ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা করে পেলেন প্রবাসীর স্ত্রীসহ তিনজন

এম মাহফুজুর রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১৩, ৫ অক্টোবর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা করে পেলেন প্রবাসীর স্ত্রীসহ তিনজন

শিল্পী আক্তারের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার ও জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার আতাহার আলী খান এবং ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক উদয় হাকিম

ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা করে পেয়েছেন তিন জেলার আরো তিনজন ক্রেতা। তারা হলেন- কিশোরগঞ্জের গৃহবধূ শিল্পী আক্তার, হবিগঞ্জের কলেজছাত্রী হুমায়রা আক্তার পিংকি এবং সিলেটের বাসচালক এনামুল হক।

ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন ফোর-এ ‘কে হবেন আজকের মিলিয়নিয়ার’ অফারের আওতায় এ টাকা পান তারা।

শিল্পী আক্তার গত ২ আগস্ট বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ওয়ালটনের পরিবেশক শোরুম ‘উদয়ন ইলেকট্রনিক্স ও সোস্যাল মার্কেটিং’ থেকে ১৭ সিএফটির একটি ফ্রিজ কেনেন। এরপর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করলে তার মোবাইলে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার মেসেজ যায়।

গত ৩ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) শিল্পী আক্তারের কাছে ১০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার ও জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার আতাহার আলী খান এবং ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক উদয় হাকিম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাজিতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান সারোয়ার আলম, ওয়ালটনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফিরোজ আলম, অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর রবিউল ইসলাম মিলটন, পিরিজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল জুয়েল, উদয়ন শোরুমের স্বত্বাধিকারী দেলোয়ার হোসেন মান্নান ও স্থানীয় সাংবাদিক নাসরুল আনোয়ার।

অনুষ্ঠানে আতাহার আলী খান বলেন, ‘বিশ্বের এক নম্বর ব্র্যান্ডে পরিণত হতে যাচ্ছে ওয়ালটন। ওয়ালটন সব সময় পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ক্রিকেটের সঙ্গে আছে। ওয়ালটনের সঙ্গে আছি এবং থাকব। সব সময়ই খেলার সঙ্গে থাকবে ওয়ালটন। আপনারা ক্রিকেটকে ভালোবাসুন। ওয়ালটনকে ভালোবাসুন। ভালোবাসুন বাংলাদেশকে।’

ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে পাওয়া ১০ লাখ টাকার চেক গ্রহণ করেন কলেজ ছাত্রী হুমায়রা আক্তার পিংকি

উদয় হাকিম বলেন, ‘একসময় জাহাজ বোঝাই করে ইলেকট্রনিক্স পণ্য আসত বাংলাদেশে। আর এখন জাহাজ বোঝাই করে মেড ইন বাংলাদেশ লেখা ওয়ালটন পণ্য বিশ্বের ৩৫টি দেশে যাচ্ছে। আগে আমরা বলতাম, বাংলাদেশের ঘরে ঘরে ওয়ালটন পণ্য। এখন বলছি বিশ্বের ঘরে ঘরে ওয়ালটন পণ্য।’

সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী শিল্পী আক্তার। দুই মেয়ে এবং এক ছেলে নিয়ে বাস করেন মাছিমপুর আতকা পাড়া গ্রামে। তিনি বলেন, ‘ওয়ালটন পণ্য ভালো সার্ভিস দেয়, তা জানতাম। তাছাড়া আমার অনেক প্রতিবেশী ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনে টিভি, ফ্রিজ, এসি ও ক্যাশভাউচারসহ অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। আমি বাসার জন্য একটি ফ্রিজ কিনি। কিনেই যে ১০ লাখ টাকা পাব, তা ভাবিনি।’

এদিকে, গত ১৬ জুলাই হবিগঞ্জের বগলা বাজারের ওয়ালটনের পরিবেশক শোরুম ‘ইত্যাদি ইলেকট্রনিক্স’ থেকে ৯ সিএফটির একটি ফ্রিজ কেনেন হুমায়রা আক্তার পিংকি। তিনি হবিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী। তিনিও ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আওতায় রেজিস্ট্রেশন করে ১০ লাখ টাকা পান। গত ২৯ সেপ্টেম্বর তার হাতে ১০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ পৌর মেয়র মিজানুর রহমান মিজান ও ওয়ালটনের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর এম মাহফুজুর রহমান।

বিয়ানিবাজারের বাসচালক এনামুল হক গত ২৮ জুলাই স্থানীয় রামধাবাজারে ওয়ালটনের ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম ‘দিহান খাঁ এন্টারপ্রাইজ‘ থেকে ১১ সিএফটির একটি ফ্রিজ কেনেন। তিনিও ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করার পর পান ১০ লাখ টাকা।

গত ১ অক্টোবরর (মঙ্গলবার) তার হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন বিয়ানিবাজার পৌর মেয়র আব্দুস শুকুর, স্থানীয় ব্যবসায়ী লুৎফুর রহমান, জামাল উদ্দীন ও নজিব আলী, বিয়ানিবাজারের রবির ডিস্ট্রিবিউটর শাহেদ আহমেদ চৌধুরী ও ওয়ালটনের এরিয়া ম্যানেজার সুমন রায় চৌধুরীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এছাড়াও ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১ লাখ টাকা করে পেয়েছেন দুজন ক্রেতা। তারা হলেন- মাধবপুর উপজেলার মুড়াপাড়া গ্রামের শ্রমিক মোহাম্মদ আলী এবং কটিয়াদী উপজেলার বালিরার পাড় গ্রামের অটো-রিক্সাচালক নাজমুল মিয়া।

ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে পাওয়া ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেয়া হয় বাসচালক এনামুল হকের হাতে

ওয়ালটন সূত্রে জানা গেছে, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, ব্যাপক বিদ্যুৎসাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব ও সৃজনশীল ডিজাইনের গ্লোবাল মডেলের ফ্রিজ তৈরি করছে ওয়ালটন। এসব ফ্রিজের ডিজাইন, উৎপাদন এবং বিশ্বব্যাপী বিপণন নিয়ে কাজ করছেন ইটালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা। সেজন্য উৎপাদন প্রক্রিয়া, গবেষণা ও উন্নয়ন (আরএনডি), মান নিয়ন্ত্রণ বা কোয়ালিটি কন্ট্রোলসহ (কিউসি) বিভিন্ন বিভাগে স্থাপন করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেশিনারিজ। ওয়ালটন পণ্য আন্তর্জাতিক মানের টেস্টিং ল্যাব নাসদাত-ইউটিএস থেকে মান নিশ্চিত হওয়ার পর বাজারজাত করা হয়।

কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় বাজারে ওয়ালটনের ১৩৭ মডেলের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট, ডিপ ফ্রিজ ও বেভারেজ কুলার পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ১০২ মডেলের ফ্রস্ট ও ২১ মডেলের নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর, ১২ মডেলের ফ্রিজার এবং ২ মডেলের বেভারেজ কুলার। ওয়ালটন ফ্রস্ট ফ্রিজের মধ্যে রয়েছে চোখ ধাঁধানো ডিজাইনের গ্লাস-ডোর, ব্যাপক বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ইনভার্টার ও বিএসটিআইর ‘ফাইভ স্টার’ এনার্জি রেটিং পাওয়া রেফ্রিজারেটর। এসব ফ্রিজ স্ট্যাবিলাইজার ছাড়াই নিশ্চিন্তে চলে।


ঢাকা/এম মাহফুজুর রহমান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়