ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

বাংলাদেশকে ভোগালেন রহমত-আসগর

আবু হোসেন পরাগ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:৩২, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বাংলাদেশকে ভোগালেন রহমত-আসগর

আবু হোসেন পরাগ: চট্টগ্রাম টেস্টে ভালো শুরুটা ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। রহমত শাহর সেঞ্চুরি ও আসগর আফগানের ফিফটিতে বড় সংগ্রহের পথে আছে আফগানিস্তান।

বাংলাদেশের হতাশার দিন

লাঞ্চের আগে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে আফগানিস্তানকে বেশ চাপেই ফেলেছিল বাংলাদেশ। তবে চতুর্থ উইকেটে ১২০ রানের জুটিতে চাপটা উল্টো বাংলাদেশকে ফিরিয়ে দেন রহমত ও আসগর। রহমত প্রথম আফগান ব্যাটসম্যান হিসেবে তুলে নেন টেস্ট সেঞ্চুরি।

শেষ সেশনের শুরুতে একই ওভারে দুই উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফিরিয়েছিলেন নাঈম হাসান। এরপর আফসার জাজাইকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশকে আবার হতাশ করেছেন আসগর। প্রথম দিন শেষে সেঞ্চুরি থেকে ১২ রান দূরে আছেন তিনি। ২৫ রানে অপরাজিত আছেন আফসার। দুজন অবিচ্ছিন্ন আছেন ৭৪ রানের জুটিতে।

প্রথম দিন শেষে

আফগানিস্তান : ৯৬ ওভারে ২৭১/৫।

আসগর-আফসার জুটির পঞ্চাশ

মেহেদী হাসান মিরাজকে ডিপ মিডউইকেটের ওপর দিয়ে ছক্কায় উড়ালেন আফসার জাজাই। এই ছক্কায় পূর্ণ হলো ষষ্ঠ উইকেট জুটির পঞ্চাশ রান, ৯৪ বলে।

একই ওভারে দুই উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফিরিয়েছিলেন নাঈম হাসান। তবে আসগর আফগান ও আফসারের জুটিতে আবারো ভুগছে বাংলাদেশ। আফগানরা পেরিয়ে গেছে আড়াইশ।

৮৬ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৫৩ রান। আসগর ৭৬ ও আফসার ২৯ রানে অপরাজিত আছেন তখন।   

আসগরের ফিফটি

আগের ওভারে পড়েছে দুই উইকেট। পরের ওভারে ফিফটি তুলে নিয়েছেন আসগর আফগান। ৯৬ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করতে ২টি চারের পাশাপাশি একটি ছক্কা হাঁকান তিনি। এটি তার প্রথম টেস্ট ফিফটি।  

নাঈমের দ্বিতীয় শিকার নবী

ওভারের দ্বিতীয় বলে ফিরিয়েছিলেন সেঞ্চুরিয়ান রহমত শাহকে। শেষ বলে আরো একটি উইকেট নিয়েছেন নাঈম হাসান। অফ স্পিনারের বলে বোল্ড হয়েছেন মোহাম্মদ নবী। তিন বলে তিনি করেছেন শূন্য রান।

তখন ৭০ ওভারে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৯৭ রান। আসগর আফগান ৪৯ ও আফসার জাজাই শূন্য রানে অপরাজিত আছেন।

 

রহমতকে থামালেন নাঈম

আগের বলে চার মেরে পূর্ণ করেছিলেন সেঞ্চুরি। পরের বলে রহমত শাহকে ফিরিয়ে ১২০ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি ভেঙেছেন নাঈম হাসান।

অফ স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে আলগা শট খেলে স্লিপে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দেন রহমত। ১৮৭ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় তিনি করেন ১০২ রান।

সেঞ্চুরি করে রহমতের ইতিহাস

সেঞ্চুরিটা পেতে পারতেন দেশের দ্বিতীয় টেস্টেই। তবে রহমত শাহ গত মার্চে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আউট হয়েছিলেন ৯৮ রানে। এবার আর ভুল করেননি। বাংলাদেশের বিপক্ষে তুলে নিয়েছেন দারুণ এক সেঞ্চুরি।

৯৮ থেকে নাঈম হাসানকে চার হাঁকিয়ে রহমত তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন ১৮৬ বলে। আফগানিস্তানের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে সেঞ্চুরি করলেন তিনি। নাম লেখালেন ইতিহাসে।

