ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারল না বাংলাদেশ

আবু হোসেন পরাগ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৩৩, ৩১ জুলাই ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারল না বাংলাদেশ

আবু হোসেন পরাগ : ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে শর্ট ফাইন লেগে খেলে সিঙ্গেলের জন্য ছুটলেন তাইজুল ইসলাম। ফিল্ডারের থ্রোয়ে বল ধরে স্টাম্প ভাঙলেন উইকেটকিপার কুশল পেরেরা। রুবেল হোসেন হলেন রান আউট। বাংলাদেশের ব্যর্থতার ষোলকলা তাতে পূর্ণ হলো। শেষ ম্যাচেও ধরা দিল না কাঙ্ক্ষিত জয়। বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করেই ছাড়ল শ্রীলঙ্কা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

শ্রীলঙ্কা: ৫০ ওভারে ২৯৪/৮

বাংলাদেশ: ৩৬ ওভারে ১৭২

ফল: শ্রীলঙ্কা ১২২ রানে জয়ী

সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজ শ্রীলঙ্কা ৩-০ তে জয়ী।

শেষ ম্যাচেও উড়ে গেল বাংলাদেশ

শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে রান আউট হয়েছেন রুবেল হোসেন। ২৯৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ থেমেছে ১৭২ রানে। তাতে শেষ ম্যাচেও সঙ্গী হয়েছে আরেকটি বড় হার।

তিনশর কাছাকাছি লক্ষ্য তাড়ায় সৌম্য সরকার ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যানই দাঁড়াতে পারেননি। ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৯ রান আসে সৌম্যর ব্যাট থেকে। ২৮ বলে অপরাজিত ৩৯ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে পরাজয়ের ব্যবধান কমান তাইজুল ইসলাম। তৃতীয় সর্বোচ্চ রান ১৪, এনামুল হক বিজয়ের। ২৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার সেরা বোলার দাসুন শানাকা।

৯১ রানের হারে বাংলাদেশ শুরু করেছিল সিরিজ। পরের ম্যাচ হেরেছিল ৭ উইকেটে। এবার শেষ ম্যাচ হারল ১২২ রানে। সিরিজে বাংলাদেশ যে ন্যূনতম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি, তা স্পষ্ট পরাজয়ের ব্যবধানেই।

স্টাম্পড হলেন শফিউল

লেগ স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে পা বাড়িয়ে খেলতে গিয়ে স্টাম্পড হয়েছেন শফিউল ইসলাম। বাংলাদেশ তাতে হারের পথে এগিয়ে গেছে আরেক ধাপ।

শফিউলের বিদায়ের সময় ৩৩ ওভার ১ বলে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। তাইজুল ইসলামের সঙ্গে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যোগ দিয়েছেন রুবেল হোসেন।

শেষ হলো সৌম্যর লড়াই

অন্যদের ব্যর্থতার মিছিলে একাই লড়ছিলেন সৌম্য সরকার। তাকে থামিয়েছেন আকিলা ধনঞ্জয়া। লেগ স্পিনারের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৮৬ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় ৬৯ রান করেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

সৌম্যর বিদায়ের সময় ৩১ ওভার ৫ বলে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১৪৩ রান। তাইজুল ইসলামের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন শফিউল ইসলাম।

শর্ট বলে ফিরলেন মিরাজ

সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজও। লাহিরু কুমারার শর্ট বলে কাভারে ক্যাচ দেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

মিরাজ ৮ রানে ফেরার সময় ২৬ ওভার ৬ বলে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১১৭ রান। সৌম্য সরকার ৫৬ ও তাইজুল ইসলাম শূন্য রানে অপরাজিত আছেন।

ধনঞ্জয়ার দুর্দান্ত ক্যাচে আউট সাব্বির

রিভিউ নিয়ে বেঁচে যাওয়ার পরও ইনিংস বড় করতে পারলেন না সাব্বির রহমান। লাহিরু কুমারার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করেছিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এক্সট্রা কাভারে বাঁদিকে ডাইভ দিয়ে দারুণ ক্যাচ নেন বদলি ফিল্ডার ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।

