বাগেরহাটে ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে জমিদার বাড়ির স্থাপনা!
বাগেরহাট সংবাদদাতা: বাগেরহাটে ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে জমিদার বাড়ির স্থাপনা। আদালতের আদেশ থাকার পরও জমিদার আমলের তৈরি কাছারি বাড়ির সিঁড়িসহ ভবন নিশ্চিহ্ন করার প্রয়াস চলছে বলে অভিযোগ বাদি ও এলাকাবাসির।
ভোগদখলকারি মাদ্রার সুপার কেরামত আলী জানিয়েছেন, পাশে ক্লাস কক্ষ তৈরি করতে সিঁড়িটি ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে।
জানা গেছে, বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের পানিঘাট এলাকায় রমেশ চন্দ্র বন্দোপ্যাধায় গং জমিদারদের কাছারি বাড়িটি খেলার মাঠ হিসাবে ব্যবহার করতে স্থানীয় মিলন সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ সোলায়মান সরকারের কাছ থেকে ডিক্রি নেওয়ার জন্য আদালতে মামলা করেন। আদালত ব্যক্তির নামে ডিক্রি না দিয়ে সরকারের পক্ষে রায় দেন। পরবর্তীতে জমিদারদের কাছারি বাড়িসহ জমি দখলে নিতে মৌলভী আবুল বাশার মোল্লা আদালতে ডিক্রির মামলা করেন। তারা এক তরফা ডিক্রি বুনিয়াদে ১৯৭৭ সালে ৪ একর ৩৩ শতক দখলস্বত্ব পেয়ে পুরনো স্থাপনায় পানিঘাট ইসলামী নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাসহ নতুন স্থাপনা তৈরি করে। মামলায় বিবাদী করা হয়েছিল ওই খেলার মাঠের মিলন সমিতির সাধারন সম্পাদক শেখ সোলায়মানকেও।
এরপর ১৯৯৯ সালে ২০ নভেম্বর সরকারের পক্ষে একতরফা ডিক্রির বিরুদ্ধে ৫ জনকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেন মিলন সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ সোলায়মান। মামলা চলাকালীন অবস্থায় চলতি বছরের ২৭ জুন সহকারী জজ আদালত জমিদার বাড়ির স্থাপনা সরেজমিন পরিদর্শন করে অভিজ্ঞ আইনজীবীকে সার্ভে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন।
এ অবস্থার মধ্যেই শ্রমিক দিয়ে কাছারি বাড়ির সিঁড়ি ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে দেখে এলাকাবাসিসহ জনপ্রতিনিধিরা ঊদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এবিষয়ে স্থানীয় বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শংকর কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘আদালতের আদেশ থাকলে সেখানে ভাঙ্গা উচিত হয়নি। মামলা চলাকালীন সময়ে তাদের আদালতের আদেশকে সম্মান করা উচিত ছিল।’
রাইজিংবিডি/বাগেরহাট/৭ জুলাই ২০১৮/আলী আকবর টুটুল/টিপু
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন