ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় সাক্ষ্য শেষ

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩৭, ২৯ জানুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় সাক্ষ্য শেষ

নিজস্ব প্রতিবেদক : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত ৭৬ কেজি বোমা পুঁতে রাখার মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

রোববার ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগমের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির প্রাক্তন পুলিশ কর্মকর্তা মুন্সী আতিকুর রহমানকে জেরা শেষ করেন মামলার প্রধান আসামি মুফতি আব্দুল হান্নান।

মুফতি হান্নান তার জেরায় তদন্ত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘আমি তালেবান প্রশিক্ষণ নিয়েছি এমন কোন দালিলিক প্রমাণ আপনার কাছে আছে?’ জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘সাক্ষিদের জবানবন্দিতে তা উঠে এসেছে।’ মুফতি হান্নান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে হলফনামা পড়ে আপনি মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছেন ? আপনি প্রসিকিউশনের শেখানো মতে সাক্ষ্য দিয়েছেন?’ প্রত্যুত্তরে তদন্ত কর্মকর্তা ইহা সত্য নয় উল্লেখ করেন। এভাবে কয়েক ঘণ্টা ধরে তদন্ত কর্মকর্তাকে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করেন মুফতি হান্নান। এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর তদন্ত কর্মকর্তাকে মুফতি হান্নান নিজে জেরা করেন।

রোববার তার জেরা শেষে পলাতক আসামিদের পক্ষে জেরা করেন অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন হাওলাদার এবং অ্যাডভোকেট সাহাবুদ্দিন। তাদের পক্ষে জেরা শেষে বিচারক আগামি ১৯ ফেব্রুয়ারি আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন।

মামলাটিতে ৬৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

প্রসঙ্গত, ২০০০ সালের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশ করার কথা ছিল। ওই সমাবেশের প্যান্ডেল তৈরির সময়ে ২০ জুলাই ওই কলেজের পাশ থেকে ৭৬ কেজি শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করে পুলিশ।

ওই ঘটনার মামলায় সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মুন্সী আতিকুর রহমান ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অন্য আসামিরা হলেন, মো. এহিবুল্লাহ, মুন্সি ইব্রাহিম, মো. মাহমুদ আজহার, মো. রাশেদ ড্রাইভার, মো. শাহ নেওয়াজ, মো. ইউসুফ, মো. লোকমান, শেখ মো. এনামুল ও মো. মিজানুর রহমান।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, মুফতি আব্দুল হান্নান আফগানিস্তানে মুজাহিদ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং সেখানে তিনি তালেবানদের পক্ষে যুদ্ধ করেন। তিনি দেশে ফিরে হরকাতুল জেহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশি নামক সংগঠনের সদস্য হন। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য গোপালগঞ্জের বিসিক এলাকায় অবৈধভাবে সোনার বাংলা কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ নামে একটি সাবানের কারখানা স্থাপন করেন। সে কারখানায় আসামিদের নিয়োগ দেন এবং সেখানে তাদের থাকার ব্যবস্থা করেন। সাবান তৈরির কাঁচামাল আনার আড়ালে আসামি মুফতি হান্নান ও তার সহযোগী আসামিরা বোমা তৈরির উপকরণ কারখানায় এনে রাখতেন। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর আসার কথা শুনে মুফতি হান্নানসহ আসামিরা সাবান কারখানায় শক্তিশালী বোমা তৈরি করেন। পরে ২০০০ সালের ১৯ জুলাই রাতের আঁধারে সাবান কারখানার গাড়িতে করে বোমা কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থলের কাছে নিয়ে রাতের আঁধারে পুতে রাখেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ জানুয়ারি ২০১৭/মামুন খান/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়