ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

গ্যাপ আছে মুদ্রানীতিতে

নাসির উদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১৯, ৩১ জানুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
গ্যাপ আছে মুদ্রানীতিতে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : চলতি অর্থবছরের (২০১৬-১৭) দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি বেসরকারি খাতের জন্য বিনিয়োগবান্ধব হলেও এতে কিছু ‘গ্যাপ’ রয়েছে বলে জানিয়েছেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ।

মঙ্গলবার দুপুরে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রতি ঘোষিত অর্ধবার্ষিক মুদ্রানীতি, দেশের বর্তমান বেসরকারি বিনিয়োগ পরিস্থিতি, ভারতে বাংলাদেশের পাটপণ্য রপ্তানিতে অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্কারোপ এবং বর্তমান বাজেটে আরোপিত কাস্টমস ও ভ্যাট সম্পর্কিত বিষয়ের ওপর আলোচনা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাতলুব আহমাদ বলেন, ঘোষিত নতুন মুদ্রানীতিতে পূর্বের ধারাবাহিকতায় মাত্রাতিরিক্ত স্ফীতি এড়িয়ে চলার কৌশল নেওয়া হয়েছে এবং বেসরকারি খাতের ঋণের যোগান ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ হারে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। যা বৃদ্ধি করে অন্তত ১৭ শতাংশ করা হলে আরো বিনিয়োগসহায়ক হতো বলে আমরা মনে করছি এবং বাংলাদেশকে উচ্চ প্রবৃদ্ধির দেশে উন্নীত করতে ডাবল ডিজিট জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে ৪০ শতাংশের ওপর জিডিপির বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

এছাড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এসএমই) খাতের উন্নয়ন ও ব্যবসাবান্ধব করার জন্য সব ক্ষেত্রে (পুরুষ ও নারী) সুদের হার ৯ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে বলে জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।

বাংলাদেশি পাটপণ্যের ওপর ভারতের আরোপিত অ্যান্টি-ডাম্পিং ডিউটি প্রসঙ্গে তিনি জানান, ভারতে বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ২৯ দশমিক ৬ শতাংশ পাটজাত দ্রব্য। কিন্তু ভারত এরই মধ্যে এই পণ্যে প্রতি টনে ১৯ মার্কিন ডলার থেকে ৩৫১ ডলার পর্যন্ত অ্যান্টি-ডাম্পিং ডিউটি আরোপ করেছে। ফলে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে পাটজাত পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব হবে না। এতে ভারতে পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হবে।

দেশের ব্যাংকিং খাতে নন-পারফর্মিং লোন ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে জানিয়ে তিনি বিলেন, ২০১৬ সালের ৩০ জুনে নন-পারফর্মিং খাতে ৬৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকার ঋণ ছিল। বর্তমানে এর পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। এই হতাশাজনক পরিস্থিতি সমাধান করা জরুরি। অন্যথায় বিনিয়োগে গতি সঞ্চার করা সম্ভব হবে না। পাশাপাশি অপ্রদর্শিত অর্থ বিদেশে পাচাররোধে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও জানান তিনি।

মাতলুব আহমাদ জানান, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে সরকারের আন্তরিকতায় ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়েছে। তবে টেকসই বিনিয়োগ ও শিল্পায়নের স্বার্থে ব্যবসা আরম্ভ, স্থাপনা নির্মাণ অনুমোদন, বিদ্যুৎপ্রাপ্তি, সহজ শর্তে ঋণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে বেশি নজর দেওয়া জরুরি।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩১ জানুয়ারি ২০১৭/নাসির/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়