ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বিদ্যুৎকেন্দ্রের সক্ষমতা বাড়ানোর প্রকল্পে ব্যয় বৃদ্ধি

হাসিবুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৫৪, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিদ্যুৎকেন্দ্রের সক্ষমতা বাড়ানোর প্রকল্পে ব্যয় বৃদ্ধি

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে আরো ৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য ‘কনভারশন অব ১৫০ মেগাওয়াট সিলেট গ্যাস টারবাইন পাওয়ার প্ল্যান্ট টু ২২৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট’ প্রকল্প সংশোধন করে এর ব‌্যয় ২০২ কোটি ৫ লাখ ২৬ হাজার টাকা বাড়ানো হয়েছে।

প্রকল্পটি যখন প্রথম অনুমোদন দেয়া হয় তখন ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭০৭ কোটি ৫৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। দ্বিতীয় সংশোধনের পরে ব‌্যয় ধরা হয়েছে ৯১০ কোটি ৬ লাখ ৮ হাজার টাকা। প্রকল্পটি গত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগ/বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান,  ‘কনভারশন অব ১৫০ মেগাওয়াট সিলেট গ্যাস টারবাইন পাওয়ার প্ল্যান্ট টু ২২৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট  (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।

সিলেট সদরের কুমারগাঁওয়ে অবস্থিত ১৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধি ছাড়াই ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদিত এক্সহাস্ট ফ্লু গ‌্যাস চিমনি দিয়ে বাতাসে ছাড়ার আগে হিট রিকোভারি জেনারেটরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত করে অতিরিক্ত ৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের দক্ষতাও বাড়বে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত।

এ প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে- ৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার স্টিম টারবাইন জেনারেটর সেট ও যন্ত্রাংশ সংগ্রহ ও স্থাপন, হিট রিকভারি স্টিম জেনারেটর সংগ্রহ ও স্থাপন, অতিরিক্ত উৎপাদিত ৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে ইভাকুয়েশন সুবিধা স্থাপন, কেমিক্যাল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন, ইনস্ট্রুমেন্টস ও কন্ট্রোল সিস্টেম স্থাপন, পরামর্শ সেবা গ্রহণ, আনুষঙ্গিক পূর্ত নির্মাণ।

প্রকল্পটি সংশোধনের কারণ সম্পর্কে পরিকল্পনা কমিশন থেকে জানা গেছে,  প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি, বিভিন্ন অঙ্গে পরিমাণ ও ব্যয় হ্রাস-বৃদ্ধি, ব্যাংক চার্জ খাতে ব্যয় হ্রাস, ডিসকাউন্ট সমম্বয় ইত্যাদি কারণে প্রকল্প সংশোধন করা হয়েছে।

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯/হাসিবুল/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়