ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

রাজধানীতে দেখা হলো সেই নাপিতের সাথে

শাহ মতিন টিপু || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:৩০, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রাজধানীতে দেখা হলো সেই নাপিতের সাথে

ছবি: শাহীন ভূঁইয়া

সেলুন ছাড়া চুল দাড়ি কাটার কথা এখন আর ভাবাও যায়না। রাজধানীতে তো নয়ই, মফস্বল শহরেও কেউ সেলুনের বাইরে রাস্তার ধারে বসে দাড়ি কাটানোর কথা চিন্তাও করতে পারেন না।

সময়ের সাথে সাথে বদলে গেছে পরিবেশ ও পরিস্থিতি। ঠিক এমন একটি সময়ে যদি রাজধানীতে দেখা যায় কোন নাপিত রাস্তার পাশে পিঁড়িতে বসে দাড়ি কাটছেন, কোর্ট প্যান্ট পড়ে কোন নাগরিক সেখানেই বসে গেছেন- তাহলে চোখ কপালে ওঠেনা কার! বিস্ময় দৃষ্টি নিয়েই দেখতে হয় এমন দৃশ্য।

রাজধানীর পুরনো ঢাকার রায়সাহেব বাজার মোড়ে রোববার সাতসকালে এমনই এক নাপিতের দেখা মিলল। যিনি রাস্তার ধারে আপন মনে পিঁড়ি পেতে ক্ষৌর কর্মটি করে চলেছেন।

এযুগেও যে রাস্তার ধারের নাপিতরা টিকে আছেন, এযে তারই যথার্থ উদাহরণ। তাও আবার খোদ রাজধানীতে! অবশ্য যে রাজধানীতে ফ্লাইওভার-মেট্রোরেল যুগেও বৈশাখী মেলা, পৌষপার্বণ, চৈত্রসংক্রান্তি, বর্ষাবরণ, বসন্তবরণের মতো উৎসব হয়; সে নগরীতে নাপিতরা থাকতেই পারেন।

রাজধানীতে আজ হরতাল চলছে। এ হরতালও রায়সাহেব বাজার মোড়ের নাপিত অখিল শীলের পেশার কোন ব্যাঘাত ঘটাতে পারেনি। তিনি নির্বিকার কাজ করে যাচ্ছেন। তার ভাষায় এই শহরে দাড়ি কাটার লোকের অভাব নেই। আর তার চাওয়া পাওয়াও বেশি নয়, ১৫/২০টি কাজ করলেই তার দিন চালানোর বন্দোবস্ত হয়ে যায়।

এখন চুলদাড়ি কাটানোর অত্যাধুনিক সেলুনের সমারোহ। সেখানে চুলদাড়ি কাটার নামে কতনা এলাহি কাণ্ড ঘটে। বাড়িতে নাপিত ডেকে চুল কাটানোর দিন হারিয়েই গেছে যেন। আগেকার দিনে নাপিতদেরকে কাজের বিনিময়ে সাধারণত দ্রব্যসামগ্রী দেওয়া হতো। গ্রামের লোকজন সারা বছরের সেবার বিনিময়ে নাপিতদের ফসলের মৌসুমে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্যশস্য দিত। নাপিতরা ছিল গ্রামের মানুষের অতি আপনজন।

রায়সাহেব বাজার মোড়ের অখিল শীলকে দেখে মনে হলো সেই নাপিতরা এখনো হারিয়ে যায়নি।


ঢাকা/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়