ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ভেঙ্গে ভেঙ্গে যাচ্ছে বেশি

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৩১, ১০ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ভেঙ্গে ভেঙ্গে যাচ্ছে বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক : পরিবার পরিজনের সাথে ঈদ করতে যারা বাড়ি যাচ্ছেন, তাদের বিরাট একটা অংশ সরাসরি পরিবহনে না গিয়ে ভেঙ্গে ভেঙ্গে যাচ্ছেন।

তারা জানিয়েছেন, অগ্রিম টিকিট কাটতে আসেন নি। কারণ তখনও দীর্ঘ লাইন থাকে। অনেক কষ্ট করে টিকিট কেটেও কোনো লাভ হয় না। ফেরি পার হওয়ার জন্য মাওয়া ঘাটে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। তাই ভেঙ্গে ভেঙ্গে যাওয়াই উত্তম। ভেঙ্গে গেলে সময় কম লাগে। ভোগান্তিও কম হয়। তবে তুলনামূলক টাকা একটু বেশি খরচ হয়।

যাত্রাবাড়ী মোড়ে দাঁড়িয়ে কথা হয় কাদের হোসেনের সাথে। তিনি জানান, তিনি খুলনা যাবেন। যাত্রাবাড়ী থেকে প্রথমে মাওয়া যাবেন। সেখান থেকে স্পিরিট বোট, লঞ্চ বা ফেরি যা পান তাতেই পার হয়ে যাবেন। ওপারে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে গিয়ে খুলনার বাসে কিংবা রূপসার মাইক্রোতে উঠবেন।

কথা হয় গার্মেন্টস কর্মকর্তা শেখ জসিম উদ্দিনের সাথে। তিনি জানান, রাত ১ টার দিকে আব্দুল্লাহ পুর থেকে তিনি স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে প্রাইভেটকারে রওনা হন। রাত তিনটার দিকে মাওয়া ঘাটে আসেন। সেখান থেকে একটি ফেরিতে ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে কাঁঠালবাড়ি ঘাট পার হয়ে মাইক্রোতে ওঠেন। নয়টার মধ্যে বাগেরহাটে কচুয়া উপজেলা আঠারগাতি গ্রামে নিজের বাড়ি পৌঁছে যান।

জসিম বলেন, ‘যদি সরাসরি এক গাড়িতে যেতেন, তাহলে অনেক সময় লাগতো। আজ রাতেও যেতে পারতেন কি না সন্দেহ আছে। কেননা গাড়িসহ ফেরি পার হয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।

শাহিন নামের এক যাত্রী জানান, তিনি শরিয়তপুর যাবেন। সরাসরি গেলে ফেরিতে দেরির বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। যখন চাপ কম থাকে তখন অন্তত সাড়ে চার ঘণ্টা লাগে। আর এভাবে ভেঙ্গে ভেঙ্গে গেলে তিনি আড়াই ঘণ্টার মধ্যে বাড়ি চলে যাবেন।

এদিকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, গাড়িতে আগের মত সেই ঠাসাঠাসি নেই। কাউন্টারেও উপচে পড়া ভিড় নেই। অনেক কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে কাউন্টারের লোকজন যাত্রী ডাকছেন।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ আগস্ট ২০১৯/সাওন/হাকিম মাহি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়