বাংলাদেশের হতাশার সেশন

লাঞ্চের আগে যখন আফগানিস্তানের তৃতীয় উইকেট পড়ল, ভীষণ চাপে তখন সফরকারীরা। লাঞ্চের পর রহমত শাহর সঙ্গে যোগ দিলেন আসগর আফগান। এই দুজনের ব্যাটে চাপটা জেঁকে বসল উল্টো বাংলাদেশের ওপর।

দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশ পায়নি কোনো উইকেট। পুরো সেশনে বাংলাদেশের বোলারদের ভুগিয়েছেন রহমত ও আসগর। সুযোগ অবশ্য এসেছিল কিছু। তবে ফিল্ডাররা সেগুলো কাজে লাগাতে পারেননি। মেহেদী হাসান মিরাজ আসগরকে এলবিডব্লিউ করলেও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান আফগান ব্যাটসম্যান।

চা বিরতির সময় আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৬৮ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯১ রান। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৩ রান দূরে আছেন রহমত। আসগর ফিফটি থেকে ২ রান দূরে আছেন। দুজন চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন আছেন ১১৪ রানের জুটিতে।

 

রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন আসগর

শতরানের জুটি ভেঙে বাংলাদেশকে বড় স্বস্তি এনে দিয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এলবিডব্লিউ করেছিলেন আসগর আফগানকে। তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেছেন এই ব্যাটসম্যান।

অফ স্পিনারের মিডল স্টাম্পে পিচ করা বল খানিকটা বেরিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তবে ব্যাটে খেলতে পারেননি। বল আঘাত করে তার প্যাডে। জোরালো আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার নাইজেল লং। আসগর নেন রিভিউ। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল লেগ স্টাম্প মিস করে যেত। তখন ৪২ রানে ব্যাট করছিলেন আসগর।

রহমত-আসগর জুটির একশ

তাইজুল ইসলামকে কাট করে চার মারলেন রহমত শাহ। এই চারে আফগানিস্তানের চতুর্থ উইকেট জুটি স্পর্শ করল শতরান, ১৭১ বলে।

টেস্ট ক্রিকেটে এটি আফগানিস্তানের তৃতীয় শতরানের জুটি। তিনটিতেই জড়িয়ে আছেন রহমত শাহ। আর চতুর্থ উইকেটে এটিই আফগানিস্তানের প্রথম শতরানের জুটি।

দারুণ ব্যাটিংয়ে রহমত এগিয়ে যাচ্ছেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দিকে। ফিফটির পথে আছেন তার সঙ্গী আসগর আফগান।

৬২ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৭৮ রান। রহমত ৯১ ও আসগর ৪১ রানে অপরাজিত আছেন।  

রহমত-আসগর জুটির পঞ্চাশ

আগের ওভারে সৌম্য সরকারের পরপর দুই বলে একটি করে চার ও ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন আসগর আফগান। পরের ওভারে রহমত শাহর সিঙ্গেলে তাদের চতুর্থ উইকেট জুটি স্পর্শ করেছে পঞ্চাশ রান, ৮৫ বলে। আফগানিস্তানের ইনিংসে প্রথম পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি এটি।

৪৭ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১২৭ রান। রহমত ৫৩ ও আসগর ২৮ রানে অপরাজিত আছেন।  

অবশেষে পেসারের হাতে বল

বাংলাদেশের একাদশে নেই কোনো বিশেষজ্ঞ পেসার। হাত ঘোরানো প্রথম পাঁচজনের সবাই ছিলেন স্পিনার। ৪৪তম ওভারে পার্ট-টাইম মিডিয়াম পেসার সৌম্য সরকারের হাতে বল তুলে দিয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

 

রহমতের ফিফটি

বৃষ্টি বিরতির পর ফিরেই ফিফটি পূর্ণ করেছেন রহমত শাহ। ডানহাতি ব্যাটসম্যান ৪৯ থেকে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ৮৫ বলে স্পর্শ করেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি।

রহমত তিনটি ফিফটি করলেন টানা তিন ইনিংসে। আগের টেস্টে গত মার্চে দেরাদুনে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন ৯৮ ও ৭৬ রানের দুটি ইনিংস।

আবার খেলা শুরু

বৃষ্টি থেমেছে দ্রুতই। ২৩ মিনিট বিরতির পর আবার শুরু হয়েছে খেলা, বেলা ১টা ২৮ মিনিটে।

হঠাৎ বৃষ্টি

হঠাৎ বৃষ্টি নেমেছে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। তাতে বেলা ১টা ৫ মিনিটে বন্ধ হয়ে গেছে খেলা। কাভারে ঢেকে দেওয়া হয়েছে উইকেট।

বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ৪১ ওভারে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১০৫ রান। রহমত শাহ ৪৯ ও আসগর আফগান ১০ রানে অপরাজিত আছেন।

