ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

মশা দমনে যুগান্তকারী আবিষ্কার

আহমেদ শরীফ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২৫, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মশা দমনে যুগান্তকারী আবিষ্কার

আহমেদ শরীফ : পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই ক্ষুদ্র প্রাণী মশা এক আতঙ্কের নাম। ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুর মতো প্রাণঘাতী রোগ ছড়ায় মশা। প্রতি বছর ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে ৪ লাখের মতো মানুষ মারা যায়।

এই মশা দমনের নানা পন্থা অবলম্বন করেও ব্যর্থ হচ্ছেন অনেক দেশের বিজ্ঞানী, গবেষকরা। এবার মশার জেনেটিক উন্নয়নের মাধ্যমে ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের গবেষকরা মশার বংশ বিস্তার রোধে কার্যকর, যুগান্তকারী উপায় বের করেছেন। ম্যালেরিয়ার জীবাণু বহনকারী স্ত্রী ‘অ্যানোফিলিস অ্যাসেনশিয়াল’ নামের মশার ওপর এই গবেষণা পরিচালনা করেন বৃটিশ গবেষকরা।

‘জিন ড্রাইভ’ নামের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে ওই প্রজাতির মশার বংশ বিস্তার রোধের পথ খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণাগারে সিআরআইএসপিআর জিনোম প্রক্রিয়ার সহায়তা নিয়েছেন। এই প্রক্রিয়া বিজ্ঞানীদের মশার ডিএনএ তন্তুর নির্দিষ্ট স্থানে কাটার সুযোগ করে দেয়। এই প্রক্রিয়ায় বিজ্ঞানীরা অল্প সময়ে ক্ষতিকর জিন কেটে ফেলে দিতে পেরেছেন। এরপর ভালো জিন সহজে ওই মশার দেহে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছেন।

এই পরীক্ষায় বিজ্ঞানীরা ডাবলসেক্স নামের জিনের ওপর নজর দিয়েছেন, যাতে করে শনাক্ত করা যায় ওই মশা পুরুষ না স্ত্রী। জিন ড্রাইভের মাধ্যমে গবেষণাগারের সব স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশাকেই তাদের ক্ষতিকর প্রভাব মুক্ত করতে পেরেছেন। এর ফলে পুরুষ মশাদের মতোই এরা কামড়াতে বা রোগ বহন করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এমনকি তাদের ডিম ফুটিয়ে বংশ বিস্তারের ক্ষমতাও নষ্ট হয়। গবেষণাগারে প্রায় ৬ মাস সময়ে তারা বংশবিস্তার করতে না পেরে মারা যায়।

তবে পরিবেশে এ ধরনের জিন ড্রাইভ করা মশা ছাড়লে ঠিক কেমন প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে আরো কিছু গবেষণার বাকি আছে। কারণ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য মশাদের প্রয়োজন আছে বলে বিজ্ঞানীরা সেগুলোকে পুরোপুরি নির্মূল না করে ক্ষতিকর স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশার বংশ বিস্তার রোধেই মনোযোগী হয়েছেন বেশি।

তথ্যসূত্র: এক্সট্রিম টেক



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়