ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ভিসা জটিলতা দূর করার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১৯, ১ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ভিসা জটিলতা দূর করার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর

সচিবালয় প্রতিবেদক : বাংলাদেশি পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের হংকং যেতে ভিসাসংক্রান্ত জটিলতা দূর করার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

মন্ত্রী বুধবার হংকং সফরকালে দেশটির সেক্রেটারি অব কমার্স (বাণিজ্যমন্ত্রী) অ্যান্ড ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট গ্রিগরি সো কাম-লিয়াং-এর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ আহ্বান জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভিসা ও বাণিজ্য সমস্যা দূর করা হলে হংকং-এর বাজারে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বাড়বে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরেই জিডিপি গ্রোথ শতকরা ৬ ভাগের বেশি হয়েছে, গত বছর হয়েছে ৭.১১ ভাগ। দেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে। এখন দেশের রপ্তানি প্রায় ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২১ সালে এ রপ্তানি হবে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশে বিনিয়োগ ও রপ্তানি বৃদ্ধি করতে সরকার ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশে হংকং-এর ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে হংকং ও চীনের ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন। বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য এখন চমৎকার স্থান। সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতি এবং এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করছে। হংকং, চীনসহ পৃথিবীর অনেক দেশ এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইপিজেডে হংকং-এর ২৭টি প্রতিষ্ঠানে প্রায় আধা বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ রয়েছে। সেখানে তারা লাভজনক ব্যবসা করছে। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। এগুলোর উন্নয়ন কাজ চলছে। বিভিন্ন দেশ থেকে আগত বিনিয়োগকারীদের এসব জোন বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। চীন বাংলাদেশে বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে এগিয়ে এসেছে।

সরকার বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে আইন করে তাদের সংরক্ষণ করেছেন বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, কোনো বিনিয়োগকারী চলে যেতে চাইলে শতভাগ মূলধন ফিরিয়ে নিতে পারবেন। আইন দ্বারা বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা হয়েছে।

হংকং-এর সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে মন্তব্য করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে দুদেশের মধ্যে প্রায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি ব্যবসা হচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, গত অর্থবছরে বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ২১৪.১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য, একই সময়ে আমদানি করেছে ৮০৫.১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। উভয় দেশ বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। আগামী দিনগুলোতে উভয় দেশের বাণিজ্য উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে।

‘হংকং-এর বাজারে বাংলাদেশের ঔষধ, চামড়া, নিটওয়্যার, ওভেন, কটন ও সামুদ্রিক মাছের প্রচুর চাহিদা রয়েছে’ বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

পরে মন্ত্রী হংকং-এর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং লিএ্যান্ড জুং নামক প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ড. ভিকটরি জুং-এর নেতৃত্বে একটি বিনিয়োগকারী ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন।

এ সময় মন্ত্রী বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ,  বিনিয়োগবান্ধব নীতি, প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধাগুলো তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১ মার্চ ২০১৭/নঈমুদ্দীন/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়