ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

জাতীয় মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন পুরস্কার ৪ মে

নাসির উদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫২, ১২ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জাতীয় মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন পুরস্কার ৪ মে

নিজস্ব প্রতিবেদক : মোবাইল টেলিফোনভিত্তিক বিভিন্ন উদ্যোগের সাথে দেশের তরুণদেরকে সম্পৃক্ত করার ব্যাপারে উৎসাহ ও সহায়তা দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে দেশে দ্বিতীয়বারের মতো দেয়া হবে জাতীয় মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন পুরস্কার। আইসিটি বিভাগ এবং ওয়ার্ল্ড সামিট অ্যাওয়ার্ড এর যৌথ উদ্যোগে ‘জাতীয় মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন পুরস্কার ২০১৭’ নামে এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে।

এ উপলক্ষে বুধবার রাজধানীর আইসিটি বিভাগের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনি বলেন, ‘সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আয়োজিত এই প্রতিযোগিতার সহযোগী গুগল ডেভেলপার গ্রুপ সোনারগাঁও এবং গুগল ডেভেলপার গ্রুপ বাংলা। দেশীয় প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্মিত সেরা মোবাইল কনটেন্ট ও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের ক্ষেত্রে প্রাপ্য স্বীকৃতি প্রদানই এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।’

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আগামী ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতার জন্য আবেদন করা যাবে। নিবন্ধন ও মনোনয়ন জমা দেয়ার জন্য http://appaward.ictd.gov.bd/ এই লিংকে প্রবেশ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘গত ৩ মার্চ এই পুরস্কারে অংশগ্রহণের জন্য আহবান জনানো শুরু হয়। মূলত নতুন অ্যাপ বিশেষ করে তরুণদের করা ইনোভেটিভ প্রকল্প এতে আশা করা হচ্ছে। যেখান থেকে অন্তত কয়েকটি অ্যাপ যেন বড় পরিসরে নিজেকে তুলে ধরার সুযোগ পায়।

এ পর্যন্ত (১১ এপ্রিল) ৮টি ক্যাটাগরিতে সর্বমোট ২৯৩ টি অ্যাপ জমা পড়েছে।  প্রতিটি ক্যাটাগরি হতে ৩ জন করে মোট ২৪ জন অ্যাপ নির্মাতাকে পুরস্কৃত করা হবে। এসব ক্যাটাগরিতে মোবাইল ও ডিজিটাল কনটেন্ট প্রস্তুতকারী কোম্পানি, ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে পারবে বলেও জানান তিনি।

জমাকৃত উদ্ভাবনী অ্যাপগুলোর মধ্যে যথেষ্ট বৈচিত্র রয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এর মধ্যে একটা বড় অংশ আমাদের চারপাশের সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করছে। যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের মোবাইলভিত্তিক উদ্যোগ, যেমন এসএমএস ভিত্তিক সেবা, আইভিআর, অ্যাপ্লিকেশন, গেইম ইত্যাদি। এখন শুরু হচ্ছে বাছাই প্রক্রিয়া। আগামী ২২ এপ্রিল বাছাই প্রক্রিয়াটি চূড়ান্ত করা হবে।

পুরস্কার বিতরণের মূল আয়োজন গ্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড ইভিনিং আয়োজন করা হবে। আগামী ৪ মে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দিনব্যাপী আয়োজনে এক হাজার তরুণ অ্যাপ ডেভেলপার অংশ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সেরা অ্যাপকে স্বীকৃতি জানানোর পাশাপাশি বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এই প্ল্যাটফরম থেকে। এর মধ্যে অনুষ্ঠানের দিনে দিনব্যাপী থাকবে ন্যাশনাল মোবাইল অ্যাপের সম্ভাবনা নিয়ে সেমিনার। এতে বেশ কিছু আলাদা সেশন থাকবে। টেকনিক্যাল সেশনের পাশাপাশি সফলদের গল্প শোনা, অ্যাপ তৈরিতে বাংলাদেশের অবস্থান ও সম্ভাবনার জায়গাগুলোও তুলে ধরা হবে।

এছাড়া থাকবে মোবাইল অ্যাপ প্রদর্শনী। দেশের সেরা ২০টি অ্যাপ তাদের সেবা নিয়ে উপস্থিত থাকবে। অ্যাপগুলো নতুনদের জন্য তাদের অভিজ্ঞতা যেমন শেয়ার করবে একই সাথে ব্যবহারকারীরাও এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, আইসিটি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী, বেসিসের সভাপতি মোস্তাফা জব্বার, বিডিওএসএনের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত ১ম জাতীয় মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন পুরস্কার বিজয়ী ৮টি দল বিশ্বের ডিজিটাল কনন্টেটের সব থেকে সন্মানজনক স্বীকৃতি ওয়ার্ল্ড সামিট অ্যাওয়ার্ড মোবাইল পুরস্কারের গ্লোবাল প্রতিযোগিতার জন্য সরাসরি মনোনীত হয়। আন্তর্জাতিক ওই প্রতিযোগিতায় জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রিটিকালিংক মোবাইল অ্যাপ স্বাস্থ্য বিভাগে বিজয়ী হয়।

এ বছরও বাংলাদেশ থেকে প্রাপ্ত মনোনায়ন যাচাই-বাছাই করবে জুরি বোর্ড। আগামী অক্টোবরে আটটি ক্যাটাগরি থেকে আটজন বিজয়ী নির্বাচন করা হবে এবং মনোনীত করা হবে ওয়ার্ল্ড সামিট অ্যাওয়ার্ড মোবাইল পুরস্কারের গ্লোবাল প্রতিযোগিতার জন্য ।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ এপ্রিল ২০১৭/নাসির/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়