ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বহু ভাষায় সাক্ষরতা, উন্নত জীবনের নিশ্চয়তা

শাহ মতিন টিপু || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:০২, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বহু ভাষায় সাক্ষরতা, উন্নত জীবনের নিশ্চয়তা

রাইজিংবিডি ডেস্ক: শিক্ষা হলো জ্ঞান অর্জনের মূল ভিত্তি। আর সাক্ষরতা অর্জন হলো শিক্ষার প্রাথমিক ধাপ। বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার সন্তোষজনক।

বর্তমানে সাক্ষরতার হার বেড়ে শতকরা ৭৩ দশমিক ৯ ভাগে উন্নীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস আজ।

এবারে দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য ‘বহু ভাষায় সাক্ষরতা, উন্নত জীবনের নিশ্চয়তা’। বিশ্বের সাথে তালমিলিয়ে বাংলাদেশেও দিবসটি সরকারি ও বেসরকারিভাবে পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, ‘শতভাগ সাক্ষরতা অর্জনে সাক্ষরতা কর্মসূচিকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে।’ তিনি এ লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

এবারের প্রতিপাদ্যকে গুরুত্ব দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘শিশুরা মাতৃভাষার পাশাপাশি অন্য ভাষা শিখলে, তা বিভিন্ন দেশ ও জাতির মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধনকে আরো দৃঢ় করবে। একই সাথে নতুন নতুন অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে নিজের জীবনমান উন্নয়ন এবং দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখতে পারবে।’

তিনি ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমান সরকার দেশের নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরতা দানের লক্ষ্যে ৬৪টি জেলায় মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। আমাদের নিরলস ও অব্যাহত প্রচেষ্টার ফলে বিগত এক দশকে সাক্ষরতার হার ২৮ দশমিক ১২ শতাংশ বেশি বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৭৩ দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘মায়ের ভাষায় সাক্ষরতা অর্জনের পাশাপাশি অন্য এক বা একাধিক ভাষা শেখার সুযোগ সৃষ্টি করে আমদের শিশু, কিশোর ও যুবদের ‘গ্লোবাল ভিলেজে’যুক্ত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বহু ভাষায় সাক্ষরতালব্ধ জ্ঞান বিভিন্ন দেশ, সংস্কৃতি ও ভাষার মধ্যে দৃঢ় মেলবন্ধন তৈরি করে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমবার আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপিত হয়। স্বাধীনতার পর পরই বঙ্গবন্ধুর সরকার কর্তৃক প্রণীত সংবিধানের ১৭(গ) অনুচ্ছেদে আইনের দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিরক্ষরতা দূর করার জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের অঙ্গীকার করে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় শতভাগ সাক্ষরতা অর্জন ও মানবসম্পদ গড়ে তোলার মাধ্যমে জাতির পিতার কাঙ্ক্ষিত ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতামুক্ত সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে পারব।’


রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