সাব্বির ৭ রানে ফেরার সময় ২৪ ওভার ৪ বলে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১০৫ রান। সৌম্য সরকারের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

সৌম্যর ফিফটি

সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলের মধ্যে এক প্রান্তে একাই লড়ে যাচ্ছেন সৌম্য সরকার। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান তুলে নিয়েছেন ফিফটি। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে চার হাঁকিয়ে ৬১ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন তিন নম্বরে নামা সৌম্য।  

রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন সাব্বির

আকিলা ধনঞ্জয়াকে সুইপ করতে গিয়ে বল মিস করেছিলেন সাব্বির রহমান। বল আঘাত হেনেছিল তার প্যাডে। এলবিডব্লিউয়ের জোরালো আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। সাব্বির সঙ্গে সঙ্গেই নেন রিভিউ। রিপ্লতে দেখা যায়, বল প্যাডে লাগার আগে তার গ্লাভস ছুঁয়েছিল।

শানাকার তৃতীয় শিকার মাহমুদউল্লাহ

আরো একটি উইকেট নিলেন দাসুন শানাকা। এবার তার শিকার মাহমুদউল্লাহ। অফ স্টাম্পে লেংথ বলে ব্যাট চালিয়েছিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় উইকেটের পেছনে। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে এক হাতে দারুণ ক্যাচ নেন উইকেটকিপার কুশল পেরেরা।

১২ বলে একটি চারে মাহমুদউল্লাহ করেন ৯ রান। তখন ১৯ ওভার ৪ বলে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৮৩ রান। ৩৮ রানে ব্যাটিং করা সৌম্য সরকারের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সাব্বির রহমান।

টিকলেন না মিথুনও

দলের বিপদের সময় বেশিক্ষণ টিকলেন না মোহাম্মদ মিথুনও। দাসুন শানাকার অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট বল পুল করেছিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ফাইন লেগে তিনবারের চেষ্টায় ক্যাচ নেন লাহিরু কুমারা।

মিথুন ৪ রানে ফেরার সময় ১৫ ওভার ৪ বলে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৬০ রান। ২৫ রানে ব্যাটিং করা সৌম্য সরকারের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।

এবার পারলেন না মুশফিক

প্রথম দুই ম্যাচে দলের বিপদের মুখে দারুণ খেলেছিলেন। মুশফিকুর রহিম দুই ম্যাচেই ছাড়িয়েছিলেন পঞ্চাশ। তবে শেষ ম্যাচে তেমন কিছু করতে পারলেন না উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।

দাসুন শানাকার অফ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে স্লিপে কুশল মেন্ডিসের হাতে ধরা পড়েন মুশফিক। ১৫ বলে ১০ রানে শেষ হয় তার ইনিংস।

তখন ১২ ওভারে ৪৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ। ১৫ রানে ব্যাটিং করা সৌম্য সরকারের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মোহাম্মদ মিথুন।   

দুই চারের পর আউট বিজয়

আগের দুই বলে মেরেছিলেন টানা দুই চার। কাসুন রাজিথার পরের বলে আবার বাউন্ডারি মারতে গিয়ে আউট হয়ে গেলেন এনামুল হক বিজয়।

লেগ স্টাম্পের ওপরের বলটা ফ্লিক করে স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তবে টপ-এজ হয়ে ক্যাচ উঠে যায় আকাশে। মিড উইকেটে দারুণ ক্যাচ নেন আভিসকা ফার্নান্দো।

সিরিজে প্রথমবার সুযোগ পাওয়া বিজয় ২৪ বলে ২ চারে করেন ১৪ রান। বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ৮ ওভারে ২ উইকেটে ২৯। সৌম্য সরকারের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম।

ব্যর্থতার বৃত্তেই তামিম

পুরো বিশ্বকাপে ভালো করতে পারেননি। তামিম ইকবাল ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারলেন না পুরো শ্রীলঙ্কা সফরেও। বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শূন্য ও ১৯ রানের পর আজ শেষ ম্যাচে আউট হলেন ২ রানে।

