ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

তারা এখন ফল বিক্রেতা

কাঞ্চন কুমার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৪৬, ২৩ জুন ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
তারা এখন ফল বিক্রেতা

এনামুল ইসলাম (৩৫), মাইক্রোবাস চালান ১৫ বছর ধরে। করোনা মহামারির কারণে আপাতত তার চাকরি নেই। তাই সংসার চালাতে গ্রাম থেকে আম কিনে এনে  উপজেলা শহরে বিক্রি করছেন।

শুধু এনামুল নন, কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা বাজারে যারা ফল বিক্রি করছেন, তাদের মধ্যে অনেকে অন্য পেশায় ছিলেন। তারা এখন মৌসুমি ফলের ব্যবসা করে ঠিকে থাকার চেষ্টা করছেন।

আনারস বিক্রেতা হাফিজ কুষ্টিয়া থেকে আনারস কিনে এনে রাস্তার ধারে বসে বিক্রি করছেন। এতে প্রতিদিন তার এক/দেড় হাজার টাকা লাভ হচ্ছে। তিনি জানান, করোনার সময় হাতে কাজ নেই। তাই আনারস কিনে এনে বিক্রি করছেন। প্রতিজোড়া আনারস ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আনারসের চাহিদাও বেশ ভালো।

রাস্তায় যাত্রী তেমন না থাকায় জামিল আহমেদ অটোরিকশা চালানো বাদ দিয়ে উপজেলা শহরে আম বিক্রি শুরু করেছেন। আম বিক্রি করে বেশ লাভও করছেন তিনি। তিনি জানালেন, প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে আম বিক্রি হচ্ছে। এতে কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা লাভ থাকে তার। 

করোনা প্রভাবে নির্মাণখাতের বহু মানুষের এখন কাজ নেই। রাজমিস্ত্রি মিঠুনের কাজ না থাকায় রাজশাহী, নাটোর থেকে আম কিনে এসে উপজেলা শহরের বাজারে বিক্রি করছেন। আমের ব্যবসা করে খুশি মিঠুন। তিনি জানান, রোদের মধ্যে ব্যবসা করতে কষ্ট হয়। তবে কিছুটা লাভ হচ্ছে, তা দিয়ে সংসার চলছে।

ভ্যান চালক হামিদুল ইসলাম গ্রাম থেকে জাম পেড়ে উপজেলা শহরে বিক্রি করছেন। প্রতিবছর এই মৌসুমে তিনি এই কাজই করেন।

তিনি জানান, জামের সময় আসলে তিনি শহরে জাম বিক্রি করতে আসেন। গ্রামের গাছ থেকে চুক্তিভিক্তিক জাম কিনে এনে বাজারে বিক্রি করেন। এতে বেশ লাভ হয় তার।

উপজেলা শহরের মোড়ে মোড়ে বিক্রেতারা মৌসুমি ফল সাজিয়ে বসে আছেন। করোনা মহামারির মধ্যে এভাবে তারা কিছুটা রোজগার করে সংসার চালানোর চেষ্টা করছেন, সঙ্গে বাসিন্দাদের পুষ্টির চাহিদাও পূরণ হচ্ছে। 



ঢাকা/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়