ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

থার্মোমিটারে জ্বর মেপে বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
থার্মোমিটারে জ্বর মেপে বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশ ফেরত যাত্রীদের অত্যন্ত দুর্বল প্রক্রিয়ায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার কার্যক্রম চলছে।

গত ২০ জানুয়ারি থেকে দেশের বিমানবন্দরসমূহে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে রেড এলার্ট জারির পর চট্টগ্রামে হ্যান্ডহেল্ড থার্মোমিটারে জ্বর মেপেই স্বাস্থ্য পরীক্ষার কার্যক্রম শেষ করছে বিমানবন্দর মেডিক‌্যাল টিম।

চট্টগ্রামের সঙ্গে চীনের সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় মূল স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজটি ঢাকাতেই হয় বলে বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ঢাকা ছাড়াও চীন থেকে বিশ্বের অন্যান্য বিমান বন্দর হয়ে যেসব যাত্রীরা চট্টগ্রামে আসছেন তাদের ইমিগ্রেশনের পূর্বেই গুরুত্বের সঙ্গেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।

সরেজমিন অনুসন্ধান ও বিমানবন্দরের বিদেশ ফেরত যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যে কোন আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর যাত্রীরা ইমিগ্রেশন কাউন্টারে আসার পূর্বেই তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।

পরিপূর্ণ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিমানবন্দরে থার্মাল স্ক্যানার থাকার কথা থাকলেও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে এই যন্ত্রটি বিকল হয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সারওয়ার-ই জামান জানান, গত ২০ জানুয়ারি থেকে দেশের তিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনা ভাইরাসের রেড এলার্ট জারি করা হয়। এরপর থেকেই বিমানবন্দরে পালা করে মেডিক‌্যাল টিম কাজ করছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে আইসোলেটেড রুম।

আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের যাত্রীদের ইমিগ্রেশনের পূর্বেই জ্বর পরীক্ষাসহ অন্যান্য পরীক্ষা করা হয়। চীনের সঙ্গে চট্টগ্রামের সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর বিমানবন্দর হয়ে চট্টগ্রামে আসা চীন ফেরত যাত্রীদের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়। গত ২০ জানুয়ারি থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গত ২৬ দিনে চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাসের সন্দেহভাজন কোন রোগী পাওয়া যায়নি।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের একাধিক যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিমান থেকে নেমে আসার পর ইমিগ্রেশনের পূর্বেই এক মেডিক‌্যাল টিম কপালে হ্যান্ডহেল্ড থার্মোমিটার লাগিয়ে জ্বর পরীক্ষা করেন। এরপর গত ১৫/২০ দিনে জ্বর বা সর্দি কাশি হয়েছে কি-না জানতে চান। এরপর যাত্রীদের ইমিগ্রেশনে পাঠানো হয়।

 

চট্টগ্রাম/রেজাউল/বুলাকী

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়