ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

দেশেই আন্তর্জাতিক মানের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা জরুরি

নাসির উদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪৫, ৮ জুন ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দেশেই আন্তর্জাতিক মানের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা জরুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেছেন, যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়নে সরকার বেশকিছু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। আর এ ধরনের মেগা প্রকল্পগুলো বাংলাদেশে নির্মাণশিল্প বিকাশের অপার সুযোগ এনে দিয়েছে এবং এ সুযোগ কাজে লাগাতে দেশেই আন্তর্জাতিক মানের নির্মাণ উপকরণ, যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা জরুরি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ডিসিসিআই মিলনায়তনে বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০১৭ উপলক্ষে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) যৌথভাবে আয়োজিত অ্যাক্রেডিটেশন : নির্মাণ এবং নির্মাণ পরিবেশের আস্থা বৃদ্ধিবিষয়ক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্মাণ শিল্পখাত ও এর পরিবেশ সুরক্ষায় অ্যাক্রেডিটেশন ব্যবস্থার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া বাংলাদেশের ওষুধ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। ওষুধের মতো একটি পণ্য বাংলাদেশ রপ্তানি করতে পারলে অন্যান্য পণ্য আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে রপ্তানি করা কোনো কঠিন বিষয় হবে না। বাংলাদেশের সে সক্ষমতাও রয়েছে।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, টেকসই নির্মাণ খাত, হাউজিং এবং অবকাঠমো খাতের উন্নয়নে অ্যাক্রেডিটেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিএবিকে শক্তিশালী করতে আরো অধিক দক্ষ মানবসম্পদ নিয়োগ প্রদানের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। জনবল বৃদ্ধি পেলে বিএবি আরো অধিকতর ভাল সেবা প্রদান করতে পারবে।

বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) এর মহাপরিচালক মো. আবু আব্দুল্লাহ বলেন, বিএবি ইতোমধ্যে মেডিক্যাল, ল্যাবরেটরি, টেক্সটাইল, কেমিক্যাল, সার্টিফিকেশন বডি এবং ইন্সপেকশন বডির ৫১টি প্রতিষ্ঠানকে অ্যাক্রিডিটেশন সনদ প্রদান করেছে এবং বাংলাদেশে হালাল খাদ্য, মেডিক্যাল প্রযুক্তি, জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজ ভাঙা শিল্পের সনদের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে নির্মাণসামগ্রী রপ্তানির প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে এবং এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে আমাদের অবশ্যই নির্মাণসামগ্রী, নির্মাণ প্রক্রিয়ার মান বজায় রাখতে হবে।

ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, অ্যাক্রেডিটেশনের অভাবে এতদিন বাংলাদেশকে বিশ্ববাজারে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে সনদ সংগ্রহ করা অনেক সময় ও ব্যয়সাপেক্ষ এবং দুরূহ ছিল, তবে বর্তমানে সফলতার সঙ্গে আমরা তা অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছি।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, এসডিজির ৯ এবং ১১ নং লক্ষ্য অনুযায়ী টেকসই অবকাঠামো নির্মাণসহ মানুষের জন্য নিরাপদ শহর ও মানসম্পন্ন আবাসস্থল এবং রেল, সড়ক ও যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণ অত্যাবশ্যকীয় এবং এ লক্ষ্যসমূহ অর্জনের জন্য সবার জন্য নিরাপদ এবং পর্যাপ্ত বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

তিনি জানান, অর্থনীতিতে রিয়েল এস্টেট, ভবন নির্মাণ ও সংশ্লিষ্ট খাতের অবদান জিডিপির প্রায় ১৪ শতাংশ এবং ক্রমাগত তা বাড়ছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশ সরকার নির্মাণ ও অবকাঠামো খাতে অ্যাক্রেডিটেশনের ব্যবহার বৃদ্ধি করে এই খাতে আস্থা আনয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শফিউল বারী, ডিসিসিআই পরিচালক খ. রাশেদুল হাসান, প্রাক্তন সহ-সভাপতি এম আবু হোরায়রাহ, প্রাক্তন পরিচালক এ কে ডি খায়ের মোহাম্মদ খান প্রমুখ।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ জুন ২০১৭/নাসির/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়