ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

আন্দোলনে অচল খুলনার বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতাল

মুহাম্মদ নূরুজ্জামান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১৬, ২০ জুন ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আন্দোলনে অচল খুলনার বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতাল

দু’ দফা দাবিতে আন্দোলরত চিকিৎসক-কর্মকর্তা-কর্মচারিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা : ফেন্সিডিলসহ আটক প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহামুদুল হাসান তারিফকে চাকরিচ্যুত এবং পরিচালক ডা. আব্দুল হান্নানের অপসারণ দাবিতে চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারিদের আন্দোলনে অচল হয়ে পড়েছে খুলনার বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতাল।

কর্তৃপক্ষ দাবি মেনে না নেওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে  লাগাতার আন্দোলনের কর্মসূচি শুরু করেছেন তারা।

আন্দোলনের কারণে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে রোগীরা এসে দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও সেবা না পেয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।

আন্দোলনকারীরা জানান, হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহামুদুল হাসান তারিফ  ১০ জুন ফেন্সিডিলসহ পুলিশের হাতে আটক হন। এর পর থেকেই  তার বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি এবং নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা প্রকাশ পেতে শুরু করে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। চিকিৎসক ও কর্মচারিরা মাহামুদুল হাসানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পরিচালকের কাছে অনুরোধ জানান। কিন্তু বিষয়টি গুরুত্ব না দেওয়ায় সোমবার তারা পরিচালককে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করেন। একই সঙ্গে চারদিন ধরে কর্মবিরতি ও মানববন্ধনসহ বিভিন্ন আন্দোলনের কর্মসূচি পালন করছেন। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত হাসপাতালের ডাক্তার-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পরিচালক ডা. আব্দুল হান্নানের অফিস কক্ষের সামনে অবস্থান ধর্মঘট করেন। বেলা ১২টা থেকে সাড়ে ১২ পর্যন্ত কর্মবিরতি এবং বেলা ২টা থেকে পরিচালকের কক্ষে তালা দিয়ে অবরুদ্ধকরণ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ সময় বক্তৃতা করেন ডা. মিজানুর রহমান নাছিম,  ডা. নজরুল ইসলাম, ডা. সাইফুর রহমান, ডা. জুবায়ের রিয়াল, ডা. শিমুল চক্রবর্তী, কর্মকর্তাদের মধ্যে মীর মিজানুর রহমান, কর্মচারীদের মধ্যে গিয়াস জমাদ্দার, মো. খায়রুল ইসলাম, আফরোজা ইয়াসমিন প্রমুখ।

আন্দোলনকারীদের নেতা ডা. সাইফুর রহমান জানান, হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে এবং দাবি আদায়ে আন্দোলন পরিচালনার জন্য হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মিজানুর রহমান নাসিম, ডা. নজরুল ইসলাম এবং ডা. বিএম সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আন্দোলনকারী চিকিৎসক নজরুল বলেন, বর্তমান পরিচালক প্রতিষ্ঠানটি চালাতে সম্পুর্ণ অক্ষম। তিনি ব্যক্তি বিশেষের পরামর্শে সিনিয়র ডাক্তারদের বাদ দিয়ে জুনিয়র ডাক্তার এমনকি অনেক সময় শিক্ষানবীশ ডাক্তার দিয়েও গুরুত্বপুর্ণ অপারেশন করিয়ে থাকেন।

এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডা. আব্দুল হান্নান বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহমুদুলের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।



রাইজিংবিডি/ ২০ জুন ২০১৯/ খুলনা/মুহাম্মদ নূরুজ্জামান/শাহেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়