আফগানিস্তানের একশ

তাইজুল ইসলামকে বোলারের মাথার ওপর দিয়ে দারুণ একটি ছক্কা হাঁকালেন রহমত শাহ। এই ছক্কায় আফগানিস্তানের সংগ্রহ ছাড়াল একশ। রহমত পৌঁছে গেলেন ব্যক্তিগত ৪৯ রানে।

৩৯ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১০৪ রান। রহমত ৪৯ ও আসগর আফগান ৯ রানে অপরাজিত আছেন।

 

প্রথম সেশন বাংলাদেশের

প্রথম দিনের প্রথম সেশনে দাপট দেখিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। আফগানিস্তান হারিয়েছে ৩ উইকেট। ১৩ ওভারে টানা স্পেলে দুই ওপেনারকে ফেরান তাইজুল ইসলাম। লাঞ্চের আগে মাহমুদউল্লাহর শিকারে পরিণত হন হাশমতউল্লাহ শাহিদি।

লাঞ্চ বিরতির সময় ৩২ ওভার ৪ বলে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৭৭ রান। রহমত শাহ ৩১ রানে অপরাজিত আছেন।  

মাহমুদউল্লাহর শিকার হাশমতউল্লাহ

লাঞ্চের আগে এটিই ছিল শেষ ওভার। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান প্রথমবারের মতো বল তুলে দেন মাহমুদউল্লাহর হাতে। আক্রমণে এসে নিজের প্রথম ওভারেই উইকেট পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।

অফ স্পিনারকে কাট করে চার মারতে চেয়েছিলেন হাশমতউল্লাহ শাহিদি। তবে ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ চলে যায় স্লিপে। দুবারের চেষ্টায় দারুণ একটি ক্যাচ নেন সৌম্য সরকার।

৩২ বলে ২ চারে হাশমতউল্লাহ করেন ১৪ রান। তখন ৩২ ওভার ৪ বলে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৭৭ রান।

  

তাইজুলের দ্বিতীয়

বাংলাদেশকে আবার সাফল্য এনে দিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। ইব্রাহিম জাদরানকে ফিরিয়ে ২৯ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি ভেঙেছেন তিনি।

ডাউন দ্য উইকেটে এসে বাঁহাতি স্পিনারকে ছক্কায় উড়াতে চেয়েছিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। নিজের বাঁ দিকে খানিকটা পেছনে দৌড়ে লং অফে ক্যাচ নেন মাহমুদউল্লাহ।

৬৯ বলে ৩ চারে ইব্রাহিম করেন ২১ রান। তখন ২৪ ওভার ১ বলে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৪৮ রান। ১৭ রানে ব্যাটিং করা রহমত শাহর সঙ্গে যোগ দিয়েছেন হাশমতউল্লাহ শাহিদি।

বাংলাদেশের প্রথম, তাইজুলের ১০০​

বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। বাঁহাতি স্পিনার ইহসানউল্লাহ জানাতকে ফিরিয়ে ভেঙেছেন ১৯ রানের উদ্বোধনী জুটি। ইহসানউল্লাহকে বোল্ড করে মোহাম্মদ রফিক ও সাকিব আল হাসানের পর তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ১০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তাইজুল।

রাউন্ড দ্য উইকেটে তাইজুলের বলটা মিডল স্টাম্পে পড়ে টার্ন করে ভেঙে দেয় স্টাম্প। ইহসানউল্লাহ ৩৬ বলে করেন ৯ রান। ইব্রাহিম জাদরানের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন রহমত শাহ। 

 

বাংলাদেশের আঁটসাঁট বোলিং

কোনো পেসার ছাড়া খেলতে নামা বাংলাদেশ শুরুতে আঁটসাঁট বোলিংয়ে আফগানিস্তানকে চেপে ধরেছে। নতুন বলে দুই প্রান্ত থেকে বোলিং শুরু করেন দুই বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এক ওভার করার পর সাকিব অবশ্য আর আক্রমণে আসেননি, বল তুলে দেন অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে।

প্রথম ১০ ওভারে আফগানিস্তান পেয়েছে মাত্র একটি বাউন্ডারি, সেটাও দশম ওভারে; অভিষিক্ত ইব্রাহিম জাদরানের ব্যাট থেকে। ১০ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১৫ রান। ইব্রাহিম ৯ ও ইহসানউল্লাহ ৬ রানে অপরাজিত আছেন।

