ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

পিডব্লিউডির রেট সিডিউল পরিবর্তনে ব্যয় বৃদ্ধি

হাসিবুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫০, ২৯ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পিডব্লিউডির রেট সিডিউল পরিবর্তনে ব্যয় বৃদ্ধি

নিজস্ব প্রতিবেদক : পিডব্লিউডির রেট সিডিউল পরিবর্তনজনিত কারণে এবং প্রস্তাবিত সংশোধিত প্রকল্পের আওতায় ভৌত কাজের স্কোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৪৪১ কোটি টাকা।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র থেকে জানা গেছে, সম্পুর্ণ সরকারি অর্থায়নে এই প্রকল্পটি প্রথম যখন অনুমোদন দেয়া হয়েছিলো তখন ব্যয় ধরা হয়েছিলো ৬১৫ কোটি ৫২ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। কিন্তু এখন পিডব্লিউডির রেট সিডিউল পরিবর্তনজনিত কারণে এবং প্রস্তাবিত সংশোধিত প্রকল্পের আওতায় ভৌত কাজের স্কোপ বৃদ্ধি এবং নতুন নতুন আইটেম সংযোজিত হওয়ায় সামগ্রিকভাবে ভৌত কাজের ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালের বেডের সংখ্যা ২৫০ থেকে ৫০০ তে উন্নীত করা হবে।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজ ও ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল স্থাপন, মানিকগঞ্জ (১ম সংশোধিত) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং গণপূর্ত অধিদপ্তর।

প্রকল্পটির কার্জপত্র থেকে এর উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানা গেছে, এই প্রকল্পের আওতায় মানিকগঞ্জ জেলা ও তৎসংলগ্ন এলাকার জনসাধারণের স্বাস্থ্য সেবার নিশ্চয়তা প্রদানের লক্ষ্যে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন, সাধারণ জনগণের জন্য আধুনিক ও বিশেষায়িত সেবা প্রদানের প্রয়োজনীয় সুবিধাদি সৃষ্টি করা, আধুনিক চিকিৎসা সেবা প্রদানের মাধ্যমে মানুষের অসুস্থতা ও মৃত্যুহার হ্রাস করে জীবনমান উন্নত করা, চিকিৎসা শিক্ষার জন্য অবকাঠামো স্থাপন করা, চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্য বিষয়ে কারিগরি জনবলের শিক্ষা, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা।

প্রধান কার্যক্রমগুলো হচ্ছে, হাসপাতাল ভবন নির্মাণ (১০ তলা ভিত বিশিষ্ট ৬ তলা ভবন), একাডেমিক ভবন নির্মাণ (৮ তলা ভিত বিশিষ্ট ৮ তলা ভবন), ছাত্র-ছাত্রীদের হোস্টেল ভবন নির্মাণ (৮ তলা ভিত বিশিষ্ট ৪ তলা ভবন-২টি), ইন্টার্ন ডাক্তারদের ডরমেটরি ভবন নির্মাণ (৬ তলা ভিত বিশিষ্ট ৩ তলা ভবন-২টি), ইমার্জেন্সি স্টাফ ডরমেটিরি ভবন নির্মাণ (৬ তলা ভিত বিশিষ্ট ৩ তলা ভবন), অন্যান্য ভবন নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক কাজ যেমন- গভীর নলকূপ স্থাপন, বহিঃস্থ বিদ্যুতায়ন, ইলেক্ট্রো মেকানিক্যাল কম্পোনেন্ট (লিফট্, এয়ার কন্ডিশন প্রভৃতি) স্থাপন এবং ডিরেক্টর কোয়ার্টার, জিমনেসিয়াম, শহীদ মিনার, ম্যুরাল, আয়রন ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, সোলার প্যানেল, কনফারেন্স সিস্টেম ইত্যাদি নতুন স্থাপনা নির্মাণ করা, ভূমি অধিগ্রহণ/ক্রয় (২০+৩=২৩ একর), হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের জন্য আধুনিক চিকিৎসা সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি, কেমিক্যাল, বইপত্র এবং আসবাবপত্র সংগ্রহ ইত্যাদি কাজ করা হবে।

প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধির আরো কিছু কারণ রয়েছে বলে জানায় বাস্তবায়কারী সংস্থা। যেমন মেডিক্যাল ও সার্জিক্যাল ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ বাবদ ব্যয় বৃদ্ধি, নতুন আসবাবপত্র সংগ্রহ, হাসপাতালের বেডের সংখ্যা ২৫০ থেকে ৫০০ তে উন্নীতকরণ ও হাসপাতালে আরও ৮টি নতুন বিভাগ ও ইউনিট চালু করার জন্য নতুন আসবাবপত্র প্রয়োজন। এ কারণে সংশোধিত প্রকল্পে আসবাবপত্র সংগ্রহ বাবদ ব্যয় বৃদ্ধি হবে, সংশোধিত প্রকল্পের আওতায় নিউক্লিয়ার মেডিসিন সেন্টার, ইলেকট্রিক সাব-স্টেশন, অডিটোরিয়াম ইত্যাদি স্থাপনের প্রয়োজনে নতুনভাবে আরও ৩ একর ভূমি ক্রয়।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ আগস্ট ২০১৯/হাসিবুল/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়