ভারতে উত্তরপ্রদেশে ৬ বিক্ষোভকারী নিহত
শুক্রবার বিকেলে ভারতের উত্তর প্রদেশে নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত ছয়জন নিহত হয়েছেন।
এনডিটিভিসহ ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো এমন খবর দিয়ে জানিয়েছে, পুলিশ ছয়জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করলেও পুলিশের গুলিতেই নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করেনি।
পুলিশ এনডিটিভিকে জানায়, রাজ্যের বিজনর এলাকায় দুজন এবং সামবাল, ফিরোজাবাদ, মিরাট এবং কানপুরে একজন করে নিহত হয়।
ফিরোজাবাদের হতাহতের ঘটনা সম্পর্কে আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে শুক্রবার উত্তর প্রদেশের একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ ছড়ায়। ফিরোজাবাদে পুলিশ বাধা দিলেও বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিতে থাকেন। অতর্কিত পুলিশ গুলি চালালে ঘটনাস্থলে একজন মারা যান। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। সেখানে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ হয়েছে বলে দাবি করছে পুলিশ।
এদিন সন্ধ্যায় দেশটির রাজধানী দিল্লিতে জলকামান ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ওপর ছত্রভঙ্গ করার পর থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এনটিভি বলছে, দিল্লি জামে মসজিদের হাজার হাজার মানুষের সমাবেশের রেশ কাটতে না কাটতেই সন্ধ্যার দিকে বিতর্কিত নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে নতুন করে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয় পুরাতন দিল্লির একই এলাকায়। ‘সংবিধান রক্ষা কর’ লেখা ব্যানার নিয়ে প্রতিবাদকারীরা রাস্তায় নেমে দিল্লির কেন্দ্রস্থল যন্তরমন্তর দিকে যেতে থাকে। সেখানে পুলিশের বাধা না মানায় জলকামান ও লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। শেষ পর্যন্ত খবর পাওয়া পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরা যাতে সমবেত না হতে পারে সেজন্য রাজধানীর অন্তত ১৭টি মট্রো স্টেশন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এর আগে অবশ্য শুক্রবার দুপুরেই দিল্লি, কর্নাটক, উত্তর প্রদেশের বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ ঠেকাতে ইন্টারনেট বন্ধ এবং কোথাও কারফিউ ও কোথাও ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। তবে সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সমাবেশে যোগ দেয় হাজার হাজার মানুষ।
বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে থেকে হিন্দুসহ অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেয়ার নাগরিকত্ব বিল এবং এনআরসির বিরুদ্ধে আন্দোলনে একদিনে সর্বোচ্চ নিহতের ঘটনা শুক্রবারেই হলো। সবমিলে কদিনের আন্দোলনে নিহতে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ জনে। আসাম ও কর্নাটকের পর উত্তর প্রদেশে সর্বোচ্চ নিহতের ঘটনায় আন্দোলন আরো ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কার কথা জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
ঢাকা/সাজেদ/সাইফ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন