ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

মা-শিশু হত্যা: ৩ বছরেও হয়নি রহস্য উদঘাটন

জেলা সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২৮, ১২ ডিসেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মা-শিশু হত্যা: ৩ বছরেও হয়নি রহস্য উদঘাটন

ফেনীর পশ্চিম উকিল পাড়ায় আলোচিত হত্যাকাণ্ড প্রবাসীর স্ত্রীসহ দুই শিশু হত্যার রহস্য গত ৩ বছরেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। ফলে স্থবির হয়ে পড়ে আছে লোমহর্ষক ঘটনাটি।

স্বজনদের অভিযোগ মামলাটি অনেকটা হিমাগারে চাপা পড়ে আছে। বিচারের আশায় স্ত্রী সন্তান হারা স্বামী, মেয়ে হারা মা ও বোন হারা ভাই কাঁদলেও হত্যাকারীরা আজও অধরাই রয়ে গেছে।

সিআইডি পুলিশ ও মামালার বাদী সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর দিবালোকে ফেনীর পশ্চিম উকিল পাড়ার আবদুর রউফ ভূঁইঞার নিজ বাড়ির শয়ন কক্ষে স্ত্রী মর্জিনা আক্তার মুক্তা (২৭), তার শিশু ছেলে মহিন মাহমুদ (৩) ও মেয়ে তাসলিম মাহমুদ মাহিকে (৮) হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। প্রথমে ৩ জন হত্যার ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হয়।

পরে নিহতদের ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্টে প্রকাশ করা হলে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে ধরা পড়ে। রিপোর্টে নিহতদের শরীরে আত্মহত্যার আলামত পাওয়া যায়নি। হত্যায় তৃতীয় পক্ষ জড়িত ছিল বলে নিশ্চিত করেন সিআইডি পুলিশ।

কিন্তু আলোচিত ট্রিপল হত্যার সূত্র উদ্ধার হয়নি বছরের পর বছর। পরিবারের দাবির প্রেক্ষিতে ঘটনার এক বছর পর ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর আলোচিত ট্রিপল মার্ডার মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।

মামলার বাদী নিহতের ভাই আনোয়ার হোসেন মাছুম জানান, ঘটনার পর ৩ বছর পার হলেও পুলিশ ক্লু উদঘাটনে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি আসামিদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান।

ঘটনার পর ইতালি প্রবাসী স্বামী তারেক আহম্মদ এ ঘটনায় তার স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমকে দায়ী করেছেন। তিনি জানান, ১০ বছর আগে সাইফুল ইসলাম ইমনের সাথে কথা বলার কারণে আমরা সবাই আমার স্ত্রীকে বকাঝকা করেছিলাম। পরকীয়া প্রেমিক ইমন আমার স্ত্রী সন্তানকে খুন করেছে । ইমন আমার স্ত্রী মুক্তার ধর্মীয় ভাই।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ফেনী সিআইডির উপ-পরিদর্শক (সাব-ইন্সপেক্টর) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মোবাইলের কল লিস্ট ধরে তদন্ত চলছে।’

তিনি আসামির নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘খুনের প্রদান সন্দেহভাজন বিদেশ চলে যাওয়ায় মামলার অগ্রগতি কিছুটা থেমে গেছে। তবে আসামির খোঁজে চেষ্টা অব্যাহত আছে।’

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ফেনীর পশ্চিম উকিল পাড়ার আবদুর রউফ ভূঁইঞার নিজ বাড়ি থেকে তার স্ত্রী, পুত্র এবং কন্যাসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করেছিল স্বামীর সঙ্গে কলহের জের ধরে সন্তানদের হত্যার পর মা আত্মহত্যা করেছেন। এছাড়া উভয়ের মধ্যে পারিবারিক কলহ ছিল বলেও স্বজনরা পুলিশকে জানিয়েছিল।


ফেনী/সৌরভ পাটোয়ারী/মাহি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়