ঢাকা     সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ৩০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ভোগান্তির নাম কমিউটার ট্রেন

|| রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:২২, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩   আপডেট: ০৮:৪৫, ১১ আগস্ট ২০২০
ভোগান্তির নাম কমিউটার ট্রেন

ট্রেন

তানজিমুল হক
রাজশাহী, ১৮ সেপ্টেম্বর: চাঁপাই-রাজশাহী-ঈশ্বরদী রুটে ভোগান্তির নাম কমিউটার ট্রেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে গত বছরের ৩ অক্টোবর এই রুটে চালু করা হয়েছিল একটি কমিউটার ট্রেন। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতে সেই ট্রেন এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে ভোগান্তির কারণ।

নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে কাঙ্খিত যাত্রীসেবা দিতে পারছে না ট্রেনটি। ট্রেনে আসন সংখ্যার বিপরীতে অধিক যাত্রী যাতায়াত করলেও অধিকাংশ যাত্রী টিকিট না করায় লোকসান গুণতে হচ্ছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে।

রাজশাহী রেল স্টেশনের সুপারিন্টেনডেন্ট আবদুল করিম জানান, বর্তমানে ৬টি বগি নিয়ে ট্রেনটি রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রহনপুর ও ঈশ্বরদী রুটে চলাচল করছে। যার আসন সংখ্যা ৬২৪টি।

প্রতিদিন সকাল ৯টা ২০ মিনিটে ঈশ্বরদী থেকে রাজশাহী স্টেশনে ট্রেনটি প্রবেশ করে। সকাল সাড়ে ৯টায় ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। আবার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে ট্রেনটি রাজশাহী স্টেশনে প্রবেশ করে এবং বিকেল ৩টায় রহনপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ওই একই ট্রেন সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে রাজশাহী স্টেশনে প্রবেশ করে এবং ১০ মিনিট পর ঈশ্বরদীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

রাজশাহী রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী-ঈশ্বরদী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত চলাচলকারী কমিউটার ট্রেনটি প্রতিদিনই যাত্রীভর্তি থাকে। কিন্তু ট্রেনটির আসন সংখ্যার অর্ধেক টিকিটও বিক্রি হয় না।

যাত্রীদের অভিযোগ, ট্রেনটি চালু হওয়ার পর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। ট্রেনের বিভিন্ন বগির বসার আসনগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। খসে পড়েছে কোনো কোনো বগির আসন। কোনো বগিতে আবার পুরো আসনই ভেঙে গেছে।

এছাড়া ট্রেনে ফ্যানের ব্যবস্থা থাকলেও চলে না। রাতের বেলা আলোর জন্য লাগানো লাইটগুলোও নষ্ট হয়ে পড়েছে। আর ট্রেনের টয়লেটের অবস্থা একেবারেই ব্যবহারের অনুপোযোগী। সবমিলিয়ে ট্রেনের ভেতরের পরিবেশ একেবারেই যাতায়াতের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।

পশ্চিমাঞ্চল রেলের এক কর্মকর্তা জানান, প্রতিদিন কমিউটার ট্রেনে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা হলেও টিকিট বিক্রি হয় অর্ধেক। কারণ হিসেবে তিনি জানান, ওই ট্রেনে যারা যাত্রী হিসেবে চলাচল করেন তাদের অর্ধেকের বেশি দিনমজুর। ফলে তারা টিকিট না কেটেই যাতায়াত করেন।

ট্রেনটি সুষ্ঠুভাবে চলাচল করলে লাভজনক হবে দাবি করে তিনি বলেন, ‘যাত্রী বেশি হলেও কেন সব টিকিট বিক্রি হয় না, তা বের করতে কর্তৃপক্ষের তদন্ত করা প্রয়োজন।’

এ বিষয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলের চিফ অপারেটিং অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘অর্ধেক টিকিট বিক্রির বিষয়টি ইতোমধ্যে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। এ ব্যাপাওে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধির জন্য ট্রেনটির বগিগুলো সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

 

 

রাইজিংবিডি/শামটি

 

 

 

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়