ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

ঈদের দ্বিতীয় দিনে চিড়িয়াখানায় উপচে পড়া ভিড়

নাসির উদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:০৭, ৬ জুন ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ঈদের দ্বিতীয় দিনে চিড়িয়াখানায় উপচে পড়া ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদের দিনে আনন্দ উদযাপনে রাজধানীবাসীর সামনে বৃষ্টি বাধা হয়ে দাঁড়ালেও দ্বিতীয় দিনে বৃষ্টি না থাকায় সকাল থেকেই বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এরমধ্যে মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানায় সকাল থেকে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।

দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে দর্শনার্থীরা টিকিট কেটে চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করছেন। সবার মুখে আনন্দের ছাপ। বিশেষ করে শিশুদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। পরিবারের ছোট সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বেড়াতে এসেছেন বড়রাও।

চিড়িয়াখানার ভেতরে বাঘ-সিংহের খাঁচার সামনে ভিড় বেশি। খুদে দর্শকরা আপ্রাণ চেষ্টা করছে সিংহের দৃষ্টি আকর্ষণের। ছোট্ট মনে আনন্দের যেন সীমা নেই। বাঘের খাঁচার সামনেও শিশু-অভিভাবকদের ভিড়। অনেক সময় পরে বাঘের একটি গর্জনে সবার আঁতকে ওঠার মতো অবস্থা। হবেই না কেন, এ যে আমাদের বইয়ের গল্প, কবিতার ‘বাঘ মামা’ বলে কথা।

এদিকে, বানরের খাঁচার সামনে এসে পয়সা উসুল দর্শনার্থীদের। বানরের বাঁদরামো, ভেংচি কাটা আর লাফালাফি শিশুরা তো বটেই প্রাণভরে উপভোগ করেন অভিভাবকরাও। এর বাইরে ভাল্লুক, জিরাফ, হাতি, হরিণ, ময়ূরসহ চিড়িয়াখানার সবগুলো খাঁচার সামনেই ছিল দর্শনার্থীদের জটলা।
 


লালবাগ থেকে ছেলে-মেয়ে, স্ত্রী ও মাকে নিয়ে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসেন ইসলামপুরের কাপড় ব্যবসায়ী আতাউল্লাহ জুনায়েদ। তিনি বলেন, বেলা সাড়ে ১১টায় পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি এখানে। নিজের পেশার কারণে সবাইকে ঠিকভাবে সময় দিতে পারি না সব সময়। গতকালই আমাদের বের হবার কথা ছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে তা আর হয়ে উঠেনি। তাই সকালে আকাশ পরিষ্কার থাকায় আর দেরি করিনি। সবাইকে নিয়ে চলে এসেছি। মূলত সন্তানদের বায়না মেটাতেই এখানে আসা। তারা লালবাগ কেল্লা অনেক দেখেছে, সেখানে আর যাবে না। চিড়িয়াখানা দেখবে। কী আর করা, বুঝতেই তো পারছেন। ওরাই তো আমার পৃথিবী।

তিনি আরো বলেন, চিড়িয়াখানায় তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। তাই একবার এলে আর আসতে ইচ্ছা করে না। দিন দিন প্রাণী কমে যাচ্ছে। চিড়িয়াখানায় কাঙ্ক্ষিত বিনোদন পাওয়া যায় না।

তার কথার সঙ্গে যোগ করেন পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শ্যামলীনিবাসী বেসরকারি চাকরিজীবী হুসাইন তালুকদার। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসেছি। ৫ কি ৬ বার এই চিড়িয়াখানায় এসেছি, কিন্তু আগের মতো আর কিছুই নেই। অনেক প্রাণী মারা গেছে। সেই আনন্দ আর পাচ্ছি না। বাচ্চাদের জন্য বাধ্য হয়ে আসা বলা চলে।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/৬ জুন ২০১৯/নাসির/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়