কাসুন রাজিথার শরীর থেকে বাইরের বলে ড্রাইভ করেছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ যায় উইকেটকিপার কুশল পেরেরার হাতে।

দ্বিতীয় ওভারে তামিমের বিদায়ে ভাঙে ৪ রানের উদ্বোধনী জুটি। তার সঙ্গে ইনিংস শুরু করতে নামেন এনামুল হক বিজয়। তিন নম্বরে নেমেছেন সৌম্য সরকার।

বাংলাদেশের সামনে বড় লক্ষ্য

বোলিংয়ে শুরুটা হয়েছিল দারুণ। শফিউল ইসলাম ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছিলেন পঞ্চম ওভারেই। তবে ভালো শুরুটা ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। দারুণ ফিফটিতে শ্রীলঙ্কাকে তিনশর কাছাকাছি পুঁজি এনে দিয়েছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ও কুশল মেন্ডিস। চল্লিশোর্ধ ইনিংস এসেছে দিমুথ করুনারত্নে ও কুশল পেরেরার ব্যাট থেকে। শেষ ১০ ওভারে শ্রীলঙ্কা তুলেছে ১০৬ রান। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশকে করতে হবে ২৯৫ রান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

শ্রীলঙ্কা: ৫০ ওভারে ২৯৪/৮ (ফার্নান্দো ৬, করুনারত্নে ৪৬, পেরেরা ৪২, মেন্ডিস ৫৪, ম্যাথুস ৮৭, শানাকা ৩০, জয়াসুরিয়া ১৩, হাসারাঙ্গা ১২*, ধনঞ্জয়া ০, রাজিথা ০*; শফিউল ৩/৬৮, রুবেল ১/৫৫, তাইজুল ১/৩৪, মিরাজ ০/৫৯, সৌম্য ৩/৫৬, মাহমুদউল্লাহ ০/২২)।

দুই বলে দুই উইকেট সৌম্যর

শেষ ওভারে পরপর দুই বলে দুই উইকেট নিয়েছেন সৌম্য সরকার। এই মিডিয়াম পেসার শুরুটা করেছিলেন ওয়াইড দিয়ে। বৈধ প্রথম বলে ফেরান বিপজ্জনক হয়ে ওঠা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ৯০ বলে ৮ চার ও এক ছক্কায় ৮৭ রান করা ম্যাথুস।

পরের বল ছক্কায় উড়াতে গিয়ে লং অফে সাব্বির রহমানের হাতে ধরা পড়েন আকিলা ধনঞ্জয়া। পঞ্চম বলে আরেকটি উইকেট পেতে পারতেন সৌম্য। তবে এবার লং অনে কঠিন ক্যাচটা নিতে পারেননি সাব্বির।

শফিউলের তৃতীয়

আরো একটি উইকেট নিলেন শফিউল ইসলাম। তার তৃতীয় শিকার শেহান জয়াসুরিয়া। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে কাভারে তামিম ইকবালের হাতে ক্যাচ দেন ১৩ রান করা এই ব্যাটসম্যান।   

‘প্রায়শ্চিত্ত’ করলেন সাব্বির

আগের ওভারে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের ক্যাচ ফেলেছিলেন। পরের ওভারে দাসুন শানাকার দারুণ একটি ক্যাচ নিয়ে সেটির প্রায়শ্চিত্ত করলেন সাব্বির রহমান।

শফিউল ইসলামের অফ স্টাম্পের বাইরের বল বোলারের মাথার ওপর দিয়ে উড়াতে চেয়েছিলেন শানাকা। লং অফ থেকে দৌড়ে এসে দারুণ নিচু ক্যাচ নেন সাব্বির।

১৪ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় শানাকা করেন ৩০ রান। তার বিদায়ে ভাঙে ৫২ রানের জুটি। তখন ৪৬ ওভার ১ বলে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৫১ রান। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ৭০ ও শেহান জয়াসুরিয়া শূন্য রানে অপরাজিত আছেন।

ম্যাথুসকে জীবন দিলেন সাব্বির

মেহেদী হাসান মিরাজকে ছক্কায় উড়াতে গিয়ে বল আকাশে তুলেছিলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। লং অন থেকে দৌড়ে এসে বল হাতে নিলেও ধরে রাখতে পারেননি সাব্বির রহমান। ৬৩ রানে জীবন পেয়ে পরের বলেই চার হাঁকান ম্যাথুস।

