ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

শিশুশ্রম নিরসনকে অন্যতম সূচক নির্ধারণ করেছি

হাসিবুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৩, ১১ জুন ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শিশুশ্রম নিরসনকে অন্যতম সূচক নির্ধারণ করেছি

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিবিষয়ক এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য শিশুশ্রম নিরসনকে আমরা অন্যতম সূচক হিসেবে নির্ধারণ করেছি। যে কোনো সংঘাত, সঙ্কট, দুর্যোগে শিশুদের নিরাপদ রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর।

রোববার বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ১২ জুন ‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। আইএলও’র এবারের প্রতিপাদ্য ‘ইন কনফ্লিক্টস অ্যান্ড ডিসেস্টারস প্রটেক্ট চিলড্রেন ফ্রম চাইল্ড লেবার’ যা অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।

তিনি বাণীতে বলেন, আমাদের সরকার জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ ও ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমবিষয়ক আইএলও কনভেনশন অনুসমর্থন করেছে। আমরা শিশুশ্রম নিরসনের লক্ষ্যে ‘জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি-২০১০’ প্রণয়ন করেছি। এসডিজিকে সামনে রেখে সম্প্রতি ২০২৫ সাল পর্যন্ত জাতীয় কর্মপরিকল্পনার মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে। এই কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদ কাজ করছে। গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুদের অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫’ প্রণয়ন করেছি। এই নীতির বাস্তবায়ন গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুদের অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।

আইএলও’র সহায়তায় জাতীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদ শিশুশ্রম নিরসনে বিভাগীয়, জেলা এবং উপজেলা কমিটিগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে। শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ৩৮ ধরনের কাজ চিহ্নিত করে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুদের প্রত্যাহার করে বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

শিশুদের উন্নয়ন ও কল্যাণে ‘সবার জন্য শিক্ষা’ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সব শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে পাঠ্যবই, শিক্ষা উপকরণ বিতরণসহ উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়াও দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চালু রয়েছে। শ্রমিকদের সন্তানদের যাতে শিশুশ্রমে নিয়োজিত হতে না হয়, সে লক্ষ্যে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত শ্রমিকদের সন্তানের উচ্চশিক্ষার জন্য সরকারি মেডিক্যাল কলেজ, কৃষি, প্রকৌশল বা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারি অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য ৩ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। আমাদের এসব সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে দেশে শিশুশ্রম হ্রাস পেয়েছে।

আমি সরকারের পাশাপাশি শিশুশ্রম প্রতিরোধ ও শিশুদের কল্যাণে বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সিভিল সোসাইটি ও গণমাধ্যম, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরো কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাই।

বাণীতে তিনি এই দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ জুন ২০১৭/হাসিবুল/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়