তাইজুল পাঁচ ওভারে দুই মেডেনে দিয়েছেন মাত্র ৪ রান। মিরাজ চার ওভারে একটি মেডেনে দিয়েছেন ৯। সাকিব এক ওভারে দিয়েছেন ২ রান।

 

আফগানিস্তানের এক পেসার

আফগানিস্তান অবশ্য একাদশে একজন পেসার রেখেছে, খেলছেন ইয়ামিন আহমাদজাই। তাদের একাদশেও স্পিনার রয়েছেন চারজন। অভিষেক হয়েছে প্রস্তুতি ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেওয়া চায়নাম্যান জহির খান ও লেগ স্পিনার কায়েস আহমেদের। টেস্ট ক্যাপ পেয়েছেন প্রস্তুতি ম্যাচে ফিফটি করা ওপেনার ব্যাটসম্যান ইব্রাহিম জাদরানও।  

আফগানিস্তান একাদশ

ইহসানউল্লাহ জানাত, ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শাহিদি, আসগর আফগান, মোহাম্মদ নবী, আফসার জাজাই, রশিদ খান, ইয়ামিন আহমদজাই, কায়েস আহমেদ, জহির খান।  

পেসারহীন বাংলাদেশ

ব্যাপারটা অনুমিতই ছিল। চট্টগ্রাম টেস্টে কোনো বিশেষজ্ঞ পেসার ছাড়াই একাদশ সাজিয়েছে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানসহ স্পিনার রয়েছেন চারজন। অতিরিক্ত ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন মোসাদ্দেক হোসেন। অফ স্পিনে হাত ঘোরাতে পারেন তিনিও।  

বাংলাদেশ একাদশ

সৌম্য সরকার, সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, লিটন দাস, মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান।

টস

টেস্ট অধিনায়কত্বের অভিষেকে টস ভাগ্য পাশে পেলেন রশিদ খান। আফগানিস্তান অধিনায়ক বেছে নিলেন ব্যাটিং। হওয়ার রেকর্ডও গড়েছেন এই লেগ স্পিনার। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু সকাল দশটায়।

লড়াইয়ের আশা রশিদ খানের

সীমিত পরিসরের ক্রিকেটে গত কয়েক বছরে পরস্পরের প্রবল প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। দুই দলের খেলোয়াড়রা একে অন্যের সম্পর্কে জানেন ভালোভাবেই।

আগের দিন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান তাই বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ও আমরা অনেক ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলেছি। আমরা ওদের ব্যাটসম্যান, বোলারদের সম্পর্কে জানি। ওরাও আমাদের সম্পর্কে জানে। এটা তাই দারুণ এক লড়াই হবে।’

দুঃসময় কাটাতে জয় চান সাকিব

সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেটের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। জাতীয় দল বিশ্বকাপ ব্যর্থতায় পর হোয়াইটওয়াশ হয়ে এসেছে শ্রীলঙ্কা সফর থেকে। বলার মতো সাফল্য নেই ‘এ’ কিংবা বয়সভিত্তিক দলেরও। অবস্থার বদল আনতে আফগানদের বিপক্ষে জয়টা তাই ভীষণ প্রয়োজন।

অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও মনে করেন, একটি জয় সবকিছু পাল্টে দিতে পারে, ‘শেষ কিছুদিন আমাদের ক্রিকেটে ভালো সময় কাটেনি। সবদিক থেকে। সেটা ‘এ’ দল বলেন, একাডেমি দল বলেন। অনুর্ধ্ব-১৯ দল ইংল্যান্ডে একটা ফাইনালে গিয়েছিল। এ ছাড়া কোথাও আমাদের ভালো কোনো সাফল্য নেই। সেদিক থেকে বললে এই ম্যাচটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি এ ম্যাচটি ভালোভাবে জিততে পারি অনেক কিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করবে।’

ফেরার টেস্টে বাংলাদেশের আফগান পরীক্ষা

অবশেষে ফুরাচ্ছে অপেক্ষা। ছয় মাস পর টেস্ট খেলতে নামছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠের হিসাব ধরলে বিরতিটা আরো বেশি, প্রায় দশ মাস। ফেরার টেস্টে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ টেস্টের নবীনতম সদস্য আফগানিস্তান। তবে নিজেদের প্রথম দুই টেস্টের একটি জেতা আফগানদের হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই মোটেই। ঘরের মাঠে এ বছর এটাই বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র টেস্ট।   

টেস্ট ক্রিকেটে কোনো প্রতিপক্ষের সঙ্গে প্রথম দেখায় বাংলাদেশ জিততে পারেনি। এবার বদলাবে সেই ইতিহাস? জানা যাবে কয়েক দিনেই!

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়