ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

পীর-মুরিদ হত্যা : আটক দুজনের স্বীকারোক্তি

নজরুল মৃধা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১৫, ১৭ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পীর-মুরিদ হত্যা : আটক দুজনের স্বীকারোক্তি

আটক পীর ইসহাক আলী

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর : দিনাজপুরের পীর ফরহাদ হাসান চৌধুরী ও তার মুরিদ রুপালি বেগমকে হত্যার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আটক হওয়া দুজন।

শুক্রবার বিকেলে দিনাজপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে এই জবানবন্দি দেন আটককৃতরা।

তারা হলেন আরেক ‘পীর’ ইসহাক আলী ও বোচাগঞ্জ উপজেলার দৌলা এলাকার কাদেরিয়া মোহাম্মদিয়া দরবার শরীফের  প্রধান খাদেম সাইদুর রহমান।

তারা আদালতে জানান, অভ্যন্তরীণ বিষয় ও মতপার্থক্যের জেরেই পরিকল্পিতভাবে পীর ফরহাদ হাসান চৌধুরী ও রুপালিকে হত্যা করা হয়েছে।

দিনাজপুরের কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক শহীদ সরওয়ার্দী জানান, কুড়িগ্রাম থেকে আটক হওয়া পীর ইসহাক আলী  ও খাদেম সাইদুর রহমানকে শুক্রবার দুপুরে  দিনাজপুর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিয়ে আসা হয়। বিকেলে আদালতের বিচারক এফএম আহসানুল হকের কাছে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

তিনি আরো জানান, জবানবন্দিতে তারা জানিয়েছে অভ্যন্তরীণ বিষয় ও মতপার্থক্যের জেরে পরিকল্পিতভাবে ফরহাদ ও রুপালিকে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরো অনেকেই জড়িত রয়েছে বলে জবানবন্দিতে তারা জানিয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে সব নাম বলা যাচ্ছে না।

আটক ইসহাক আলী  কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি গ্রামের পীর আজিম উদ্দিনের ছেলে ও খাদেম সাইদুর রহমান বোচাগঞ্জের দৌলা গ্রামের মৃত ফয়জুল হকের ছেলে।

উল্লেখ, গত ১৩ মার্চ রাতে ফরহাদ ও রুপালিকে প্রথমে গুলি ও পরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ফরহাদ দিনাজপুর পৌর বিএনপির প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়া তিনি দিনাজপুর জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিও ছিলেন।২০০৬ সালের দিকে ফরহাদ হাসান চৌধুরী রাজনীতি ছেড়ে দেন।

 

 

রাইজিংবিডি/রংপুর/১৭ মার্চ ২০১৭/নজরুল মৃধা/রুহুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়