ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

টুংটাং আওয়াজে মুখর নরসিংদীর কামারশালা

গাজী হানিফ মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:০৬, ১০ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
টুংটাং আওয়াজে মুখর নরসিংদীর কামারশালা

নরসিংদী সংবাদদাতা: টুংটাং আওয়াজে মুখর নরসিংদীর কামারশালা। দিন থেকে শুরু করে গভীর রাত অবধি চরম ব্যস্ত কামারশালার কারিগররা।

ঈদ উল আজহাকে ঘিরেই নরসিংদীর কামারশালাগুলোতে এই ব্যস্ততা। হাট বাজারের খুচরা দোকানিদের জন্য লোহার অস্ত্রপাতি তৈরির পাশাপাশি কোরবানির ক্রেতাদের চাপ সামাল দিতে দিন-রাত কাজ করছেন তারা।

নরসিংদীর ছয়টি উপজেলার কামার পাড়াতেই এখন গভীর রাত পর্যন্ত লোহা পেটানোর শব্দ। কোরবানির কাটাকুটি সব সরঞ্জামই তৈরি করতে হচ্ছে তাদের।

দেখা যায়, ক্রেতাদের পছন্দের মতো তৈরি করছেন বিভিন্ন মাপের চাপাতি, দা, বটি, ছুরি, কুড়াল আর ছোট চাকুর মতো লোহার সব ধারালো অস্ত্র। এগুলো সবই ব্যবহার হবে কোরবানীর পশু জবাই থেকে শুরু করে মাংস ছাড়ানো আর হাড় কাটার কাজে। কেউ কেউ আবার গতবারের পুরাতন ছুরি ধার করিয়ে নিচ্ছেন নতুনভাবে কোরবানি করার জন্য।

সদর উপজেলার কামার অমূল্য চন্দ্র ভৌমিক জানালেন, ঈদ উল আজহার পনের দিন আগ থেকে তাদের দোকানে পুরাতন ও নতুন ধারালো অস্ত্র বানানো ও মেরামতের ভিড় শুরু হয়। এই ব্যস্ততা চলে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত।

একই এলাকার কামার নির্মল চন্দ্র ভৌমিক বললেন, ‘জেলার বাইরের লোকজনের অর্ডার নিয়েও আমাদের কাজ করতে হয়। এই সময়টাতে আমাদের খুবই ব্যস্ততায় পার করতে হয়।’

তিনি জানান, মেশিনারিতে তৈরি আধুনিক যন্ত্রপাতি তৈরি হওয়ার কারণে বছরের অন্যান্য সময় দুর্দিন কাটাতে হয়।

এই মুহুর্তে কাজের চাপ অনেক বেশি, জানালেন নরসিংদী বাজারের কামারশালার রিপন কর্মকার। তিনি বলেন, ‘ঈদের আগের দিন রাতে সব কাজ শেষ করে ফেলতে হবে, তাই অনেক রাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। এ ছাড়া এই কোরবানী ঈদটাই হচ্ছে আমাদের বছরের একটি সিজন। এই সিজনটাতেই আমাদের বেচাকেনা একটু বেশিই হয়।’

এখানের বিকাশ কর্মকার বলেন, ‘অস্ত্রপাতির চাহিদা প্রচুর থাকলেও লোহার মূল্য ও কারিগরদের পারিশ্রমিক বেশি হওয়ায় তেমন লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছিনা। এই খাতে সরকারের সুদৃষ্টি দরকার। নতুবা এই শিল্প বিলুপ্ত হয়ে যাবে।’


রাইজিংবিডি/ নরসিংদী/১০ আগস্ট ২০১৯/গাজী হানিফ মাহমুদ/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়