ম্যাথুসের ফিফটি

রুবেল হোসেনকে চার মেরে ফিফটি তুলে নিয়েছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। ৬৯ বলে ফিফটি করতে ৫টি চার মারেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন অধিনায়ক।

সৌম্যর শিকার মেন্ডিস

কুশল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে ১০১ রানের বড় জুটি ভেঙেছেন পার্ট-টাইমার সৌম্য সরকার। মিডিয়াম পেসারের স্লোয়ার বল ছক্কায় উড়াতে চেয়েছিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। লং লনে দারুণ ক্যাচ নেন সাব্বির রহমান।

৫৮ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় মেন্ডিস করেন ৫৪ রান। তখন ৪১ ওভার ৩ বলে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৯৯ রান। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ৪৮ ও দাসুন শানাকা শূন্য রানে অপরাজিত আছেন।

মেন্ডিস-ম্যাথুস জুটির একশ

চতুর্থ উইকেটে শতরানের জুটি গড়েছেন কুশল মেন্ডিস ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। ১১৯ বলে ছুঁয়েছে তাদের জুটি সেঞ্চুরি।

ছক্কায় মেন্ডিসের ফিফটি

তাইজুল ইসলামকে সুইপ করে ছক্কায় উড়ালেন কুশল মেন্ডিস। ইনিংসে শ্রীলঙ্কা প্রথম ছক্কা পেল ৪১তম ওভারের প্রথম বলে। এই ছক্কায় মেন্ডিস পূর্ণ করলেন ফিফটি। ৫৫ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় পঞ্চাশ পূর্ণ করেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।

মেন্ডিস-ম্যাথুস জুটির পঞ্চাশ

পরপর দুই ওভারে দুই সেট ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর চতুর্থ উইকেটে প্রতিরোধ গড়েছেন কুশল মেন্ডিস ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। তাদের জুটি ছুঁয়েছে পঞ্চাশ, ৭০ বলে।

৩৪ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৫৩ রান। মেন্ডিস ৩৩ ও ম্যাথুস ২৩ রানে ব্যাট করছেন।   

শ্রীলঙ্কার একশ

ঠিক ২৩ ওভারে দলীয় শতরান পূর্ণ করেছে শ্রীলঙ্কা। এর মধ্যেই তারা হারিয়েছে ৩ উইকেট। কুশল মেন্ডিস ২ ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ১ রানে ব্যাট করছেন।

রুবেলের শিকার পেরেরা

আগের ওভারে দিমুথ করুনারত্নেকে ফিরিয়ে বড় জুটি ভেঙেছিলেন তাইজুল ইসলাম। পরের ওভারে আরেক সেট ব্যাটসম্যান কুশল পেরেরাকে বিদায় করলেন রুবেল হোসেন।

ডানহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করেছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে।

৫১ বলে ৬ চারে পেরেরা করেন ৪২ রান। তখন ২১ ওভার ২ বলে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৯৮ রান। উইকেটে দুই নতুন ব্যাটসম্যান কুশল মেন্ডিস ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস।

করুনারত্নেকে ফিরিয়ে তাইজুলের প্রথম

পানি পানের বিরতির পর ৮৩ রানের বড় জুটি ভেঙেছেন তাইজুল ইসলাম। ফিরিয়ে দিয়েছেন ফিফটির কাছে থাকা দিমুথ করুনারত্নেকে।

বাঁহাতি স্পিনারকে প্যাডল সুইপ করতে গিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক। তবে ক্যাচ উঠে যায় তার মাথার ওপরেই। সহজ ক্যাচ নিতে ভুল হয়নি উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিমের।

৬০ বলে ৬ চারে করুনারত্নে করেন ৪৬ রান। তখন ২০ ওভার ২ বলে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ২ উইকেটে ৯৬ রান। কুশল পেরেরার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন কুশল মেন্ডিস।

