ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘গরু সরিয়ে ঢুকতে হচ্ছে খাবার হোটেলে’

আবু বকর ইয়ামিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১৭, ৯ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘গরু সরিয়ে ঢুকতে হচ্ছে খাবার হোটেলে’

আবু বকর ইয়ামিন : পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পশুর হাট বসেছে গত বুধবার থেকেই। জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এমন কোনো স্থানে পশুর হাট বসানোর বিষয়ে সিটি করপোরেশনের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কোথাও কোথাও সেটি মানা হচ্ছে না।

রাজধানীর লালবাগ এলাকার রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি কর্তৃক ইজারাকৃত হাটে গিয়ে দেখা যায়, খাবার হোটেল, ফার্মেসি, ক্রোকারিজ এবং বিকাশসহ বিভিন্ন দোকানের সামনে গরু বাঁধা। গরু সরিয়েই যেতে হচ্ছে খাবার হোটেলে।

গরুর মলমূত্রের পাশেই খাওয়া-দাওয়া করাটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে অনেকেই হোটেলগুলোতে খেতে পারছেন না। কিন্তু এ বিষয়ে কথা বলে হাটের আয়োজক ও দোকানদার কারো কাছ থেকেই সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

সিটি করপোরেশনের নির্দেশানুযায়ী, সড়ক ও জনপথে যানবাহনসহ পথচারীদের চলাচলে কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না, হাটের নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে কোনো অবস্থাতেই হাট বসানো যাবে না, ইজারাদার জোরপূর্বক পশু ব্যবসায়ীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে হাটে ঢুকতে পারবেন না, হাটের আশপাশের সড়ক দিয়ে গমনকারী কোনো পশু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে জোর করে ফি আদায় করতে পারবে না ইজাদাররা। কিন্ত এসব নির্দেশনার অনেকগুলোই মানা হচ্ছে না।

সরেজমিন দেখা যায়, রুটি, পুরিসহ বিভিন্ন নাশতা তৈরি হচ্ছে মায়ের দোয়া হোটেলে। তার এক হাত দূরত্বেই রয়েছে গরু। হোটেলের ভেতরে যাওয়ার কোনো রাস্তা নেই। হোটেলের মালিক শামীম জানান, ভাই আমরা কী করতে পারি বলেন? বছরে একবার এ আয়োজন হচ্ছে। তাই তেমন কিছু বলতে পারছি না। বললেও কে শুনবে।

আল মদিনা হোটেলে গিয়ে দেখা যায়, কোনো মানুষ ঢুকতে পারছে না। ভেতরে যেতে হলে পোশাক নোংরা হয়ে যেতে পারে। এক পথচারী অভিযোগ করে বলেন, ‘দেখেন এটা কোনো কাজ হলো। আমরা কেউ ভেতরে যেতে পারছি না। আর গিয়েও খাবো কী করে, সামনে গরুর মল ত্যাগ করে আছে। এর পাশে বসে বিরানি খাওয়া যায় বলেন?’

আল মদিনা হোটেলে দায়িত্বরত মো. সজল বলেন, ‘ভাই আমরা একা বললে হবে না। সবাই মিলে বলতে হবে। কিন্তু কেউ দায়িত্ব নিয়ে কথাটা বলতে চায় না। তাই এটার কোনো সমাধান হচ্ছে না।’

গরু বিক্রেতা হামিদ মুন্সী বলেন, ‘আমরা এসব হোটেলগুলোতেই খাচ্ছি। মাঠে জায়গা নেই। তাই এখানেই কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে এখানেই গরু রেখেছি। কর্তৃপক্ষ চাইলে জায়গা ছেড়ে আমাদের চলে যেতে কোনো সমস্যা নেই।’

রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি কর্তৃক ইজারাকৃত হাটের কমিউনিকেশন এক্সিকিউটিভ আলমগীর হোসাইন বলেন, ‘আমরা বলেছি, যাতে জনগণের কোনো ক্ষতি না হয় সে দিকটি খেয়াল রাখতে। তারপরও জনদুর্ভোগ হয় এমন কোনো কিছু করা হলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।’


রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ আগস্ট ২০১৯/ইয়ামিন/হাকিম মাহি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়