‘প্রিয়া সাহার বক্তব্যের সঙ্গে আমার গবেষণা-তথ্য মেলে না’

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক: আবুল বারকাতের গবেষণার তথ্য নিয়েই মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে অভিযোগ- প্রিয়া সাহার এমন দাবিকে বিভ্রান্তিমূলক বলেছেন ওই অর্থনীতিবিদ।

সোমবার এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আবুল বারকাত প্রিয়া সাহার এমন বক্তব্যকে নীতিগর্হিত বলেও উল্লেখ করেন।

আবুল বারকাত বলেন, প্রিয়া সাহা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ পত্র-পত্রিকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দেশত্যাগ ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমার নাম ব্যবহার করে কিছু তথ্য-উপাত্ত বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছেন। বিষয়টি আমার নজরে এসেছে।  যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে সাক্ষাৎকালে প্রিয়া সাহা বলেছেন, বাংলাদেশে ৩৭ মিলিয়ন (৩ কোটি ৭০ লাখ) হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান নিখোঁজ রয়েছেন।

এরপরে ভিডিও সাক্ষাৎকালে তিনি আমার নাম উল্লেখ করে বলেছেন, ওই পরিসংখ্যান আমার গবেষণার তথ্য-উপাত্তের সঙ্গে মিলে যায় বা একই। তিনি এও বলেছেন, ‘বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন ৬৩২ জন লোক হারিয়ে যাচ্ছে। ২০১১ সালে স্যারের সাথে সরাসরি কাজ করেছিলাম, যার কারণে বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবহিত’।

আবুল বারকাত বলেন, প্রিয়া সাহার ওই বক্তব্যের সাথে আমার গবেষণালব্ধ তথ্য-উপাত্তের কোনোই মিল নেই। আমার গবেষণায় যা আছে তা হলো- ‘আমার হিসেবে প্রায় পাঁচ দশকে (১৯৬৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত) আনুমানিক ১ কোটি ১৩ লাখ হিন্দুধর্মাবলম্বী মানুষ নিরুদ্দেশ হয়েছেন’ (উৎস: আবুল বারকাত, ২০১৬, বাংলাদেশে কৃষি-ভূমি-জলা সংস্কারের রাজনৈতিক অর্থনীতি, পৃ:৭১)। অর্থাৎ আমি কোথাও ‘৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান নিখোঁজ রয়েছেন’ এ কথা বলিনি। এছাড়া তিনি (প্রিয়া সাহা) কোথাও বলেননি যে, আমার গবেষণা তথ্যের সময়কাল ছিল ৫০ বছর।

তিনি বলেন, ‘প্রিয়া সাহা কখনো আমার সহ-গবেষক, গবেষণা সহযোগী অথবা গবেষণা সহকারী ছিলেন না। ২০১১ সালে সরকারি আদমশুমারির তথ্যের ভিত্তিতে ১৯০১ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত মোট জনসংখ্যায় বিভিন্ন ধর্মগোষ্ঠীর আনুপাতিক হার উল্লেখ করেছি মাত্র। একজন সমাজ গবেষক হিসেবে আমি নিশ্চিত হতে চাই যে, প্রিয়া সাহা আমার নাম উল্লেখ করে যেসব বিভ্রান্তিমূলক ও নীতিগর্হিত বক্তব্য দিয়েছেন, তিনি অতিদ্রুত তা প্রত্যাহার করবেন।’


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ জুলাই ২০১৯/ এম এ রহমান/ সাজেদ