ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

চট্টগ্রাম গণপরিবহনে যুক্ত হচ্ছে ৪০ নতুন বাস

রেজাউল করিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৫৬, ১৩ জানুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
চট্টগ্রাম গণপরিবহনে যুক্ত হচ্ছে ৪০ নতুন বাস

চালুর অপেক্ষায় থাকা একটি বাসের ভেতরের দৃশ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম মহানগরীতে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং যাত্রী সাধারণের দুর্ভোগ কমাতে কাউন্টার সার্ভিস ভিত্তিক আরো ৪০টি নতুন বাস নামানো হচ্ছে।

প্রাথমিকভাবে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা সি বিচ থেকে কাপ্তাই রাস্তার মাথা পর্যন্ত ১০ নম্বর রুটে এই ৪০টি বাস চলাচল করবে। আগামী ১৫ জানুয়ারি থেকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের এই বিশেষ বাস সার্ভিস নগরীতে চলাচল করবে বলে মালিক গ্রুপের নেতারা জানিয়েছেন।

কাউন্টার সার্ভিসের এই বাসগুলো সিট ক্যাপাসিটির অতিরিক্ত কোনো যাত্রী বহন করবে না। এ ছাড়া কাউন্টারের বাইরে কোনো যাত্রী ওঠানামাও করবে না।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব বেলায়েত হোসেন বেলাল রাইজিংবিডিকে বলেন, আমরা নগরীর গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। প্রাথমিকভাবে আমরা কেবলমাত্র একটি রুটে কাউন্টার ভিত্তিক নতুন বাস সার্ভিস চালু করতে যাচ্ছি। প্রতিটি স্টপেজে প্রতি পাঁচ মিনিট অন্তর যাতে একটি বাস পৌঁছে আমরা সেই চেষ্টা করছি। আগামী ১৫ জানুয়ারি থেকে এই সার্ভিস উদ্বোধন করা হচ্ছে।

বেলায়েত হোসেন জানান, নতুন যাত্রীবাহী বাসগুলো কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে সি বিচ যাওয়ার পথে ১০টি এবং ফিরতি পথে ১২টি স্টপেজে যাত্রী ওঠা-নামা করবে। এর বাইরে পথিমধ্যে কোনো যাত্রী ওঠাবেও না, নামাবেও না। ৪০ সিটের গাড়িগুলোতে সিট ক্যাপাসিটির বাইরে দাঁড়ানো অবস্থায় কোনো যাত্রী নেওয়া হবে না। সি বিচ থেকে কাপ্তাই রাস্তার মাথা পর্যন্ত ৪৫ টাকা এবং সর্বনিম্ম ১০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। এর বাইরে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া দুই টাকা হারে নির্ধারণ করা হয়েছে।

সি বিচ থেকে কাপ্তাই রাস্তার মাথায় যাওয়ার সময় কাঠগড়, হাসপাতাল গেট, ইপিজেড, কাস্টমস, আগ্রাবাদ, দেওয়ানহাট, ওয়াসা মোড়, জিইসি মোড়, ষোলশহর দুই নম্বর গেট, মুরাদপুর এবং বহদ্দারহাটে কাউন্টার এবং স্টপেজ থাকবে।

আর ফিরতি পথে কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে পুরাতন চান্দগাঁও থানা, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, ষোলশহর দুই নম্বর গেট, জিইসি মোড়, লালখান বাজার, দেওয়ানহাট, আগ্রাবাদ এবং ইপিজেড মোড়ে স্টপেজ এবং কাউন্টার থাকবে।

প্রতিটি বাসে নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য আটটি আসন বরাদ্দ রাখা হবে। বাসগুলো কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে কি না, কোনো ধরনের অনিয়ম করছে কি না, পথিমধ্যে যাত্রী ওঠানো-নামানো করছে কি না ইত্যাদি চেক করার জন্য মালিকদের একটি গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। এই গ্রুপ যখন-তখন যেকোনো স্টপেজে বাসে চড়ে সবকিছু পরীক্ষা করবেন। একই সঙ্গে ছয়জন নারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই ছয়জন নারীর সমন্বয়ে গঠিত টিমও বাসের ভেতরে তল্লাশির পাশাপাশি সার্বক্ষণিকভাবে বাসগুলোকে নজরদারিতে রাখবেন। বাসের চালকরা সচরাচর দৈনিক আয় থেকে হিস্যা পেয়ে থাকেন। তবে এই রুটের চল্লিশটি বাসের জন্য চালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে মাসিক বেতনে। যারা প্রতিমাসে নির্দিষ্ট হারে বেতন পাবেন। ভাড়া বা দৈনিক আয়ের সঙ্গে তাদের বেতনের কোনো সম্পর্ক রাখা হচ্ছে না। এতে করে সড়কে বিশৃংখলা ও যাত্রী নেওয়ার ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিযোগিতা থেকে তারা বিরত থাকবেন। সার্ভিসটি যাতে টিকে থাকে এবং নগরবাসীকে যথাযথভাবে প্রত্যাশিত সেবা দিতে পারে সেজন্য পরিবহন মালিক গ্রুপ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।



রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/১৩ জানুয়ারি ২০১৭/রেজাউল/রুহুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়