ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

‘রেফারেন্স থাকলে প্রিফারেন্স’ এর অবসান চায় দুদক

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০৪, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘রেফারেন্স থাকলে প্রিফারেন্স’ এর অবসান চায় দুদক

‘রেফারেন্স থাকলে প্রিফারেন্স পাওয়া যায়’- এ সংস্কৃতির অবসানের জন্য কাজ করছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক  এন্টিকরাপশন অ‌্যান্ড গভার্নেন্সের বিশেষজ্ঞ কারেন উসমানের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

ইকবার মাহমুদ বলেন, রেফারেন্স থাকলে প্রিফারেন্স পাওয়া যায়- এই সংস্কৃতির অবসানের জন্যই কমিশন পল্লী অঞ্চলে প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫টি দুর্নীতিবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে। এর মাধ্যমে তৃণমূলে পর্যায়ের মানুষ যাতে তদবিরমুক্তভাবে তাদের সরকারি পরিষেবা পেতে পারে সে বিষয়েই কমিশন কাজ করছে।

তিনি বলেন, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে দুদক আইনি প্রক্রিয়ায় কার্যকর ভূমিকা পালন করে। কমিশন দুর্নীতি দমনের পাশাপাশি প্রতিরোধ, সরকারি পরিষেবা প্রদানে বিজনেস প্রসেস রি-ইঞ্জিনিয়ারিং এবং তৃণমূল পর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতকল্পে গণশুনানিসহ বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুদক সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যবস্থাপনাায় উপকারভোগী জনগণকে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে এ ব্যবস্থাপনায় সংস্কার প্রত্যাশা করে। কারণ কমিউনিটি সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণই প্রকল্পকে জনবান্ধব কার্যক্রমে পরিণত করতে পারে। উপকারভোগীদের প্রকল্পের প্রতি মমত্ববোধ ও আমিত্ব সৃষ্টি করতে পারে। তাই প্রকল্প ব্যবস্থাপনা চক্রে অবশ্যই সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করার ব্যবস্থা নেওয়া সমীচীন।

তিনি বলেন, উন্নয়ন টেকসই করতে হলে নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানসম্মত শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। শুধু সার্টিফিকেট নির্ভর শিক্ষা দিয়ে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অর্জনও কঠিন। সক্ষম ও দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি করা না গেলে বিশ্ব অর্থনীতি যে ১১ রাষ্ট্রের তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে- তা ধরে রাখাও কঠিন চ্যালেঞ্জ হবে। দুদক উন্নয়ন সহযোগী বা কোনো সংস্থার কাছে কখনই কোনো আর্থিক সহায়তা চায় না, কমিশন চায় জ্ঞান, দক্ষতা, কৌশল, অভিজ্ঞতা এবং দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষা উপকরণ।

এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুদক শুধু চুঁনোপুটি কিংবা মধ্যম মানের দুর্নীতিবাজদের ধরছে না বরং অনেক রুই-কাতলাকেও ধরছে। আমলা, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীসহ যার বিরুদ্ধেই অভিযোগ পাচ্ছে তাকেই জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসছে। এখন আর কেউ নিজেকে আইনের ঊর্ধ্বে ভাবার সাহস পাচ্ছেন না। মামলায় অনেক রুই-কাতলা কারাগারে আছেন, অনেকে আদালতে বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন, অনেককেই দুদকে এসে জবাবদিহি করতে হচ্ছে। আরো অনেককেই আসতে হবে।

টিআই বাংলাদেশের সম্পর্কে দুদক চেয়ারম্যানের মূল্যায়ন জানতে চাইলে তিনি বলেন, টিআইবির কার্যক্রম প্রশংসনীয়। এটি দুদকের কৌশলগত সহযোগী। তবে আমার কেন যেন মনে হয়, সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভালো  কাজকে প্রশংসা করতে টিআইবি কার্পণ্য করে। সমালোচনার পাশাপাশি ভালো কাজের প্রশংসাও করা উচিত।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুদক প্রতিরোধ অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল।

 

ঢাকা/এম এ রহমান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়