করুনারত্নে-পেরেরা জুটির পঞ্চাশ

শুরুতে উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়েছেন দিমুথ করুনারত্নে ও কুশল পেরেরা। তাদের দ্বিতীয় উইকেট জুটি স্পর্শ করেছে পঞ্চাশ, ৬৪ বলে।

১৬ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ১ উইকেটে ৭৪ রান। করুনারত্নে ৪০ ও পেরেরা ২৫ রানে অপরাজিত আছেন।

প্রথম আঘাত শফিউলের

পঞ্চম ওভারেই বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন শফিউল ইসলাম। ফিরিয়ে দিয়েছেন আগের ম্যাচে ৮২ রান করা আভিসকা ফার্নান্দোকে। ডানহাতি পেসারের লেংথ বল ড্রাইভ করতে গিয়ে লাইন মিস করে এলবিডব্লিউ হন ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

৬ রান করা ফার্নান্দোর বিদায়ে ভাঙে ১৩ রানের উদ্বোধনী জুটি। উইকেটে দিমুথ করুনারত্নের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন কুশল পেরেরা।

চার পরিবর্তনের শ্রীলঙ্কা

সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়েছে আগেই। শেষ ম্যাচে তাই একাদশে চারটি পরিবর্তন এনেছে শ্রীলঙ্কা। একাদশে এসেছেন দাসুন শানাকা, শেহান জয়াসুরিয়া, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও কাসুন রাজিথা। একাদশের বাইরে গেছেন নুয়ান প্রদীপ, ইসুরু উদানা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও লাহিরু থিরিমান্নে।

শ্রীলঙ্কা একাদশ

দিমুথ করুনারত্নে, কুশল পেরেরা, আভিসকা ফার্নান্দো, কুশল মেন্ডিস, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, দাসুন শানাকা, আকিলা ধনঞ্জয়া, শেহান জয়াসুরিয়া, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, লাহিরু কুমারা, কাসুন রাজিথা।

বাংলাদেশের দুই পরিবর্তন

অনুশীলনে পাওয়া চোটের কারণে আজ খেলছেন তা মুস্তাফিজুর রহমান। তার জায়গায় একাদশে এসেছেন রুবেল হোসেন। সিরিজে প্রথমবার সুযোগ পেয়েছেন এনামুল হক বিজয়। বাদ পড়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন।

বাংলাদেশ একাদশ

তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিথুন, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, এনামুল হক বিজয়, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, শফিউল ইসলাম, রুবেল হোসেন।

টস

টস জিতে আগে ব্যাটিং নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে। কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু বাংলাদেশ সময় বিকেল তিনটায়।

হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লড়াই

ব্যর্থ বিশ্বকাপ মিশনের পর শ্রীলঙ্কা সিরিজটা বাংলাদেশের জন্য ছিল আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার বড় উপলক্ষ। কিন্তু উল্টো আরেকটি ব্যর্থতার উপাখ্যান রচনা করে ফেলেছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সিরিজ হেরেছে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই। প্রথম দুই ম্যাচেই স্বাগতিকদের কাছে স্রেফ উড়ে গেছে সফরকারীরা। আজ শেষ ম্যাচটা বাংলাদেশের জন্য হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লড়াই। সফর থেকে অন্তত একটি জয় নিয়ে দেশে ফেরার সুযোগও।

ম্যাচের আগের দিন বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেছেন, নিজেদের আত্মতৃপ্তির জন্য হলেও শেষ ম্যাচটি তারা জিততে চান, ‘আমরা এই সিরিজ হেরে গেছি। ৩-০ আর ২-১ এর মধ্যে পার্থক্য হবে যে, আমরা অন্তত নিজেদেরকে প্রমাণ করতে পারব আমরা প্রথম দুই ম্যাচে যেভাবে চিন্তা করেছি সেভাবে খেলতে পারিনি। কিন্তু শেষ ম্যাচটি নিজেদের আত্মতৃপ্তির জন্য জেতা উচিত। দেশে সবাই প্রত্যাশা করছে অন্তত একটা জয় নিয়ে ফেরার।’

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩১ জুলাই ২০১৯/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়