ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

করোনা মোকাবিলায় মানুষের পাশে বিদ্যানন্দ ও স্মাইল

আবু বকর ইয়ামিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৫০, ১৮ মার্চ ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
করোনা মোকাবিলায় মানুষের পাশে বিদ্যানন্দ ও স্মাইল

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যখন সবাই আতঙ্কিত, তখন সাধারণ মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে কয়েকটি সংগঠন।

করোনা মোকাবিলায় পথচারী ও অসহায় মানুষের জন্য কাজ করছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন ও স্মাইল ফাউন্ডেশন।

নিজেদের কারখানায় মাস্ক তৈরি করে তা সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণ করছে বিদ্যানন্দ। এছাড়া নিজেদের তহবিল থেকে ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির সহায়তায় মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ করছেন স্মাইল ফাউন্ডেশনের কর্মীরা।

মিরপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে হাত ধোয়ার জন্য পানির ব্যবস্থা, বিনামূল্যে হ্যান্ড সেনিটাইজার, সাবান ব্যবহারের সুযোগ করে দিয়েছে বিদ্যানন্দ।

সংগঠনের প্রতিনিধিরা জানান, সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।  রাজধানীর পল্লবীতে হাত ধোয়ার জন্য উদ্যোগ শুরু হয়েছে।  মঙ্গলবার রাত থেকে ফার্মগেট, মিরপুর-১০, আগারগাঁও, শাহবাগ, গুলশানসহ বিভিন্ন জায়গায় হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়।  বিশেষভাবে বিভিন্ন সড়কের পাশের দেয়ালে রং করে পানির টেপ ও বেসিন বসিয়ে পানির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

রাজধানীতে বিভিন্ন সড়কে চলাচলকারী মানুষকে ভাইরাস থেকে নিরাপদ রাখতে এবং সংক্রমণ রুখতে পথচারীদের হাত ধোয়া নিশ্চিত করতে কাজ করছেন তারা।

সংগঠনের মিরপুর শাখার স্বেচ্ছাসেবক হাবিবুর রহমান সম্রাট রাইজিংবিডিকে বলেন, কাজের প্রয়োজনে যাদের রাস্তায় থাকতে হয়, তারা চাইলেও হাত পরিস্কার করতে পারেন না।  তাদের করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদ রাখতে এবং সংক্রমণ রোধে মূলত এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, পল্লবীতে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।  রাজধানীর আরো বেশকিছু এলাকায় কাজ চলছে।  সড়কের পাশে প্লাস্টিকের খালি ড্রাম বসিয়ে তাতে বেসিন স্থাপন করা হচ্ছে।  রাখা হচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও পানির ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে পানির সংস্থানেরও ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।  কিন্তু পানির ব্যবস্থা নিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। অনেকেই তার বাড়ি থেকে পানি সরবরাহ করতে রাজি হচ্ছেন না।  তবুও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আরো বেশকিছু উদ্যোগ হাতে নিয়েছে সংগঠনটি। এর মধ্যে টিস্যুতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার যুক্ত করে বিতরণ চলছে বলেও জানিয়েছেন হাবিবুর রহমান সম্রাট।

সম্রাট বলেন, টিস্যুতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার যুক্ত করা হবে। এসব টিস্যু আমরা বাসে বিতরণ করব।  যাত্রীরা টিস্যুটি দিয়ে তাদের মোবাইল ফোন, হাত পরিষ্কার করে তা নিরাপদ স্থানে ফেলে দেবে। এতে সংক্রমণ ঝুঁকি অনেকটাই কমে আসবে।

এছাড়া অন্যান্য দেশের মতো মসজিদ, সড়ক, জনবহুল জায়গা, গণপরিবহন  জীবাণুমুক্ত করতে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে।  স‌্যাভলন, হেক্সাসল ও পানি একত্রে মিশিয়ে এ জীবাণুনাশক তৈরি করা হচ্ছে।  আমরা নিজেদের উদ্যোগে হ্যান্ড সেনিটাইজার তৈরি করছি।  পাশাপাশি মাস্ক বিতরণ করছি।

স্মাইল ফাউন্ডেশনের মিডিয়া ম্যানেজার সোহেল আহসান নিপুন রাইজিংবিডিকে বলেন, আমরা সব সময় এসব সেবামূলক কাজ করে থাকি। এখন যেহেতু করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী মারাত্মক আকার ধারণ করেছে, তাই এটি নিয়ে কাজ করছি। প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায় বিনামূল্যে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছি। সমাজের অসহায় মানুষদের মধ্যে ১০ হাজার বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা দেশজুড়ে অ্যান্টিভাইরাল পণ্যগুলোর ঘাটতি মোকাবিলায় সহায়তা করতে চাই।  যতদিন প্রয়োজন হবে ততদিন পর্যন্ত এ কাজ অব্যাহত রাখবো।  ইতিমধ্যে রংপুর, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড়ে অসহায় মানুষের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাঠানো হয়েছে।

 

ইয়ামিন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়