ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

কম বাজেটে সর্বোচ্চ আয়ের ১০ সিনেমা (শেষ পর্ব)

রুহুল আমিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:০২, ৩০ জানুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কম বাজেটে সর্বোচ্চ আয়ের ১০ সিনেমা (শেষ পর্ব)

ছবির কোলাজ

রুহুল আমিন : সর্বোচ্চ আয় করা  হলিউড সিনেমার মধ্যে অ্যাভাটার শীর্ষে আছে। এই সিনেমাটিকে সর্বকালের সবচেয়ে ব্যবসাসফল সিনেমা হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। তা ডিভিডির যুগ হোক আর বর্তমানের অনলাইনের যুগ হোক না কেন। কোটি টাকা ব্যয় করে কোটি টাকা আয় সিনেমার সাধারণ ঘটনা।

অ্যাভাটারের ক্ষেত্রেও এই কথা খাটে। কারণ সিনেমাটি নির্মাণ ব্যয়ও কম ছিল না। অ্যাভাটার নির্মাণে জেমস ক্যামেরনের ব্যয় হয়েছিল ২৩৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার।  যার আয় ছিল খরচের ১০ গুণ।

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, বিশ্ব চলচ্চিত্রে এমন কিছু সিনেমা আছে যার বাজেট খুব কম থাকলেও আয়ের পরিমাণের দিকে চোখ রাখলে অবাক হওয়া ছাড়া উপায় নেই। কিছু কিছু সিনেমার ক্ষেত্রে তো মূল বাজেটের কয়েক শত গুণেরও বেশি আয় হয়েছে।  কম বাজেটে সর্বোচ্চ আয়ের ১০ সিনেমা নিয়ে সাজানো হয়েছে এই প্রতিবেদন।  দুই পর্বের এই প্রতিবেদনের শেষ পর্বে থাকছে-

রকি :  রকি সিনেমাটি ১৯৭৬ সালে মুক্তি পায়। গত শতাব্দীর ৭০ দশকের সবচেয়ে সাড়া জাগানো সিনেমা এটি। আমেরিকান স্পোটর্স ড্রামা ঘরানার এ সিনেমাটি একজন কোমল মনের বক্সারের কাহিনি নিয়ে নির্মিত হয়, যা পরিচালনা করেন জন জি অ্যাভিলডসেন। সর্বকালের সবচেয়ে আন্ডারডগ কাহিনির সিনেমা বিবেচনা করা হয় এই সিনেমাটিকে। আর ব্যবসা সফলের দিক থেকেও সিনেমাটি বেশ এগিয়ে। সিনেমাটি নির্মাণে ব্যয় হয় ১ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলার। আর সবমিলিয়ে সিনেমাটি আয় করে ২২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।


নাইট অব দ্য লিভিং ডেড :  সিনেমাটি ১৯৬৮ সালে মুক্তি পায়। আমেরিকান ইনডিপেন্ডেন্ট হরর এই সিনেমা পরিচালনা করেন জর্জ এ রোমেরো। সিনেমাটি কিছুটা সমালোচনার মুখেও পড়ে মুক্তির পর। আবার প্রশংসাও কুড়িয়েছে বেশ।সিনেমাটি নির্মাণে ব্যয় হয় ১ লাখ ১৪ হাজার মার্কিন ডলার। বক্স অফিস থেকে সিনেমাটি সব মিলিয়ে আয় করে ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
 


ম্যাড ম্যাক্স :
সিনেমাটি ১৯৭৯ সালে মুক্তি পায়। অস্ট্রেলিয়ান এই সিনেমাটি নির্মাণ করেন জর্জ মিলার। অ্যাকশনধর্মী এই সিনেমা নির্মাণে ব্যয় হয় তিন লাখ মার্কিন ডলার। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, এই সিনেমা থেকে আয় হয়েছে ১০ কোটি মার্কিন ডলার। সেসময়ে আয়ের দিক থেকে ছবিটি গিনেস রেকর্ড করে।

দ্য ব্লেয়ার উইচ প্রোজেক্ট : দ্য ব্লেয়ার উইচ প্রোজেক্ট সিনেমাটি ১৯৯৯ সালে মুক্তি পায়। সিনেমাটি সাইকোলজিক্যাল হরর ঘরানার। ড্যানিয়েল ও সানচেজের যৌথ পরিচালনায় নির্মিত হয় সিনেমাটির। এই ঘরানার সিনেমার মধ্যে এটি এখনো সবচেয়ে ভালো সিনেমা বলে বিবেচিত হয়। পরে অবশ্য এই সিনেমার সিক্যুয়েল নির্মাণ করা হয়। সিনেমাটি নির্মাণে ব্যয় হয় ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। আর সব মিলিয়ে আয় করে ২৪৮ দশমিক ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

প্যারানরমাল অ্যাকটিভিটি : সিনেমাটি ২০০৭ সালে মুক্তি পায়। ওরেন পেলি সিনেমাটি পরিচালনা করেন। হরর এই সিনেমাটি ব্যয়ের তুলনায় আয়ের পরিমাণ এখনো সর্বকালের সেরা তালিকায় রয়েছে। অংকের হিসাবটা শুনলে যে কেউ আতকে উঠবেন। কারণ সিনেমাটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে মাত্র ১৫ হাজার মার্কিন ডলার। অবিশ্বাস্য হলো এই যে, সিনেমাটি সর্বসাকল্যে আয় করেছে ১৯৩ দশমিক ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০ জানুয়ারি ২০১৭/রুহুল/শান্ত

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়