ঢাকা     সোমবার   ১৮ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৪ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের নকআউট পর্বে বগুড়া

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ২১ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বঙ্গবন্ধু জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের নকআউট পর্বে বগুড়া

ওয়ালটন গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় চলমান ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২০’ এ সোমবার বিভিন্ন জোনে ১৫টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। 

সেখানে জয় পেয়েছে সিরাজগঞ্জ, শেরপুর, চট্টগ্রাম, চাপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়া, কুষ্টিয়া, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, নেত্রোকোণা, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জ ও কুমিল্লা জেলা। নওগাঁ জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে নির্ধারিত সময়ে কেউ জয় পায়নি। শেষে টাইব্রেকারে নওগাঁ জেলাকে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়ে নকআউট পর্বে নাম লেখায় বগুড়া।

কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে কুমিল্লা জেলা ১-০ গোলে হারায় ঢাকা জেলাকে। মুন্সিগঞ্জ জেলা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক জেলা ২-১ গোলে হারায় শরীয়তপুর জেলাকে। আসমত আলী খান স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ফরিদপুর জেলা ১-০ গোলে হারায় মাদারীপুর জেলাকে।

কাজী হেদায়েত হোসেন স্টেডিয়ামে রাজবাড়ী জেলা ২-১ গোলে হারায় নারায়ণগঞ্জ জেলাকে। রফিকউদ্দিন ভুঁইয়া স্টেডিয়ামে ময়মনসিংহ জেলা ১-০ গোলে হেরে যায় নেত্রোকোণার কাছে। রাঙামাটি জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে স্বাগতিক জেলার কাছে কক্সবাজার হেরে যায় ১-০ গোলে। খাগড়াছড়ি জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচ স্বাগতিক জেলা ২-০ গোলে হারায় লক্ষ্মীপুর জেলাকে।

মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে রাজশাহী ৩-০ ব্যবধানে হেরে যায় কুষ্টিয়া জেলার কাছে। কুষ্টিয়ার হয়ে জোড়া গোল করেন তানিম সরকার। অপর গোলটি করেন ইমরান আলী।

চাপাইনবাবগঞ্জ জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে স্বাগতিক জেলা ১-০ গোলে জিতেছে জয়পুরহাট জেলার বিপক্ষে। শহীদ দুলু স্টেডিয়ামে নোয়াখালী ও ফেনীর ম্যাচে কেউ জেতেনি। ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছে। বান্দরবান পার্বত্য স্টেডিয়ামে স্বাগতিক জেলাকে ১-০ গোলে হারিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা। শহীদ সিরাজ স্টেডিয়ামে মানিকগঞ্জ ও টাঙ্গাইলের ম্যাচে কেউ জেতেনি। ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছে। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শেরপুর জেলা ৩-২ গোলে হারিয়েছে জামালপুর জেলাকে। শহীদ সামসুদ্দিন স্টেডিয়ামে গাজীপুর জেলাকে ১-০ গোলে জারিয়েছে সিরাজগঞ্জ জেলা।

১৩ বছর পর বঙ্গবন্ধুর নামে মাঠে গড়ানো এই টুর্নামেন্টে জেলা ফুটবল দলগুলোকে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, শীতলক্ষা, ব্রহ্মপুত্র, বুড়িগঙ্গা চিত্রা ও সুরমা জোনে ভাগ করা হয়েছে। সুরমা বাদে প্রতি অঞ্চলে আটটি করে দল রয়েছে। আট দলকে চার জোড়ায় ভাগ করে নক আউট পদ্ধতিতে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে চারটি দল জিতবে। এই চার দলের মধ্যে আবার দুই জোড়া করে নকআউট পর্বে খেলা হবে। সেই নকআউট পর্বে জয়ী দুটি দলের মধ্যে জোনাল চ্যাম্পিয়নের লড়াই হবে। জোনাল চ্যাম্পিয়ন দল চূড়ান্তপর্বে খেলবে। আট জোন থেকে আটটি ও সার্ভিসেস দল থেকে দুটিসহ মোট ১০টি দল চূড়ান্তপর্ব খেলবে।

সুরমা অঞ্চলে কিশোরগঞ্জ না থাকায় মৌলভীবাজার, সিলেট ও সুনামগঞ্জ হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে গ্রুপ ভিত্তিক খেলবে।

ওয়ালটন গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্টে ৬৩টি জেলা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা বোর্ড ও সার্ভিসেস দলসহ মোট ৭৮টি দল অংশ নিয়েছে।

জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনগুলোকে এই চ্যাম্পিয়নশিপ উপলক্ষ্যে ১ লাখ ৫০ হাজার ও সার্ভিসেস,বিশ্ববিদ্যালয় ও বোর্ডকে ৫০ হাজার টাকা অংশগ্রহণ ফি দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। প্রত্যেক দলকে দুই সেট জার্সি দেওয়া হয়েছে। ঘরের মাঠে লাল জার্সি ও অ্যাওয়ে ম্যাচে সবুজ জার্সি পড়ে খেলা হবে।

 

ঢাকা/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়