ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

দ্বিতীয় দিনেই টিকিট নিয়ে হাহাকার

হাসিবুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০৬, ১৩ জুন ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দ্বিতীয় দিনেই টিকিট নিয়ে হাহাকার

ছবি : শাহীন ভূঁইয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক : পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দূরপাল্লার বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে গতকাল সোমবার। দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবারেই টিকিট যেন দুষ্প্রাপ্য হয়ে গেছে। কাউন্টারগুলোতে টিকিটের জন্য চলছে হাহাকার।

মঙ্গলবার সকাল ৯টায় রাজধানীর সব বাস টার্মিনালের কাউন্টারে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। টিকিট সংগ্রহ করতে আসা যাত্রীরা ঈদের ছুটির আগের তিন দিনের টিকিট পেতে ভোর থেকেই লাইনে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু অনেকেই কাঙ্ক্ষিত টিকিট পাচ্ছেন না।

গাবতলীতে হানিফ এন্টারপ্রাইজের কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায়, বেশিরভাগ যাত্রী ২১, ২২ ও ২৩ তারিখের টিকিটের সন্ধান করছেন, কিন্তু পাচ্ছেন না। ফলে বাধ্য হয়ে অন্য দিনের টিকিট নিতে হচ্ছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, টিকিটের জন্য মহাখালী, গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালসহ কল্যাণপুর, কলাবাগান এবং মালিবাগের বাস কাউন্টারগুলোতে ভিড় করছেন রাজধানীবাসী। এসব কাউন্টার থেকে যাত্রীরা দেশের উত্তর, দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের ৬০টিরও বেশি রুটের টিকিট সংগ্রহ করছেন।

রাজধানীর টেকনিক্যাল মোড়ে হানিফ পরিবহণের কাউন্টার ম্যানেজার মোহাম্মদ হারুন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘গতকাল আমরা বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছি। যাত্রীদের কাছ থেকে যেন বাড়তি কোনো ভাড়া আদায় করা না হয় সেজন্য আগে থেকেই মালিকপক্ষ সব কাউন্টারে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা টাঙিয়ে দিতে বলেছে। এরপরও যদি যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আমরা পাই, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

টেকনিক্যাল মোড়ে সাকুরা বাস কাউন্টারে বরিশাল রুটের অগ্রিম টিকিট কিনতে আসা যাত্রী মো. আনাম বলেন, ‘সকাল ১১টার দিকে কাউন্টারে এসেছি। এসেই শুনি ২২ তারিখের টিকিট নেই। অগ্রিম টিকিট ছাড়ার দ্বিতীয় দিনেই এসে যদি শুনতে হয়, টিকিট নেই, তাহলে আমাদের মতো সাধারণ যাত্রীদের কী অবস্থা হবে ভাবুন। এ ছাড়া এবার টিকিটের দাম একটু বেশি। তবে আমাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই রয়েছে। আগের ঈদে ঢাকা থেকে বাখেরগঞ্জ রুটে বাসের ভাড়া ছিল ৫৫০ টাকা। এবার তা ৫৫ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০৫ টাকা।’

টিকিটের কালোবাজারি প্রসঙ্গে যাত্রী মরতুজা ইসলাম বলেন, ‘একজন আমার সামনে থেকে প্রায় ২০টি টিকিট কিনে নিয়ে গেছে। যেখানে একজন যাত্রী একসঙ্গে ৫টির বেশি টিকিট কিনতে পারবেন না বলে কাউন্টার থেকে জানানো হয়েছিল, সেখানে তিনি কীভাবে এতোগুলো টিকিট নিয়ে গেলেন?’

টিকিট কালোবাজারির বিষয়ে টেকনিক্যাল মোড়ে সাকুরা পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার মীর্জা এরফান জানান, ‘এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ রকম কোনো কিছু ঘটেনি।’

মহাখালী বাস টার্মিনাল ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে। সেখানে সকালে মানুষের ভিড় থাকলেও দুপুর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে শুরু করে।

মহাখালী বাস টার্মিনালে বগুড়া রুটের টিকিট কিনতে আসা যাত্রী খোরশেদ আলম বলেন, ‘টিকিটের জন্য সকাল ১০টায় এসেছি। দুই ঘণ্টার মতো অপেক্ষা করে এখন শুনি টিকিট নেই।’



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ জুন ২০১৭/হাসিবুল/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়