ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

যে ক্রিকেটার দুই দেশের হয়ে খেলেছেন (শেষ পর্ব)

রুহুল আমিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪৫, ৯ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
যে ক্রিকেটার দুই দেশের হয়ে খেলেছেন (শেষ পর্ব)

রুহুল আমিন : বিশ্বজুড়ে অন্য খেলার মতো ক্রিকেটও বেশ জনপ্রিয় খেলা। আর উপমহাদেশের তো প্রধান খেলা বলা চলে ক্রিকেট। উপমহাদেশের প্রায় প্রতিটি উঠতি তরুণই বোধহয় বর্তমানে স্বপ্ন দেখে ক্রিকেটার হওয়ার। নিজের দেশের প্রতিনিধিত্ব করার। তবে ক্রিকেটে এমন উদাহরণও আছে যে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় শুধু একদেশ না, দুই দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তাও আবার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। এমন ১০ জন খেলোয়াড় নিয়ে আমাদের দুই পর্বের প্রতিবেদনে আজ থাকছে শেষ পর্ব :

৬. গেরেট জোন্স : গেরেট জোন্স পাপুয়া নিউগিনিতে জন্মগ্রহণ করেন।  জোন্স যখন শিশু তখন তার বাবা মা অস্ট্রেলিয়ায় চলে যান। জোন্স অস্ট্রেলিয়ায় জুনিয়র লেভেলে ক্রিকেট খেলেন। পরে ইংল্যান্ড চলে যান। আর ২০০৪ সালে উইকেটকিপার কাম ব্যাটসম্যান হিসেবে ইংল্যান্ডের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় তার।



২০০৫ সালে অ্যাশেজ জয়ে ইংল্যান্ড দলের অংশ ছিলেন জোন্স। কিন্তু ২০০৬-৭ মৌসুমে অ্যাশেজে তিনি খুব খারাপ খেলেন। এই কারণে ইংল্যান্ড দল থেকে তিনি বাদ পড়েন। পরে তিনি পাপুয়া নিউগিনির হয়ে আইসিসি বিশ্ব টি-টোয়েন্টির কোয়ালিফায়িং ম্যাচ খেলেন। আর ২০১৪ সালে হং কংয়ের বিপক্ষে পাপুয়া নিউগিনির হয়ে তার ওয়ানডেতে অভিষেক হয়। তিনি একটি বাজে বিশ্ব রেকর্ডের মালিকও। টেস্টে ৪৬ ইনিংসে ডাক মেরে তিনি এই রেকর্ডের মালিক হয়েছেন।

৭. এড জয়েস : জয়েস বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ও ডানহাতি মিডিয়াম পেস বোলার। তিনি আয়ারল্যান্ডের হয়ে আইসিসি ট্রফি খেলেন। কিন্তু বসবাসের কারণে পরে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেন।



২০০৬-৭ মৌসুমে ইংল্যান্ডের হয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এক ত্রিদেশীয় সিরিজে তার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়। কিন্তু ২০১০ সালে তিনি ইংল্যান্ড দল থেকে বাদ পড়েন।  পরে তিনি আয়ারল্যান্ডের হয়ে খেলা শুরু করেন।  এই পর্যন্ত তিনি আয়ারল্যান্ডের হয়ে ৪৬ টি ওয়ানডে ও  ১৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন।

৮. লুক রঞ্চি : লুক রঞ্চি উইকেট কিপার কাম ব্যাটসম্যান। তার জন্ম নিউজিল্যান্ডে। তবে তিনি যখন খুব ছোট তখন তার বাবা মা অস্ট্রেলিয়ায পাড়ি জমান। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তার টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেতে অভিষেক হয়। ২০০৮ সালের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে তার অভিষেক হয়।



অসিদের নিয়মিত উইকেট কিপার ব্রাড হাডিন ইনজুরিতে পড়ায় তিনি এই সুযোগ পান।  কিন্তু হাডিন যখন সুস্থ হয়ে দলে ফিরে আসেন তখন রঞ্চিকে দলের সাইড বেঞ্চে বসে বসে খেলা দেখতে হয়। কিছুদিন এভাবে কাটার পর তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন নিউজিল্যান্ড ফিরে যাবেন। পরে তিনি নিউজিল্যান্ড চলে যান। ২০১৩ সালে ইংল্যান্ড সফরে তিনি কিউই দলে ডাক পান। সেই থেকে তিনি নিউজিল্যান্ড দলে নিয়মিত খেলছেন। 

৯. ইয়ান মরগান : ইয়ান মরগান বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ২০০৬ সালের আগস্টে আয়াল্যান্ডের হয়ে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে তার ওয়ানডে অভিষেক হয়। অভিষেক ম্যাচে তিনি বিরল এক রেকর্ডও করেন। তিনিই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি অভিষেক ম্যাচে ৯৯ রান করে আউট হন।



২০০৭ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপে তিনি আয়ারল্যান্ড দলে অন্তর্ভুক্ত হন এবং মোট ২৩টি ম্যাচ খেলেন আয়ারল্যান্ডের হয়ে। পরে ইংল্যান্ড দলের হয়ে খেলবেন এই ইচ্ছা পূরণের জন্য তিনি ইংল্যান্ড চলে যান। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের হয়ে তার অভিষেক হয়। তারপর থেকে তিনি দলের নিয়মিত সদস্য। বর্তমানে তিনি ইংল্যান্ড দলের টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডের অধিনায়ক।

১০. ডার্ক ন্যানেস : ডার্ক ন্যানেস বাঁহাতি ফাস্ট বোলার। তার অস্ট্রেলিয়া ও নেদারল্যান্ডের দ্বৈত নাগরিকত্ব আছে। ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নেদারল্যান্ডের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে তার অভিষেক হয়। এর মাত্র দুই মাস পরে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ক্যারিয়ারের একমাত্র ওয়ানডে ম্যাচটি খেলেন।



তিনি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, দিল্লি ডেয়ারডেভিলস ও চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলেছেন। বর্তমানে তিনি ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করছেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ মার্চ ২০১৭/রুহুল/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়