ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বন্যা দুর্গত‌দের পাশে আ. লীগ, স্বাস্থ্যবিধি রক্ষাই ‘চ্যালেঞ্জ’

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:০৯, ২৯ জুন ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
বন্যা দুর্গত‌দের পাশে আ. লীগ, স্বাস্থ্যবিধি রক্ষাই ‘চ্যালেঞ্জ’

কুড়িগ্রামে তলিয়ে গেছে শতাধিক গ্রাম

মহামারি করোনার মধ্যেই দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলো বন্যায় ভাসছে। এসব অঞ্চলের বানভাসিদের সহায়তা দিতে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মাঠে নেমে পড়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর নেতাকর্মীরা। এছাড়া, যেসব এলাকা বন্যার শঙ্কার মধ্যে রয়েছে, সেসব অঞ্চলের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সার্বিক প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছেন তারা। তবে, বন্যা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাকে বড় ‘চ্যালেঞ্জ’ মনে করছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, দেশের সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নীলফামারীতে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে—দেশের নয় জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। জেলাগুলো হলো—কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, সিলেট, নেত্রকোণা ও সুনামগঞ্জ।

বন্যাকবলিত জেলাগুলোর মধ্যে কথা হয় সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমানের সঙ্গে। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমাদের জেলার পুরো এলাকায় এখনো বন্যা দেখা দেয়নি। তবু  ত্রাণ তৎপরতা শুরু করেছি। ডিসি-ইউএনও—সবার  সঙ্গে কথা বলে সমন্বয় করে কাজ করছি।’

জানতে চাইলে নীলফামারি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ বলেন, ‘বন্যায় এই জেলার ডিমলার ৪ ও জলঢাকা উপজেলার ৩ ইউনিয়ন বেশি প্লাবিত হয়েছে। আমরা খাদ্য সামগ্রী নিয়ে মানুষের পাশে আছি।’

অন্যান্য জেলার তুলনায় কুড়িগ্রামে আগেভাগে বন্যা শুরু হয়ে গেছে। কুড়িগ্রামে ধরলা-ব্রহ্মপুত্র বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত হয়েছে দুই শতাধিক চর ও দ্বীপচরের নিম্নাঞ্চল। এসব এলাকায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। নিমজ্জিত হয়েছে ফসল ও গ্রামীণ সড়ক। এসব এলাকার বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে শুকনো খাবার তুলে দেওয়াসহ নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার কাজ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

সিলেটের নিম্নাঞ্চলের একটি দৃশ্য || ছবি : আব্দুল্লাহ আল নোমান

জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন মঞ্জু বলেন, ‘আমরা বিস্কুট, চিড়া, চিনি, গুড়সহ শুকনো খাবার প্যাকেট দিচ্ছি। এলাকার বন্যা পরিস্থিতি, মানুষের অসহায়ত্বের কথা ডিসি, ইউনওকে জানিয়েছি। বানভাসিদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিচ্ছি।’

আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে মঞ্জু বলেন, ‘‘মূলত খাবারের অভাব নেই। কিন্তু রান্না করে খাওয়ার জায়গা নেই। আমরা সেই ব্যবস্থা করছি। তবে আমাদের কাছে মূল ‘চ্যালেঞ্জ’ হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করা। মাস্ক বিতরণসহ কিছু কিছু পদক্ষেপ নিয়ে সেগুলো ঠিক রাখার চেষ্টা করছি। ‘

লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহের হোসেন, এমপি বলেন, ‘করোনা কিংবা বন্যায় আমরা দলের পক্ষ থেকে সার্বিকভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছি, তাদের জন্য কাজ করছি। আমরা দলের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি।’

বন্যাকবলিত অঞ্চলে দলীয় নেতাদের ভূমিকার কথা জানতে চাইলে দলের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানুষের পাশে দাঁড়াতে এরই মধ্যে স্থানীয় নেতাকর্মীদের প্রতি দলের সভাপতি নির্দেশনা দিয়েছেন। তার নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট এলাকার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই স্থানীয় নেতাকর্মীরা ভানবাসি মানুষের পাঁশে দাঁড়িয়েছেন।’

‘যেকোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য’ বলে উল্লেখ করেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, ‘দেশবাসী দেখেছে দলের নেতাকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমাদের নেতাকর্মীরা সংক্রমিত হচ্ছেন, মারা যাচ্ছেন।’ কিন্তু মানবসেবা থেমে নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

 

ঢাকা/পারভেজ/এনই

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়