ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ভারি বর্ষণ : বোরো ধান ও রবিশস্যের ক্ষতি

বেলাল রিজভী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৪১, ২৮ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ভারি বর্ষণ : বোরো ধান ও রবিশস্যের ক্ষতি

মাদারীপুর প্রতিনিধি : গত কয়েক দিনের টানা ভারি বর্ষণে মাদারীপুরে বোরো-ইরি ধান, পাট ও রবিশস্য পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।

এখনো বেশীরভাগ ধান পাট পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। দেরীতে আবাদ হওয়ায় রবি শস্যেরও প্রচুর ক্ষতি হয়েছে।

আর বৃষ্টি না হলে পানি সরে যাবে এবং বোরো ধানের কোনো ক্ষয়-ক্ষতির সম্ভাবনা থাকবে না বলে কৃষি কর্মকর্তাদের দাবি।

কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় ৩৪ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে দুর্যোগকবলিত জমির পরিমাণ ছিল ৭৫ হেক্টর। ৩৪ হাজার ৮৯২ হেক্টর পাট চাষ হয়েছে এর মধ্যে দুর্যোগকবলিত এক হাজার ৬৭৫ হেক্টর।

কয়েকদিন বৃষ্টি হওয়ার পরও কৃষি অফিস বলছে এই পানিতে তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। কিন্তু তাদের প্রতিবেদনে রয়েছে সম্পূর্ণ পানিতে নিমজ্জিত জমি ৪৫০ হেক্টর আর আংশিক নিমজ্জিত জমি এক হাজার ২২৫ হেক্টর।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সদর উপজেলার পাঁচখোলা ব্রাহ্মন্দী, পেয়ারপুর, আমবাড়ি, বড়বাড্ডা, বালিয়া খালপাড়, শিবচর উপজেলার চরজানাজাত, কাঠালবাড়ী, মাদবরেরচর, বন্দরখোলা, রাজৈর উপজেলাসহ কালকিনি উপজেলার সমিতির হাট, কাশিমপুর ও আলীনগরসহ বেশ কয়েকটি নিম্ন অঞ্চলে ভারি বর্ষণের কারণে জমির পাকা ধান, পাট ও  মেছতা ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ওই সকল এলাকার ফসলী জমির বেশির ভাগ পানিতে তলিয়ে রয়েছে। ফলে স্থানীয় কৃষকেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। বেশীর ভাগ কৃষক বছরে একবার চাষ করে পরিবারের সকল খরচ বহন করে। এ সব এলাকার নিম্ন অঞ্চলের জমিতে একবারের বেশী ফসল করা যায় না। তলিয়ে যাওয়া জমির অধিকাংশ এক ফসলী।

কৃষক জলিল, আলেপ, রহমত আলী, সিকিন আলী, ছাত্তার হাওলাদার, সোবাহান বেপারী, কামরুল হোসেন জানান, তাদের ফসলের জমি বৃষ্টির পানিতে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা তারা কি দিয়ে পুষিয়ে নেবেন ভেবে পান না। এখনও অনেক পাকা, আধাপাকা ধান পানির নিচে। পাট সে তো এখনো তেমন বড় হয়নি।তারপরও পানির নিচে রয়েছে বেশীর ভাগ পাট। পানি স্থায়ী হলে এ সব পঁচে যাবে।

এ ব্যাপারে মাদারীপুর জেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘বৃষ্টিতে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে যেখানে পানি জমে রয়েছে সেখান থেকে পানি সরানোর জন্য ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মেম্বারদের পরামর্শ দিয়েছি। আমরাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। সামনে কয়েকদিন বৃষ্টি না হলে। কয়েক দিনের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে।’



রাইজিংবিডি/মাদারীপুর/২৮ এপ্রিল ২০১৭/বেলাল রিজভী/রুহুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়