নয় মাসেও এডিসের ডিম নষ্ট হয় না

নিজস্ব প্রতিবেদক: ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা যে নগরে বা যে এলাকায় একবার ঢোকে, সেখানে আর নিস্তার নেই। কেননা, এডিস মশার ডিম শুকনা পরিবেশেও নয় মাস পর্যন্ত সক্রিয় থাকে, নষ্ট হয় না। আর যখনই স্বচ্ছ পানির সংস্পর্শে আসে, তখন তা লার্ভা হয়ে পরিপূর্ণ মশার রূপ নেয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডেঙ্গু বিষয়ক প্রোগ্রাম ম্যানেজার অধ্যাপক ডা. এমএম আক্তারুজ্জামান এমন তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা গাড়িতে টায়ার ব্যবহার করি। বিদেশ থেকে সেই টায়ারেও করে যদি এডিসের ডিম এসে পরে পানির সংস্পর্শে আসে, সেখান থেকেই এডিসের জন্ম হবে।

সোমবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের মিলনায়তনে ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে কমিশন আয়োজিত এক সভায় বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।

আখতারুজ্জামান বলেন, ব্যক্তি সচেতনতা ছাড়া ডেঙ্গু থেকে নিস্তার পাওয়ার কোনো উপায় নেই। পানি জমে থাকলে, সেখানে এই মশা জন্ম নেবেই। সেই পানি শুকিয়ে গেলেও এডিসের ডিম নয় মাস পর্যন্ত থাকবে। সেটা ঘরের মেঝেতেও যদি থাকে, পানি পাওয়ার পর সেখান থেকে লার্ভা হবে। পরিপূর্ণ মশা জন্ম নেবে। তাই স্যাঁতস্যাতে ঘরের মেঘেতে ব্লিচিং পাউডার ছিটানো কার্যকর হবে। এছাড়া মশারী ব্যবহার, এরোসল ব্যবহার করা যেতে পারে।

তিনি জানান, ‘২০১৭ সালে আমরা যে পরিমাণ লার্ভা পেয়েছিলাম, এবার তার তুলনায় শতভাগের বেশি পাওয়া গেছে। মূলত, নির্মাণাধীন ভবন, জমে থাকা পানি, ডাবের খোসা ইত্যাদীতে আমরা লার্ভা পেয়েছি।’

জ্বর হলেই অধ্যাপক আক্তারুজ্জামান না ঘাবড়ানোর পরামর্শ দিয়ে বলেন, ৬ ঘণ্টার মধ্যে রক্ত পরীক্ষা করতে হবে। ডেঙ্গুজ্বর প্রথমবার হলে তেমন সমস্যা নেই। দ্বিতীয়, তৃতীয়বার হলে সমস্যা ভয়াবহ হয়। তখন শরীরের বিভিন্ন অর্গান ফেইলর হয়। তাই দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা ডেঙ্গু মোকাবিলায় নির্বাচন কমিশন ভবনের পেছনের ফোয়ারা বন্ধ করতে এবং আশেপাশের ভবনে যেন পানি জমতে না পারে,  সেজন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে ইসি সচিবকে নির্দেশনা দেন।

সভায় জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরীসহ ইসির সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারি উপস্থিত ছিলেন।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ জুলাই ২০১৯/ হাসিবুল/সাজেদ