ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘জলহীন তৃষ্ণার পাথার’

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:০৭, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘জলহীন তৃষ্ণার পাথার’

নিজস্ব প্রতিবেদক :  বসন্তে কোকিল যেমন আবেগাপ্লুত হয়ে কিছু বলতে চায়, আর সেই বলাটাই গান হয়ে যায়। তেমনি প্রাকৃতিক রূপ-বৈচিত্র্য, পারিপার্শ্বিক অবস্থা, মানব-মানবীর প্রেম, হৃদয়ের গহীনে জমা অব্যক্ত কথা ও ব্যথা মাঝে মাঝে কবিকে ভাবিয়ে তোলে, করে আনমনা। জন্ম নেয় ছন্দের, কাব্যের।

‘জলহীন তৃষ্ণার পাথার’ তেমনি একটি কাব্যগ্রন্থ। যেখানে আপনি পাবেন অমিত্রাক্ষরের প্রয়াস, বিষয়ের বিস্তৃর্ণতা আর আবেগের পরিপূর্ণতা। মানুষের স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গের বেদনা, অবচেতন মনের কল্পনা ও রূঢ় বাস্তবতার দ্বন্দ্ব, গভীর মর্মব্যথা, হৃদয়ের গহিনে অনন্ত রক্তক্ষরণ, আজন্ম তৃষ্ণা কাব্যগ্রন্থটির কবিতায় প্রকাশ পেয়েছে।

গ্রন্থটির কবি বিউটি হাসু। এটি প্রকাশ করেছে বলাকা। অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ৪৫৩ নম্বর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে গ্রন্থটি। দাম ১৬০ টাকা। বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন মোস্তাফিজ কারিগর।

বিউটি হাসু প্রায় একযুগ ধরে জাতীয় পত্রিকায় সাংবাদিকতা করছেন। তার লেখা ছোটগল্প, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, ভ্রমণকাহিণী ও মতামত প্রধান রচনা স্বনামে ও বেনামে এ পর্যন্ত বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। তবে    ‘জলহীন তৃষ্ণার পাথার’ তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ।

বইটির নামকরণ বিষয়ে এই কবি বলেন, যদিও নামটি একটু কঠিন হয়েছে। কিন্তু মানুষের জীবনটাই তো কঠিন। সেই কঠিন জীবনের প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তোলা কাব্যগ্রন্থের সহজ নাম দিই কী করে?

লেখালেখির অভিজ্ঞতা সর্ম্পকে বিউটি হাসু বলেন, সেই শৈশব থেকে লেখার হাতেখড়ি। কিছু না বুঝেই মাত্র ৭ বছর বয়সে আমার ছোট মামাতো ভাইকে নিয়ে একটি ছড়া লেখা, এরপর আমার মাকে নিয়ে লিখি ‘মা’ কবিতা। তারপর সুযোগ পেলেই শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে চরণ মিলানোর অপচেষ্টা করেছি।

তিনি বলেন, চুপিচুপি এলোমেলো ভাবনায় কথার মিল খুঁজেছি, শেষ করেছি পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা। লেখিকা হওয়ার সুপ্ত বাসনা আমার মনে ছিল। এই ভাবনা থেকেই পেশা হিসেবে সাংবাদিকতাই প্রাধান্য দে্ওয়া। তবে কবিতার বই প্রকাশ দিয়ে শুরু করবো-এটা কখনো ভাবিনি। লিখতে ভালো লাগতো, তাই যা ইচ্ছে লিখতাম। আমার কবিতার দুটি চরণও যদি পাঠকের হৃদয় স্পর্শ করে, আমার লেখা সার্থক হবে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/হাসান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