈরি করবে, যা সেন্টমার্টিনের সৌন্দর্যের স্মৃতি মনে করিয়ে দেবে। সমুদ্রবিহারের সময় সূর্যাস্তের দৃশ্য স্বপ্নিল মুহূর্ত তৈরি করবে, যা পর্যটকদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

অভিজ্ঞতা ভাগ করে তানভীর সরওয়ার নিশি বলেন, “বড় জাহাজ নিয়ে সেন্টমার্টিন যাওয়া মজার ব্যাপার। তবে নিষেধাজ্ঞার কারণে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ বন্ধ থাকায় সোনাদিয়া ও মহেশখালী মোহনায় এই জাহাজ নিয়ে ভ্রমণ করার অনুভূতি একেবারে আলাদা। সমুদ্র, পাহাড় এবং ম্যানগ্রোভ বনে পাখির বিচরণ দেখতে বেশ ভালো লাগছে।”

সেলিনা মনির বলেন, “এই ধরনের উদ্যোগ কক্সবাজারের পর্যটন খাত আরও উন্নত করবে। পরিবারসহ কম সময় এবং খরচে এখানে সমুদ্র, পাহাড় এবং প্রকৃতি উপভোগ করা সম্ভব, যা পর্যটকদের জন্য এক দারুণ সুযোগ।”

মোহাম্মদ আলম বলেন, “সেন্টমার্টিনের অনুভূতিটা এখানে পাওয়া যাচ্ছে। পানির পথে চলতে চলতে এমন সুন্দর প্রকৃতি সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে দেখা যায় না।”

এই বিশেষ ভ্রমণযাত্রায় দুপুরে রয়েছে সুস্বাদু খাবারের বিশেষ আয়োজন।


উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ফুয়াদ আল খতীব হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক ডা. শাহ আলম, কেয়ারী ট্যুরস এন্ড সার্ভিস লিমিটেডের পরিচালক শামিনা কাশেম পান্না, এসএম আবু নোমান, সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার-এর সহসভাপতি এমআর মাহবুব, কক্সবাজার ট্যুরিস্ট ক্লাবের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, কেয়ারী ট্যুরস-এর সহকারী ব্যবস্থাপক মো. শাহ আলম, কক্সবাজার অফিস ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ ছিদ্দিকী, কো-অর্ডিনেটর নুর মোহাম্মদ, টুয়াকের সহসভাপতি একেএম মনিবুর রহমান টিটু এবং ফ্ল্যাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হুমায়ুন কবির হিমু।

সহকারী ব্যবস্থাপক মো. শাহ আলম জানান, এই নৌ-বিহারের বিশেষত্ব শুধু ভ্রমণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটি বিয়ের অনুষ্ঠান, ইফতার পার্টি, জন্মদিন উদযাপন, কর্পোরেট মিটিং কিংবা আনন্দ ভ্রমণের জন্যও এক চমৎকার স্থান হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। এই বিশেষ ভ্রমণযাত্রায় দুপুরে রয়েছে সুস্বাদু খাবারের বিশেষ আয়োজন, যা ভ্রমণকে আরও আনন্দময় করে তুলবে।

ঢাকা/এস


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়