ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

বান্দরবানের বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধস

বাসু দাস || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:১১, ১৪ জুলাই ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বান্দরবানের বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধস

বান্দরবান সংবাদদাতা : টানা ১০ দিনের প্রবল বর্ষণে বান্দরবানের বিভিন্ন উপজেলায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটছে। পাহাড় ধসের ফলে ছয়দিন ধরে বান্দরবানের সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

রোববার দুপুর দুইটা পর্যন্ত জেলা সদর, লামা, রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচিসহ প্রায় সকল উপজেলাতেই কম বেশি পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে।

বর্তমানে সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বান্দরবানে বন্যা দেখা দিয়েছে। বলা হচ্ছে, ১৯৯৭ সালের পর এই বন্যা সবচেয়ে ভয়াবহ। এতে জেলাতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ। ১৪১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে বানভাসী মানুষের স্থান সংকুলান না হওয়ায় তারা কাছের স্কুল, মসজিদ, মন্দিরসহ বিভিন্ন সুবিধাজনক স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।

এদিকে চট্টগ্রাম-বান্দরবান সড়কের সাতকানিয়া উপজেলার বাজালিয়া এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় ৬ দিন ধরে সারাদেশের সঙ্গে বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। সাঙ্গু নদীর পানি এখনও বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বান্দরবান-কেরানীহাট সংযোগ সড়ক এবং অভ্যন্তরীণ রুটগুলো ৬দিন ধরে বন্ধ থাকায় খাদ্যপণ্যের ওপর প্রভাব পড়েছে ব্যাপক। খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাব দেখা দিয়েছে। সবজিক্ষেত ডুবে যাওয়ায় বাজারে দেখা দিয়েছে সংকট। যদিও বা কিছু পাওয়া যাচ্ছে তার মূল্য তিন/চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এছাড়া শনিবার দুপুর থেকে বান্দরবান বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বন্যা দুর্গতদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে জেলায় ৪১টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে । সাইক্লোন সেন্টার এবং বিদ্যালয়গুলোতে আশ্রয় নেয়াদের এই স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হচ্ছে। ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা দিচ্ছে মেডিকেল টিম। জরুরি হলেই সদর হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে ।

এ বিষয়ে বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শামীম হোসেন জানান,  জেলায় প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেছে ৪৫০ মেট্রিক টন চাল। তবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এলাকাগুলোতে ত্রাণ পৌঁছাতে বেগ পেতে হচ্ছে।

বান্দরবানের পৌরসভার মেয়র ইসলাম বেবী জানান, জেলার ১৮টি আশ্রয় কেন্দ্রের প্রায় আড়াই হাজার মানুষকে দুই বেলা করে রান্না করা খিচুড়ি ও মাংস দেয়া হচ্ছে। এছাড়া পানি বিশুদ্ধকরণের  ট্যাবলেটও দেয়া হচ্ছে।

 

রাইজিংবিডি/বান্দরবান/১৪ জুলাই, ২০১৯/বাসু দাস/লাকী

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